কোটি কোটি শুক্রাণুর সাথে যুদ্ধ করে প্রথম হয়ে আমি পৃথিবীতে সু'ইসা'ইড করার জন্য জন্মাই নাই ।।
আমি জন্মেছি সেরাদের সেরা হওয়ার জন্য
কারন প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আয়নায় যখন নিজেকে দেখি, তখন বারবারই মনে হয় আমিই হলাম সৃষ্টির সেরা। আমাকে আমি ছাড়া হারায় এমন সাধ্য কার আছে
তোমাদের সু'ইসা'ইড করার এতো সাহস আসে কই থেকে?
যে ছেলেটা রোজ ক্রেচে ভর করে প্রতিদিন ছয় তলা সিঁড়ি বেয়ে তার ঘরে যায়, তুমি সু'ইসা'ইড করার আগে তার কষ্টের কথা একবার ভাবো।
যেই ছেলের দুই হাতের কব্জি না থাকার পরেও শুধুমাত্র পা দিয়ে লিখে পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে জাতীয় পত্রিকা গুলোর হেডলাইন হয় তুমি তার কথা ভাবো।।
শুনো, জীবন এতো সস্তা না। জীবন তোমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে, শুধু একবার ভাবো তুমি যদি সু'ইসা'ইড করো তাহলে তুমি জীবনকে কি দিয়ে গেলে?
যেই মায়ের গর্ভে তুমি মাসের পর মাস পরম যত্নে ছিলে সেই মাকে তুমি কি দিলে?
রেললাইনের স্লিপারের উপর অযত্নে অবহেলায় পরে থাকা ছেলেটার দিকে তাকাও, তার জীর্ণ শীর্ণ শরীর আর পোশাকের দিকে তাকাও এইবার তোমার নিজের দিকে একবার তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে ভাবো তুমি তার চেয়ে ভালো আছো কিনা?
জীবনের প্রতি যদি তোমার বিরক্তি জন্মে যায়, হতাশায় ডুবে যদি তোমার নিজেকে একদম শেষ করে দিতেই ইচ্ছে করে তবে, তুমি পাবলিক হাসপাতালে চলে যাও। ওখানে গেলেই দেখেবে, যেখানে তুমি নিজেকে শেষ করে দেয়া ইচ্ছা পোষণ করছো সেখানে হাজারো মানুষ নিজেকে একটা দিন বেশি বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রাণপণে লড়াই করে যাচ্ছে।।
এবার তুমি তোমার তুমিকে জিজ্ঞাসা করো, তুমি মরে যাবে নাকি বেঁচে থাকবে। এদের চেয়ে ভালো ভাবে বেঁচে থাকবে?
শুনো পবিত্র কোরানে তোমাকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে শুধু একারণে কারণ, তুমিই পারবে পৃথিবীর সেরা সেরা কাজ গুলো করতে।
সুতরাং বেঁচে থাকার চেষ্টা করো সেরাদের সেরা হয়ে।।
মনে রেখো মরে গেলেই ফুরিয়ে যাবে, তখন তোমায় নিয়ে আর কোনো নতুন গল্প হবেনা।
তুমি হয়ে যাবে তখন সিলেবাসের বাহিরের বিষয়বস্তু।
তুমি মরে যাওয়ার সাথে সাথেই তোমার গুরুত্ব আমাদের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পরবে।
সুতরাং নিজের জন্যে বাঁচো।
নিজেকে প্রতিদিন একটু একটু করে ভালোবাসতে শেখো দেখবে, বেঁচে থাকার গুরুত্ব প্রতিদিন একটু একটু করে উপলব্ধি করতে পারছো।।