ইলন রিভ মাস্ক :একজন দক্ষিণ আফ্রিকান প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা।[৩][৪][৫][৬] তিনি মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা, বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পণ্য প্রকৌশলী, সোলারসিটির চেয়ারম্যান, দি বোরিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা[৭], নিউরালিংকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ওপেনএআইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান এবং পেপ্যালের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।[৮][৯][১০][১১][১২][১৩][১৪] এছাড়াও তিনি হাইপারলুপ নামক কল্পিত উচ্চ গতিসম্পন্ন পরিবহন ব্যবস্থার উদ্ভাবক। ২০১৮ সালে ইলন মাস্ক 'ফেলো অব দি রয়্যাল সোসাইটি' নির্বাচিত হন।[১৫] একই বছর ফোর্বস সাময়িকী 'বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি' তালিকায় ২৫ তম স্থানে তার নাম ঘোষণা করে।[১৬] ২০১৯ সালে ফোর্বসের 'আমেরিকার সবচেয়ে উদ্ভাবনী নেতৃত্ব' তালিকায় যৌথভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেন।[১৭] ২০২১ সালের ৮ই জুন পর্যন্ত ইলন মাস্ক বিশ্বের ২য় বিলিয়নিয়ার এবং তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[১৮]
ইলন মাস্কের মা একজন কানাডিয়ান ও বাবা একজন দক্ষিণ আফ্রিকান। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় বড় হয়েছেন।[১৯] ১৯৮৮ সালে তিনি সতের বছর বয়সে কুইনস বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে কানাডা গমনের পূর্বে প্রিটোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প সময়ের জন্য লেখাপড়া করেছিলেন।[২০] দুই বছর কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার পর পেন্সিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন এবং অর্থনীতি ও পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন
শৈশব এবং পরিবার
ইলন রিভ মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে ১৯৭১ সালের ২৮ শে জুন জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[২৩][২৪] তাঁর মা মেই মাস্ক, একজন মডেল এবং ডায়েটিশিয়ান। তিনি কানাডার সাসকাচোয়ানে, জন্মগ্রহণ করেন[২৫][২৬][২৭] তবে দক্ষিণ আফ্রিকাতে বড় হয়েছেন। ইলন মাস্কের বাবা হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার একজন তড়িৎ প্রকৌশলী, বৈমানিক, নাবিক, পরামর্শক এবং সম্পত্তি বিকাশকারী।[২৮] তার একটি ছোট ভাই, কিম্বল (জন্ম ১৯৭২) এবং একটি ছোট বোন, টসকা (জন্ম ১৯৭৪) আছে।[২৭][২৯][৩৩] তার নানা জশুয়া হাল্ডম্যান একজন আমেরিকান বংশদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক।[৩৪] তাঁর দাদি ব্রিটিশ এবং পেনসিলভেনিয়া ডাচ বংশদ্ভুত।[৩৫][৩৬]
১৯৮০ সালে তার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পরে, মাস্ক বেশিরভাগ সময় তার পিতার সাথে প্রিটোরিয়া শহরে বাস করছিলেন। বিবাহ বিচ্ছেদের দু'বছর পরে তিনি বাবার সাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেন এবং পরে এই সিদ্ধান্তের জন্য আফসোস করেছিলেন। এসময় মাস্ক আর তাঁর বাবার মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছিল। বাবা সম্পর্কে তাঁর মুল্যায়ন এমন, "তিনি একজন বাজে মানুষ। আপনি ভাবতে পারেন এমন প্রায় প্রতিটি খারাপ কাজ তিনি করেছেন।"[৩৭][৩৮]
শৈশবকাল হতে ইলন মাস্ক বই পড়তে ভালবাসতেন। দশ বছর বয়সে কমোডর ভিআইসি-২০ কম্পিউটার ব্যবহার করতে গিয়ে কম্পিউটারের উপর তাঁর আগ্রহ জন্মে। তিনি একটি ব্যবহার নির্দেশিকা ব্যবহার করে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখেন। বার বছর বয়সে তিনি বেসিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে একটি ভিডিও গেম তৈরী করেন, যার নাম ছিল ব্লাস্টার। এই গেমটি ৫০০ ডলারে তিনি পিসি এন্ড অফিস টেকনোলজি ম্যাগাজিনের কাছে বিক্রি করে দেন। ছোট থাকতে ইলন মাস্ক আইজাক আসিমভের ফাউন্ডেশন সিরিজের বই পড়তেন। যেখান থেকে তিনি শেখেন "সভ্যতার বিকাশে, অন্ধকার যুগের সম্ভাবনা ও স্থায়িত্বকাল কমাতে পদক্ষেপ নেয়া উচিত"।[৩৯][৪০][৪১][৪২]
