--Collection--
একাডেমিক রেজাল্ট/ প্রতিষ্ঠান এবং সাবজেক্ট কোন বিষয় না ভাইটি প্রমাণ করে দিয়েছেন...
অফিসার (ক্যাশ) বাংলাদেশ ব্যাংক
(সুপারিশপ্রাপ্ত)
অ্যাকাডেমিক_রেজাল্ট
এসএসসি ৩.৩৮
এইচএসসি ৪.০০ (ইংরেজিতে D গ্রেড)
অনার্স ২.৮৮ (ইতিহাস)
কারমাইকেল কলেজ (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)
--Collection--
আলহামদুলিল্লাহ!
সুপারিশপ্রাপ্ত,
উপ-সহকারী প্রকৌশলী (তড়িৎ)
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি (PGB PLC)
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
মেধাক্রম-১০৬
১৮-১৯ সেশনে দেশের শেষ সারির একটা প্রাইভেট পলিটেকনিক থেকে পড়েছিল। ২০২৩ সালে মে মাসে পাশ করে বের হয়েছি (সার্টিফিকেট অনুযায়ী ২০২২)। মূলত ৭ম পর্বে পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুইদিন পরে গাজীপুর চলে আসি এবং সেদিন থেকেই চাকরির পড়াশোনা শুরু। আমার স্বপ্ন ছিল সরকারি চাকরি যার জন্য এডমিশন দেওয়া হইনি।জব প্রিপারেশনে কোনো কোচিং এ ভর্তি হইনি।নন ডিপার্টমেন্ট সম্পন্ন নিজে নিজে পড়েছি। এক ভাইয়ের কাছে ডিপার্টমেন্ট প্রাইভেট পড়েছিলাম। তাও মাএ ডিপার্টমেন্ট তিনটা পার্ট (সার্কিট, মেশিন, ইলেকট্রনিক্স) শেষ করেছিলাম। তারপর ব্যক্তিজীবনে অগণিত সমস্যায় আর প্রাইভেট ও পড়া হয় নাই। চাকরি পড়াশোনা শুরু করার ৩-৪ মাস পরে ব্যক্তিজীবনে এমন কিছু ট্রাজেডির সম্মুখীন হয়, যার ফলে পড়াশোনা তো দূরে কথা এক পর্যায়ে বেঁচে থাকার স্বপ্নই হারিয়ে ফেলছিলাম।আবার কয়েকমাসের ব্যবধানে প্রবল বেগে ঘুড়ে দাঁড়ালাম। নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে পড়াশোনা শুরু করি। তারপর যখন পিজিসিবির সার্কুলার হয় এখন থেকে রিটেন পরীক্ষা আগপর্যন্ত কি পরিশ্রম করেছি সেটা কেবল আল্লাহ তাআলা ভালো জানে। ফলস্বরূপ আল্লাহ তাআলা পিজিসিবির মাধ্যমে রিজিকের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
দুইবছরে প্রায় ৩০+ চাকরি পরীক্ষা দিয়েছি ( ৭ম পর্বের পরে থেকে পরীক্ষা দেওয়া শুরু করি)।
৬ টা ভাইভা দিয়েছি। যার মধ্যে উপ সহকারী প্রকৌশলী দুইটা (পিজিসিবি ও প্রট্রোবাংলা)।
কেজিডিসিএল( টেকনিশিয়ান)
এছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুক্তি ভিত্তিক পোস্টে ৩ টা ভাইভা দিয়েছি।
