কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারছেন না? অকারণে সময় নষ্ট হচ্ছে? তাহলে আজ থেকেই 5 সেকেন্ড রুল অনুসরণ করুন।
5 সেকেন্ড রুল কি?
কোনো কাজ শুরু করার আগে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আপনার কাছে মাত্র ৫ সেকেন্ড সময় থাকে! বাস্তবে আমাদের ব্রেন খুব কমফোর্টেবল জোনে থাকতে চায়। আমরা যাতে রিলাক্সে থাকি, আনন্দ ফুর্তি করি, তার জন্য ব্রেন আমাদের সারাক্ষণ প্ররোচিত করে। আমরা যখন বিশ্রাম করি, কিংবা যখনই মজার খাবার খাই বা ফানি ভিডিও দেখি, তখন ব্রেনে ডুপামিন নামক কেমিক্যাল রিলিজ হয়। ফলে আমাদের মধ্যে একটা আরামদায়ক অনুভূতি তৈরি হয়।
এই অবস্থা থেকে বের হবার জন্য আপনার কিছুটা এক্টিভ এনার্জির প্রয়োজন হয়, যেটা আপনাকে তখনই কাজ শুরু করতে বাধ্য করবে। কিন্তু আপনার ব্রেন চায় না আপনি ওই এনার্জিটা খরচ করেন। তাই, কাজটি না করার জন্য ব্রেন অসংখ্য অজুহাত তৈরি করে, কাজ করার সময় কি কি সমস্যা হতে পারে তা বড় করে দেখায়। তত্ত্বটি দিয়েছেন মার্কিন লেখক মেল রবিনস।
ব্রেনের এই অজুহাত বন্ধ করার জন্য ৫ সেকেন্ডের জন্য সচেতন হয়ে যান। নিজেকে বলুন, "ইয়েস, এক্ষুণি এই মুহূর্তে আমি এটা করবো।" কোনো কাজ যদি ৫ সেকেন্ডের মধ্যে শুরু না করেন, তাহলে আপনার ব্রেন আপনার সাথে ট্রিকস্ খেলতে শুরু করবে। আপনার মনে হবে, ঠিক আছে, আর দশ মিনিট যাক, সময় তো আর চলে যাচ্ছে না! এতে দেখা যায় আপনি দশ মিনিটের বদলে এক ঘন্টা সময় পার করে দিয়েছেন, কিন্তু কাজ শুরু করতে পারেননি। ধরুন, আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন, আজ থেকে প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে হাঁটবেন। ভোরে যখন আপনার ঘুম ভাঙল আপনি ভাবলেন, একটু পরেই না হয় বের হই, সকালে না হেঁটে বিকেলে হাঁটলেও তো অসুবিধা নেই! আমি নিশ্চিত থাকুন, বিকেলেও আপনার ব্রেন কোনো না কোনো অজুহাত তৈরি করবেই। এর থেকে মুক্তির সহজ উপায় হচ্ছে ঘুম ভেঙে যাওয়ার ৫ সেকেন্ডের মধ্যে হাঁটতে বেরিয়ে যাওয়া।
সারাদিনে আপনার সামনে এরকম অনেক পরিস্থিতি তৈরি হয়, যেখানে এক্টিভ এনার্জি প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে। সেজন্য কোনো কাজ করতে সিদ্ধান্ত নেবার ৫ সেকেন্ডের মধ্যে কাজটি শুরু করে দিন। যদি আপনি এটা বার বার করতে থাকেন, তখন এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে। ভুলবেন না, আপনার সাফল্য অর্জনের পথে অলসতাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বাধা।