মাস্ক শৈশবকালে প্রচন্ড উৎপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। একবার একদল ছেলে তাকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। তখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। প্রিটোরিয়া বয়েজ হাই স্কুল থেকে পড়া শেষ করার আগে তিনি ওয়াটারক্লুফ হাউস প্রিপারেটরি স্কুল এবং ব্রায়স্টন হাই স্কুলে পড়েছিলেন।
ইলন মাস্ক, বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যাক্তি ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমান 433 বিলিয়ন ডলার। অথচ তিনি থাকেন ছোট্ট একটি বাড়িতে যা তিনি কিনেছেন মাত্র ৫০ হাজার ডলার দিয়ে। সেখানে রয়েছে একটি শোবার ঘর, একটি বসার ঘর, একটি কিচেন ও একটি বাথরুম। যদিও ঘরের ভেতরে সব দামী আসবাব দিয়ে সাজানো, তবুও একবার চিন্তা করুন, সাধারন একজন মানুষ যদি কোটিপতি হয় তবে প্রথমে সে যে কাজটি করে তা হলো সে একটি সুন্দর বাসস্থান বানায়, যতটুকু তার সাধ্যে কুলায় সে চেষ্টা করে সুন্দর এবং বিলাসবহুল বাড়ি বানানোর জন্য, কারন সে সেটা মানুষকে দেখিয়ে আনন্দ পাবে, মানুষ তার বাড়ি দেখে তার সম্পদ সম্পর্কে আন্দাজ করতে পারবে, তাই সাধারন মানুষ কোটিপতি হলে, প্রথমে বিলাসবহুল বাড়ি এবং দামী গাড়ি করে। অথচ বিশ্বের প্রধান প্রধান ধনীরা বিলাসবহুল বাড়ি বানানোর পেছনে টাকা খরচ করেনা। কারন তাদের শো-অফ করার কোনো প্রয়োজন নেই, তারা যে ধনী তা পৃথিবীর সবাই জানে। বড় বড় বাড়ি এবং দামী গাড়ি কিনে তা মানুষকে দেখিয়ে সেটা প্রমান করার প্রয়োজন নেই।
আরো একটি কারনে ইলন মাস্ক বড় বাড়ি বানান না, কারন তিনি বছরের বেশিরভাগ সময়ই থাকেন ট্যুরে, সবসময় একই জায়গায় তার থাকা হয় কম। আর তিনি নিজেও সাধারন ভাবে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বলেই এই ছোট্ট বাড়িতে থাকেন।
সুনিতা উইলিয়ামদের ফিরিয়ে আনার আসল নায়ক সুনিতা উইলিয়ামদের ফিরিয়ে আনার আসল নায়ক
সুনিতা উইলিয়ামদের ফিরিয়ে আনার আসল নায়ক
৯ মাস! হ্যাঁ, পুরো ৯ মাস ধরে মহাকাশে আটকে ছিলেন নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়াম। একটি কারিগরি ত্রুটির কারণে তিনি পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারছিলেন না। অক্সিজেন, খাদ্য ও মানসিক চাপে তার অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছিল। নাসার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছিল একের পর এক….
কিন্তু ঠিক তখনই এগিয়ে এলেন এক ব্যক্তি – ইলন মাস্ক!
যখন পৃথিবী থেকে অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়েছিল, তখন SpaceX-এর কর্ণধার ইলন মাস্ক নাসাকে বললেন – "আমি চেষ্টা করতে চাই!"
দ্রুত পরিকল্পনা নিলেন তিনি। বিশেষ একটি ড্রাগন ক্যাপসুল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন, যা SpaceX এর সবচেয়ে উন্নত উদ্ধার যান। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তার টিম তৈরি করল "ড্রাগন রেসকিউ মিশন", যা ইতিহাসের অন্যতম দ্রুততম উদ্ধার অভিযান!
অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ….
March 18, 2025, গভীর রাতে, SpaceX-এর ড্রাগন ক্যাপসুল সুনিতা উইলিয়ামকে মহাকাশ স্টেশন থেকে সফলভাবে উদ্ধার করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনেছে! ৯ মাস পর তিনি আবারো মাটিতে পা রেখেছেন, চোখে জল নিয়ে বলেছেন – "আমি বেঁচে আছি, এ এক অলৌকিক মুহূর্ত!"
নাসার চেষ্টার পরও যখন সব ব্যর্থ হচ্ছিল, তখন ইলন মাস্ক ও তার SpaceX এগিয়ে এসে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে!
ইলন মাস্ক কেবল একজন উদ্যোক্তা নন, তিনি একজন সত্যিকারের নায়ক! এই মানুষটাকে সম্মান জানাতেই হবে!