জীবনটা একটা অদ্ভুত যু*দ্ধ। যত বড় হবেন, তত বেশি করে এই সত্যটা টের পাবেন। এই যু*দ্ধ আবার ফেয়ারও না।
চোখের সামনে দেখবেন, কেউ অসাধারণ ব্রেইন নিয়ে জন্মেছে। পরীক্ষার আগের রাতে বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে আর পরের দিন চমৎকার রেজাল্ট করছে। আপনি দিনের পর দিন পাগলের মতো পড়তেছেন, কিন্তু হচ্ছে না।
এর মাঝে দেখবেন, অর্থ-প্রাচুর্যে ভরা পরিবারে কারো কারো জন্ম। কখনো তার কিছুর অভাব হয় নাই। আপনার মন খারাপ হবে, বাবার কাছে ফোন করে দশমবারের মতো সেমিস্টার ফি চাইতে গিয়ে পৃথিবীর উপর অভিমান হবে অনেক। কিন্তু ঐ যে, জীবনের যুদ্ধ তো ফেয়ার না।
পড়াশুনা করে আপনার চেয়ে খারাপ রেজাল্ট নিয়ে কারো লাখ টাকার চাকরি হয়ে যাবে। হয়তো ঐ ইন্টারভিউটা তার ভালো হইছিলো, হয়তো রেফারেন্স ছিলো, হয়তো স্কিল ছিলো - জানি না, হবে কিছু একটা। স্টার্টআপ দিয়ে কোটি টাকা ভ্যালুয়েশনের কোম্পানি হবে কারো কারো। ইউটিউবারের কোটি টাকা দেখে আপনার ক্যারিয়ার চয়েজ নিয়ে প্রশ্ন জাগবে প্রতিদিন।
কারো কারো প্রোমোশন হবে প্রতি বছর, কেউ কেউ নিউইয়র্কে পিএইচডি শেষ করে লাইফ ইভেন্ট দিবে। ব্যবসায় লস খেয়ে লোন শোধ করতে না পেরে যাবজ্জীবন জেল খাটবে কেউ কেউ। শত চেষ্টায়ও চাকরি মিলবে না কারো কারো; বিশতম ইন্টারভিউটা দেওয়ার পর তার মনে হবে, জীবনের চেয়ে নি'ষ্ঠুর কিছু আর একটাও নাই।
আপনি চাইলে সারাদিন অন্যের সাথে নিজের তুলনা করতে পারেন। জীবনযুদ্ধে যে এগিয়ে গেলো, তার কথা ভাবলে আফসোস ছাড়া কিছু হবে না। হিসাব মিলাতে পারবেন না। ভাগ্য, মেধা, স্কিল, পরিশ্রম, নিয়তি - এতো এতো ভ্যারিয়েবল নিয়ে জীবনের সমীকরণ মেলানো যায় না।
ভালো থাকার কোনো শেষ নাই। যার কোনো ঠাঁই নাই, সে একটা ঘর চায়। বাসে ঝুলতে থাকা মানুষটা একটা গাড়ির স্বপ্ন দেখে আর সেডান গাড়িতে চড়া মানুষটা এসইউভি গাড়ির ক্যাটালগ উল্টেপাল্টে দেখে। এসইউভির মানুষটা দু'হাজার স্কয়ার ফিটের অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজে।
ভালো থাকার জীবনযুদ্ধটা এরকমই। একটা অসীম দৌড় প্রতিযোগিতা, যার কোনো ফিনিশিং লাইন নাই। শুধুই ছুটতে থাকা, ছুটতেই থাকা, প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্ত।"