এই ছিল আমার জীবনের সফলতার গল্প। যারা মনে করেন প্রাইভেট পলিটেকনিকে পড়তে ভালো কিছু করতে পারবেন না, এবং নতুন যারা জবের প্রস্তুতি নিবেন হয়তো আপনাদের জন্য আমার লেখাটা অনুপ্রেরণা হতে পারে।
ব্যর্থতাই সফলতার চাবিকাঠি,সফলতার কোন শর্টকাট রাস্তা নেই। সফলতার জন্য আপনাকে বুদ্বিদীপ্ত ও কৌশলী পরিশ্রমের পাশাপাশি চরম ধৈর্যের সাথে লেগে থাকতে হবে। অনেকে অনেক কথাই বলবে এসব কথাই কান না দিয়ে লক্ষ্য স্থির করে পরিশ্রম করে যেতে হবে। যতদিন সফলতা না আসে ততদিন লেগে থাকতে হবে, সফল হওয়ার জন্য লেহে থাকার কোন বিকল্প নেই। আমি নিজেই ২০১৮ তে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর প্রাইভেট চাকুরিতে যোগদান করি পাশাপাশি ২০১৯ থেকে জব প্রিপারেশন শুরু করি এবং চালিয়ে যাই।কোনদিন হতাশ হইনি অনেক এ অনেক কথাই বলছে অনেক ডিমোটিভেট করছে গাজীপুর না গেলে জব হয় না এমন সহ আরো অনেক কিছুই বলছে।এর পাশাপাশি অনেক ভাই এর কাছ থেকে পড়াশুনা বিষয়ক অনেক সহোযোগিতা ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি,যাদের কথা না বল্লে নয় বিশেষ করে স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের ফাউন্ডার নাজিম সরকার ভাই,সওজ এর উপসহকারী প্রকৌশলী প্রিয় আব্দুর রহিম ভাই। আর আমার চাকুরি প্রিপ্রারেশনে স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ার্স গ্রুফের অবদান ও অপরিসীম যেখান থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার প্যাটার্ন ও প্রশ্ন পেয়েছি।আমি এই পর্যন্ত ১৮ টি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি,যা নিম্মে তুলে ধরলাম-
PGCB- ফেইল (৩ বার)
NPCBL- ফেইল (৩ বার)
EGCB- ফেইল
bwdb- ফেইল
BCPCL - ফেইল
SGFCL- ফেইল
APSCL - ফেইল
BCIC - ফেইল
BR- Powergen- লিখিত পাশ,ভাইভা রেজাল্ট বাকি আছে
BPDB- লিখিত পাশ, ভাইভা ফেইল
GTCL- লিখিত পাশ,ভাইভা রেজাল্ট বাকি
TGTDCL- লিখিত পাশ এবং সুপারিশপ্রাপ্ত
CAAB- প্রিলি পাশ,লিখিত ফেইল
BPSC Drilling Director -প্রিলি পাশ,লিখিত বাকি আছি।
আল্লাহর রহমতে ৪র্থ ভাইভায় আল্লাহ তায়ালা উত্তম রিজিকের ফয়সালা করে দিয়েছেন।আরো ২ টি ভাইভা রেজাল্ট বাকি আছে।তাই সবাইকে বলবো হতাশার গ্লানি মুচে পেলে পরিশ্রম করুন, লেগে থাকুন, সফলতা আসবেই,সফলতা আসতে বাধ্য।
মোঃ জহির উদ্দিন
উপ-সহকারী প্রকৌশলী
তিতাস গ্যাস টি এন্ড ডি কোম্পানী লিঃ.
