হিংসুক মানুষের আবিষ্কৃত শ্রেষ্ঠ যন্ত্রের নাম ষড়যন্ত্র। আপনি উঠতে চাইলে পেছনে টেনে ধরবে, বড় কিছু করলে সমালোচনা করবে, আপনি স্বপ্ন দেখলে তারা আপনাকে হতাশ করবে। এতসব কিছুর মাঝেও আপনাকে বেঁচে থাকতে হবে, টিকে থাকতে হবে, স্বপ্ন পূরণ করতে হবে ; কারণ মানুষ অন্যের হাঁটুর জোরে হাঁটেনা, সে নিজের পায়ে ভর করেই দৌঁড়ায়।
আপনাকে টেনে উপরে তোলার জন্য কারো ঠেকা পড়েনি। আপনি কঠোরভাবে চেষ্টা না করলে, কার এত দায় পড়েছে আপনার জন্য সাহায্যের ডালা সাজিয়ে বসে থাকার? পৃথিবীটা অনেক নিষ্টুর। এখানে সবাই স্বার্থপর। আপনার বেঁচে থাকার কারণ আপনাকেই সৃষ্টি করতে হবে। কেউ আপনাকে সাকসেস হওয়ার আগ পর্যন্ত পাত্তা দিবেনা। অনেকেই আপনাকে কথা দিয়েও কথা রাখবেনা। এমনকি অনেকেই আপনাকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় রাখবে, কারণ সফল হওয়ার আগ পর্যন্ত সবাই ধরেই নিবে আপনি একটা অপদার্থ, এভাবে ১০ ঘন্টা আপনি দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও অন্য কারও কাছে তা গুরুত্ব নাও পেতে পারে!
পৃথিবীতে মানুষ রেজাল্ট দেখতে চায়। আপনি কত ঘন্টা পড়ে, কত রাত জেগে প্রিপারেশন নিয়েছেন সেটা কাউকে ভাবাবে না, বরং আল্টিমেটলি চাকরিটা আপনি পেয়েছেন কিনা সবাই সেটাই দেখতে চায়। শচীন কয়টা ছক্কা মারার চেষ্টা করেছে, তাতে কার কি আসে; বরং কয়টা ছক্কা তিনি মেরে টিমকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন সবাই সেটাই দেখতে চায়। মেসির পায়ে কত মিনিট বল ছিলো, কয়টা বল তিনি গোলপোস্টে থ্রো করেছেন, দর্শক এসব দেখতে চায় না। আল্টিমেটলি দিনশেষে দর্শক এটাই দেখতে চায় মেসির টিম আর্জেন্টিনা জিতেছে কিনা। লাইফটা রেজাল্টের উপর দাঁড়িয়ে থাকে।
বিধাতা আপনাকে একটা খোলা মাঠ দিলো। এখন সেই মাঠে যদি আপনি অল্প খনন করেন, তবে আপনি একটা গর্ত করতে পারবেন। আরেকটু বেশি খনন করলে একটা পুকুর হবে। আরো বেশি খনন করলে বিশাল দিঘী হয়ে যাবে। আপনি যা খুশি করতে পারবেন। বিধাতা আপনাকে শক্তি দিয়েছে, মাঠ দিয়েছে; কিন্তু সেই শক্তি দিয়ে মাঠকে পুকুর বানাবেন নাকি দিঘী বানাবেন সেটা নির্ভর করছে আপনার সিদ্ধান্তের উপর।।
এই মাটির কাদায় কুমির যেমন বুঝা যায় না, তেমন আপন কিছু মানুষ আছে, তাদের রূপ কখনো চেনা যায়না..
Be careful