রাত ৩টা। পুরো বাড়ি নিস্তব্ধ, শুধু আরাফের ঘরে মোবাইলের কড়া আলো। ক্লাস ৯-এর ছাত্র হলেও ঘুম তার শত্রু। "একটু ইউটিউব দেখি, একটা গেম খেলি, মেসেজের রিপ্লাই দিই"—এই করতে করতে কেটে যায় রাত। ঘুমানোর কথা মনে এলেও মনে হয়, কাল তো ঘুমিয়ে নেব!
কিন্তু এই সামান্য অবহেলাই কি ধীরে ধীরে মৃত্যুর দুয়ারে নিয়ে যাচ্ছে তাকে? দিনের পর দিন শরীরে শুরু হলো ভয়ানক পরিবর্তন!
মস্তিষ্কের বিকলতা!
স্কুলে গেলেও কিছুই মনে থাকে না। পরীক্ষার খাতায় প্রশ্ন দেখে মাথা ঝাপসা লাগে, মস্তিষ্ক যেন আর কাজ করছে না! বন্ধুরা বলে, "কী হলো রে? তুই এমন কনফিউজড কেন?"
চোখের নিচে গভীর কালো দাগ, মুখ ফ্যাকাশে!
আয়নায় নিজেকে দেখে চমকে ওঠে আরাফ! চোখের নিচে কালো দাগ এত গভীর হয়েছে, যেন ভেতর থেকে পঁচতে শুরু করেছে! মুখে এক ধরনের ফ্যাকাশে ভাব, যেন শরীর ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে!
হৃদযন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত চাপ!
একদিন স্কুলের এসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে হঠাৎই মাথা ঘুরে পড়ে গেল আরাফ। বুকে ব্যথা, চোখে অন্ধকার! হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার বললেন,
"তোমার শরীর বিশ্রামের জন্য কাঁদছে, আর তুমি তাকে দিনের পর দিন কষ্ট দিয়ে চলেছো!"
ঘুমের অভাবে মৃত্যু হতে পারে!
ডাক্তার জানালেন, নিয়মিত কম ঘুমালে হঠাৎ স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এমনকি ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হতে পারে!
এক রাতে মোবাইল হাতে নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে আরাফ। কিন্তু এই ঘুম আর ভাঙল না! হার্ট ফেল করে মৃত্যু হলো মাত্র ১৫ বছর বয়সেই!
প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম।
রাতে মোবাইল দূরে রাখা।
নিয়মিত ব্যায়াম করা।
শরীরের কথা শুনা