"""একবার পরীক্ষা দিয়েই বাজিমাত""
<<<<<আরএক অদম্য তরুণ মেধাবী,পরিশ্রমী স্নেহের ছোট ভাই এনামুল হকের সফলতার গল্প>>>>
নাটোর জেলার ,সিংরা উপজেলা, দক্ষিণ দমদমা গ্রামের মেধাবী কৃতিসন্তান স্নেহের ছোট ভাই আমার রুমমেট মোঃ এনামুল হক তার জীবনের প্রথম পরিক্ষা প্রথম ভাইভা দিয়ে তার স্বপ্নেন চাকুরী,স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সরকারে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে Power Grid Company of Bangladesh (PGCB) তে উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ) চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে আজকে নিজ কর্মস্থলে যোগদান করায় আমার পক্ষ থেকে তোমার জন্য রইল উষ্ণ অভিনন্দন ও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা অফুরন্ত দোয়া ও ভালোবাসা।(রাসেল ভূঁইয়া)
তার এই সফলতা পিছনে যে মানুষ গুলোর সবচেয়ে বেশি অবদান তা হচ্ছে বাবা-মা, বড় ভাই জাকারিয়া হোসেন, শিক্ষক ও তার কিছু ভালো বন্ধু।
এনামুল হক যখন SSC পাশ করে ২০১৬ সালে GPA-5 পেয়ে বের হয় তখন তার বড় ভাই HSC পরীক্ষার ঐ বছর GPA-5 পায়। ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার কথা চিন্তা করে তার বড় ভাই শহরের কোন ভাল কলেজে ভর্তি হয় নাই নিজ এলাকায় ভর্তি হয় এবং এনামুল হক কে বগুড়া শহরের পাঠিয়ে দেয়। ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আপনার সেই সেক্রিফাইজের, টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা তার প্রতি আপনার বিশ্বাস রেখেছিলেন।সে আজ তার প্রতি ধান দিয়েছে। আপনার ভাই আজকে ভালো পজিশনে চলে গেছে। এছাড়াও আপনি আপনার পিতা এনামুল হকের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছ। সে জন্য গর্বিত আপনি গর্বিত আপনার পরিবার ।আপনি আপনার পরিবার, সমাজ ও দেশ শ্রেষ্ঠ ভাই হিসেবে থেকে যাবেন। এভাবেই যুগের পর যুগ দিনের-পর-দিন ভাই ভাইয়ের সাহায্য সহযোগিতা সেক্রিফাইস অব্যাহত থাকবে সেটাই কাম্য।
সে বগুড়া অবস্থিত বাংলাদেশ এর মধ্যে স্বনামধন্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট "বগুড়া পলিটেকনিক" এর ১৬-১৭ সেশনের ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপাটমেন্ট একজন মেধাবী ছাত্র।
স্নেহের ছোট ভাই মোঃ: এনামুল হক তোমার এই সাফল্য জন্য বগুড়া পলিটেকনিক এর সকল শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলি তোমার কলেজের , সাবেক ও বর্তমান সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ও বঙ্গ ভবন ছাএবাস পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।আমি তোমার রুমমেট হিসাবে খুবই আনন্দিত ও গর্বিত তোমার এই সাফল্যের জন্য। ভবিষ্যৎ তোমার আরো উওর উত্তর সাফল্য কামনা করছি। তোমার জন্য দোয়া ভালোবাসা রইলো।
ছোট ভাই মোঃ: এনামুল হক নাটোর উপজেলা,সিংরা জেলার একজন মেধাবী কৃতি সন্তান সে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস GPG-5 পেয়ে,২০১৬ সালে বের হয়।পরে সে "বগুড়া পলিটেকনিক " থেকে ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করে (3.97out of 4.00) রেজাল্ট করে ২০২০ সালে বের হয়।সে ছাএ অবস্থায় তার পলিটেকনিক এর বড় ভাই শাহাদাতের ভাইয়ের এর মাধ্যমে (PGCB) সম্পর্কে জানতে পারে।সে সেই থেকে সে (PGCB) জব করার স্বপ্ন দেখে। শাহাদাত ভাই তার পড়াশোনার বেসিক টা গড়ে দেন। শাহাদাত ভাই বগুড়ায় এডমিশনের জন্য ডিপাটমেন্ট ও নন ভালো পড়ান বগুড়ায়।
