আসমানের অধিপতি যদি সন্তুষ্ট হয়ে যায়।
তাহলে জমিনের লোকগুলো অসন্তুষ্ট হলে কি আসে যায়, অতীত ভেবে বর্তমান নষ্ট করা বোকামি! ভবিষ্যৎ গড়তে বর্তমানকে কাজে লাগাতে হয়, আর অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হয়।
”যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ কাছ থেকে নিতে শিখে গিয়েছেন, সে ব্যক্তির দুনিয়াতে অপ্রাপ্তি বলতে আর কিছু রইল না”
আমরা সুখ খুঁজতে গিয়ে সুখ দেওয়ার মালিক কে ভুলে যায় মনে রাখবেন আল্লাহ ছাড়া সুখ-স্বাচ্ছন্দ দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই ।
অভিভাবক হিসাবে মহান আল্লাহকে,
আর আর্দশ হিসাবে বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ),
বন্ধু হিসাবে নামাজ, কুরআন, নেক আমল ই যতেস্ট।
যা ইহকালে ও পরকাল দুটো জীবনেই সফলতা এনে দিবে ইনশাআল্লাহ।
"দু-দিনের দুনিয়াতে সবাইতো অবস্থানকে ভালবাসে, ব্যাক্তিকে নই"
অতীত ভেবে বর্তমান নষ্ট করা বোকামি!
ভবিষ্যৎ গড়তে বর্তমানকে কাজে লাগাতে হয়, আর অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হয়।
"ঐ ব্যক্তি কীভাবে বুদ্ধিমান হতে পারে যে কিছু সময়ের স্বাদ উপভোগের জন্য জান্নাতকে বিক্রি করে ফেলে?" - ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)
“অতীতকে বিদায় জানাতে সাহস লাগে। সেই সাহস দেখাতে পারলে জীবন তোমাকে নতুন কিছু উপহার দেবে”
'যৌবন''
কালে যত পারো সিজদা করে নাও, কারণ আমি অনেক বৃদ্ধাকে দেখেছি সিজদা ছাড়া নামাজ আদায় করতে । (ইমাম গাজ্জালী (রঃ)
আল্লাহ তাআলার ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে আল্লাহ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
দুনিয়ার জীবনটা হচ্ছে ধরুন আপনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য রওনা হলেন , আপনি ট্রেন স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকলেন আপনার নির্ধারিত ট্রেন এর জন্য, আপনি যে আপনার নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন মূলত সেটি হচ্ছে দুনিয়ার জীবন। দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে আখেরাতের বাজার করার জন্য, এমন যেন না হয়, দুনিয়ায় এসে এর রং তামাশায় সেই আখেরাতের ব্যাগটি হারিয়ে ফেলেছেন ।
আল্লাহ বলেন সফলতা হচ্ছে সেটি, যে বান্দা জাহান্নামে যেতে পারত কিন্তু জাহান্নামের না গিয়ে বরং জান্নাতে গিয়েছে সেই বান্দায় হচ্ছে প্রকৃত সফল।একটি উত্তম মৃত্যু এবং আল্লাহর দয়াতে জান্নাতে যাওয়া ।
শয়তান যেহেতু দিনশেষে নিশ্চিত জাহান্নামী সুতরাং শয়তান সবসময় আশাহত , ঠিক তেমনি শয়তান আশরাফুল মাখলুকাত আদম সন্তানকে সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সম্মুখভাগ থেকে আশাহত করার চেষ্টা করে, যেহেতু সে নিজেই আশাহত এবং এই কাজে সেই সফল হলেই মূলত আল্লাহর ইবাদত থেকে বান্দাকে সরিয়ে রাখা যাবে এবং তার মূল টার্গেট তাকে ইবাদত থেকে সরিয়ে শয়তানের রাস্তা নিয়ে আসা এবং পর্যায়ের ক্রমে ধীরে ধীরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া সুতরাং আমাদের সবাইকে এই বিষয়টি সর্বোচ্চ দৃষ্টি দিয়ে কখনোই, এবং কখনোই আশাহত হওয়া যাবে না, শয়তান এক অদৃশ্য শক্তি দ্বারা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে এই কাজটি করে থাকে ।
প্রবন্ধটির ক্রেডিট এবং রিসার্চঃ মোঃ মসরাক হোসাইন সানি । লেখক এর অনুমতি ছাড়া প্রবন্ধটির অনুলিপি অন্য কোথাও শেয়ার বা কপি করা যাবে না।
মুমিন-জীবনের লক্ষ্য আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে জান্নাত অর্জন করা। জান্নাতে চিরস্থায়ী আবাস বানানো। দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী ঘরবাড়ি, আনন্দ সব একদিন বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু জান্নাতের বাড়ি কখনো বিলীন হবে না।
যে নিজের নফসের লোভকে নিয়ন্ত্রণ করে, সে-ই সফল।"* (সূরা আশ-শামস ৯১:৯)
একজন বিজ্ঞ আলেম ছিলেন!যার অনেক'ছাত্রছিল। যখনই তার কাছে নতুন কোন শিষ্য আসতো তিনি তখন তার পরীক্ষা নিতেন।
–তিনি কিছু পাখি পালতেন। আর পাখিগুলোকে তিনি একটি কথা শিক্ষা দিয়েছিলেন, কথাটি হল; "শি*কারি আয়েগা, দানা ডালেগা, জাল বিছায়েগা, ফাসনা নেহি"। অর্থাৎ "শি*কারি আসবে, খাবার দিবে, জাল পাতবে, ফেঁ*সে যেও না।"
–যখনই নতুন কোন ছাত্র আসতো তখনই তিনি তাকে কিছু দানা আর একটি জাল দিয়ে বলতেন, "যাও ঐ গাছের নিচ থেকে কিছু পাখি ধ*রে নিয়ে আসো।"
–পাখিগুলো মানুষ দেখামাত্রই এই বলে গান গাইতে শুরু করতো যে, "শি*কারি আয়েগা, দানা ডালেগা, জাল বিছায়েগা, ফাসনা নেহি"। তখন বেশিরভাগ ছাত্রই ফিরে আসতো এই ভেবে যে, এত চালাক পাখি ধ*রা যাবে না!
