বাবাকে বুঝতে একটা জীবন লেগে যায়!
৪ বছর বয়সে: আমার বাবা সেরা!
৬ বছর বয়সে: বাবা সবাইকে চেনে।
১০ বছর বয়সে: বাবা ভালো, কিন্তু একটু কঠোর।
১২ বছর বয়সে: বাবা ছোটবেলায় অনেক ভালো ছিলেন।
১৪ বছর বয়সে: বাবা কেমন জানি বদলে যাচ্ছেন।
১৬ বছর বয়সে বাবা কিছুই বোঝে না।
১৮ বছর বয়সে: বাবা দিন দিন আরও কঠোর হচ্ছেন।
২০ বছর বয়সে: বাবার ব্যবহার সহ্য করা কঠিন! মা কিভাবে সহ্য করতেন?
২৫ বছর বয়সে: বাবা সবকিছুতেই মতের বিবোধ করেন।
৩০ বছর বয়সে: বাবার সাথে একমত হওয়া খুব কঠিন। দাদাও কি বাবাকে এভাবেই দেখতেন?
৩৫ বছর বয়সে: বাবা আমাকে নিয়মের মধ্যে বড় করেছেন, আমাকেও আমার সন্তানদের তাই শেখাতে হবে।
৪০ বছর বয়সে; বাবা এত কষ্ট করে আমাদের বড় করেছেন,
আমি বুঝতে পারছি!
৪৫ বছর বয়সে: আমার সন্তানদের সামলানো কঠিন, বাবা কত কষ্ট করেছেন আমাদের ঠিক পথে রাখতে!
৫০ বছর বয়সে: বাবা সবকিছু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতেন, তিনি ছিলেন দয়ালু ও বিশেষ একজন মানুষ। সত্যিই, আমার বাবা সেরা। এই পুরো চক্রটি শেষ হতে ৫০ বছর লেগেছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা আবার প্রথম জায়গায় ফিরে যাই- 'আমার বাবা সেরা! "যাদের বাবা বেঁচে আছেন, তাদের সম্মান করুন, ভালোবাসুন। আর যাদের বাবা নেই, আল্লাহর কাছে দু'আ করুন যেন তিনি তাদের ক্ষমা করেন ও শান্তি দেন।আমরা চাই, আমাদের সন্তানরা যেন আমাদের আরও ভালোবাসে ও সম্মান করে, যেমনটা আমরা আমাদের বাবাকে করেছি বা করতে পারিনি।
- বই: মা-বাবার সঙ্গে সদাচারের গল্প।
আজকে বনশ্রীতে যাওয়ার সময় দেখলাম, এক মা তার বাচ্চাকে বলতাছে " বাবা তুমি অনেকক্ষণ ব্যাগ নিছো এখন আমাকে দাও আর নিতে হবে না" মূলত স্কুল ছুটির পর বাসায় যাচ্ছিল তারা, এর মধ্যে এই ঘটনা আমার চোখে পরলো।
হঠাৎ মনে পরলো যে, আমি যখন ছোট ছিলাম, স্কুলে যেতাম আব্বুর সাথে তখন আমার আব্বুও এভাবে আমার ব্যাগ তার কাঁধে নিতো। তখন তো আর বুঝতাম না কেন নিতো.......
শুধু তাই না আমার স্পষ্ট মনে আছে, যখন বৃষ্টিতে পুরা এলাকা পানিতে ভইরা যাইতো তখনও আমার আব্বু বৃষ্টির মধ্যে আমার ব্যাগ কাঁধে নিতো, সাথে আমারে কোলে নিয়া স্কুল পর্যন্ত দিয়া আসতো, যেন আমার কিছু না হয়।
এরকম হাজারো ঘটনা আমার-আপনার জীবনে আছে। এবং তারা যতদিন জীবিত থাকে এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকে মাঝে মধ্যে।
কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো, বয়স বাড়ার সাথে এই বাবা-মা গুলোই আমাদের মতো ছোটবেলার মনমানসিকতায় চলে যায়। আর সংসার যদি টানাপোড়ার মধ্যে দিয়ে যায়, তাহলে তাদের জীবনের অনেক শখ গুলোও অপূরণীয় থেকে যায়। সবসময় দোয়া করি এটাই, আল্লাহ যেন বাবা-মায়ের শেষ বয়সে তাদের পাশে থাকার এবং তাদের জন্য কিছু করার তৌফিক দান করেন। এটা জীবনের অন্যতম বড় একটা সফলতা__