পরে সে শাহাদাত ভাইয়ের মাধ্যমে ডুয়েট পড়ার স্বপ্ন নিয়ে গাজীপুর চলে আসে। গাজীপুর ডুয়েড ভর্তি জন্য Optimam admission coaching centre ভর্তি হয়। সে ২-৩ মাস কোচিং করে । তারপর করোনার কারনে বাড়িতে চলে যায়।সে নভেম্বর ২০২০ আবার গাজীপুর চলে আসে।
তার পরিবারের নিম্ন মধ্যবিত্ত হওয়ায় । তার পরিবারকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য তার পরিবারের হাল ধরতে সে ডুয়েটে পড়ার স্বপ্ন বাদ দিয়ে জবের জন্য পড়াশোনা শুরু করে।সে ডুয়েটে বড় ভাই আশিকুর রহমান ভাইয়ের সহযোগিতায় তার নিজ মেসে উঠিয়ে দেয়। আশিকুর রহমান ভাই খুব ভালো প্রাইভেট পড়ান। ভাই খুবই ভালো মানুষ । ভাইয়ের বুঝানোর দক্ষতা খুবি ভাল। ভাইয়ের কাছে প্রাইভেট পড়ে ডিপাটমেন্ট শেষ করে।এর ভীতরে PGCB circular দেয়।
কিন্তু তখনো তার রেজাল্ট দেয়নি। প্রথম বার pgcb তে আবেদনের শেষ হয়।পড়ে আবার আবেদনের সময় বৃদ্ধি করে ঠিক শেষ দিন রেজাল্ট দেয়।ঐদিন আবেদন করে । ঐদিন আমি তার আবেদন এর টাকাটা আমার পেইড করে দেওয়ার শুভাগ্য হয়েছিল। শুধু হয় তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মিশন।সে কঠোর পরিশ্রম করতে থাকে।
২০২১ সালে পরিক্ষা দেয়। আলহামদুলিল্লাহ ভাইভা তে ডাক পাই। ফাইনালি ইঞ্জিনিয়ারদের স্বপ্নের জব Power Grid Company of Bangladesh (PGCB) তে ১-২-২০২২ ইং তারিখে যোগদান করে। সে এ পর্যন্ত ৬ টা পরিক্ষা দিয়েছে চারতে টিকছে।এর মধ্যে প্রথম টায় জব হয়েছে। দুই টার রেজাল্ট প্রকাশিত হয় নাই।
আল্লাহ সর্বশক্তিমান ও উওর রিজিকের মালিক। পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। আল্লাহ পরিশ্রম ব্যক্তিকে হতাশ করেন না।
আপনি কতটুকু পরিশ্রম করতে পেরেছে কতটুকু লাইফে রিক্স নিতে পেরেছেন আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণে কতটুকু পরিশ্রম করতে পেরেছে সেটা হচ্ছে মূল বিষয়।
পরিশ্রম ছাড়া সাফল্য অসম্ভব।তাই আপনি বা তুমি নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যাও। ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবেই।
মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড়। মানুষ যা স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্ন একদিন পূরণ হয় এটা আবারো প্রমানিত হল। যার মেধা আছে সে শুধু সফলতা পাবে আর যার মেধা কম সে সফলতা পাবেনা এই ধারণা ঠিক নয়। সফলতা জন্য লাগবে সঠিক গাইড লাইন,কঠোর পরিশ্রম, নিয়মিত অধ্যাবশয় , লক্ষ অটুট রেখে পড়াশোনা করলে অবশ্যই সফলতা পাওয়া যায়।এইজন্য সে আজ সফল।
কেউ এক দিনে,এক মাসে সফলতা পাইনি কেউ এক বছর, কেউ ২ বছর কেউ পাঁচ বছর কেউ ৮ বছর পর সফলতা পায়।
"সব মেধাবী কে আমি জিততে দেখিনি, কিন্তু যে কঠোর পরিশ্রম করে সে কখনো বিফল হয়েছে তা আমার চোখে পড়েনি"(রাসেল ভূঁইয়া)
তাই লাইফের সঠিক সময়ে সঠিক ডিসিশন নিতে হবে এবং লেগে থাকতে হবে ততক্ষণ যতখন পর্যন্ত সফলতা না আসবে। সঠিক সময় সঠিক পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফলতা পাওয়া যাবে। সেজন্য নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আল্লাহ উপর ভরসা রেখে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে তাহলেই ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবে।
আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আজ আল্লাহ হাফেজ
লেখক রাসেল ভূঁইয়া
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) নিকুঞ্জ-২,ঢাকা।
যারা বলে বেসরকারি পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউট থেকে পড়ে চাকরি পাওয়া যায় না এই পোস্টটা তাদের জন্য আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