–কিন্ত যদি কোন ছাত্র জাল পাততো আর দানা দিতো তবে দেখতো যে, পাখিগুলো মুখে ঐ কথা বলছে ঠিকই কিন্ত দানা খেতে আসছে আর জালে ফেঁ*সে যাচ্ছে। অর্থাৎ তাদের মুখের কথা তাদের কোন কাজেই আসছে না।
–এই পাখিগুলো আসলে কি বলছে তারা সেটা নিজেরাই জানে না। পাখিগুলো জানে না- 'শি*কারি' কি জিনিস! 'জাল' কি জিনিস! 'ফাসনা' কি জিনিস! তাই তোতারা মুখে যতই গান গাওক না কেন, তাও জালে ফেঁ*সে মৃ*ত্যু ডেকে আনছে।
★ আজকের জামানায় আমাদের অবস্থাও ঠিক যেন পাখিদের মতই হয়ে গেছে। আমরা মুখে 'লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি, কিন্তু আমরা এর মর্ম জানি না। প্রত্যেক সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ি কিন্তু আমরা বুঝি না এর ভিতর আল্লাহ কি বলতে চেয়েছেন।
–একই সাথে আমরা সু*দ-ঘুষ, পরনিন্দা, অহংকার, যিনা, গী*বত, অ*শ্লী*লতা, পর্দাহীনতা, ও অসংখ্য হা*রাম কাজ করছি আর কথা বলা পাখির মতই আবার কালেমা বলছি আর নিজেকে মুসলমান হিসেবে দাবীও করছি! কাজেই আমাদের এই সাক্ষ্যদান কথা বলা পাখির মতন। আমরা মুখে কালেমা জপার পরেও শি*কারির জালে ফেঁ*সে যাচ্ছি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের যথাযথভাবে অনুবাধন করার তৌফিক দান করুন।
যে ব্যাক্তি অন্যের জন্য দোয়া করেন ফেরেস্তারা তার জন্য দোয়া করেন।[ আবু দাউদঃ ( ১৫৩৪ )
❝যখন আযান শেষ হয়েযাবে তখন, আল্লাহর কাছে চাও, তুমি যা চাইবে তাই পাবে!❞[আবু দাউদ:৫২৪]
পরহেজগার বন্ধু ছাড়া,অন্য সকল বন্ধু কিয়ামতের দিন শত্রু হয়ে যাবে।সূরা যুখরুফঃ৬৭
আপনি উপদেশ দিতে থাকুন, কেননা উপদেশ মুমিনদের উপকারে আসবে।সূরা যারিয়াত-৫৫
রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন আর তাসবীহ্ পড়ছেন!
হিসাব গ্রহণের দিন পায়ের নিচের জমিন আপনার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে।
ব্যাপার টা দারুণ না..
__সুব্বহানাল্লাহ্
রবের ইবাদতের জন্য সময় বের করলে তিনি আপনার —
১. সমস্ত দুশ্চিন্তা দূর করবেন।
২. অন্তরকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত করবেন।
৩. দারিদ্র্যতা দূর করবেন।
আর যদি রবের ইবাদতের জন্য সময় বের করতে না পারেন তাহলে তিনি আপনার —
১. দু'হাত ব্যস্ততা দিয়ে পূর্ণ করে দিবেন।
২. অন্তর দুশ্চিন্তা দিয়ে পূর্ণ করবেন।
৩. দারিদ্র্যতা কখনো দূর করবেন না। [ইবনে মাজাহ : ৪১০২]
আল্লাহ চেয়েছিলেন বলেই আপনি হারিয়েছেন,
পাওয়ার সময় হলে আবার আল্লাহই দিবেন!'
আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দেবে-আল্লাহ তোমাকে তার চেয়েও আরো উত্তম কিছু দান করবেন।