অভিনন্দন স্নেহের ছোট ভাই মোঃ মেহেদী হাসান Md Mehedi Hasan বাংলাদেশ সরকারে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় অধীন Power Grid Company of Bangladesh (PGCB) উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ )তে চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগদান করায় আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।(রাসেল ভূঁইয়া)
সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা অবস্থিত স্বনামধন্য বেসরকারি পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউট "বদিউল আলম সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট" এর ১৪-১৫ সেশনের ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপাটমেন্ট একজন মেধাবী ছাত্র।
স্নেহের ছোট ভাই মোঃ: মেহেদী হাসান তোমার এই সাফল্য জন্য আমাদের কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি, কলেজের সাবেক বর্তমান শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলীর , সাবেক ও বর্তমান সকল ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।আমি এ কলেজের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে খুবই আনন্দিত ও গর্বিত তোমার এই সাফল্যের জন্য। ভবিষ্যৎ তোমার আরো উওর উত্তর সাফল্য কামনা করছি। তোমার জন্য দোয়া ভালোবাসা রইলো।
ছোট ভাই মোঃ: মেহেদী হাসান আমাদের কসবা উপজেলা ৩ নং বাদৈর ইউনিয়নের অন্তর্গত বর্ণী গ্রামের একজন মেধাবী কৃতি সন্তান সে জমশেপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে-২০১৪ সালে পরে সে "বদিউল আলম সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট" থেকে ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করে ২০১৮ সালে বের হয়।সে গাজীপুর ডুয়েড ভর্তি জন্য এডমিশনের কোচিং করে প্রথম বার এডমিশন দেয় অকৃতকার্য হয়।
তারপর দ্বিতীয় বার এডমিশন দেয় সেবার ও অকৃতকার্য হয়।পরে সে প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করা শুরু করে।সে হাল ছাড়েনি তার স্বপ্ন পূরণে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকে।তার পর সে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে (BREB) অ্যাসিস্ট্যান্ট জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করেন ২০১৯ সালে।
2019 সালে power grid company of Bangladesh (PGCB) ভাইভাতে অকৃতকার্য হয়। 2020 সালে সে পিজিসিবির
1st shift e written pass- 2020 করে।
পরে ফাইনাল পরিক্ষায় অকৃতকার্য হয়। সে পিএসসির আন্ডারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ভাইভাতে অকৃতকার্য হয়। ইঞ্জিনিয়ারদের স্বপ্নের জব Power Grid Company of Bangladesh (PGCB) তে ১-২-২০২২ ইং তারিখে যোগদান করে। Gas transmission Company limited (GTCL) ভাইভা জন্য সিলেক্টেড হয়েছে।
## সাফল্য অর্জন করতে কি ভালো স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হয়???
উঃ আমি বলবো না।
ভালো পজিশন ভালো চাকরি পেতে হলে
স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাক্ট না। আপনার বা তোমার চেষ্টা, কঠোর পরিশ্রম ও মেধা হচ্ছে আসল । ভালো ফলাফল করতে পারলে যে ভালো পজিশনে যেতে পারবে সেটা ঠিক নয়। যাদের ফলাফল ভাল নয় তারা চেষ্টা কঠোর পরিশ্রম করার জন্য আজ সফলতা পাচ্ছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল কলেজ ভালো পজিশনে ভাল চাকরির জন্য বাধার নয় আপনি কতটুকু পরিশ্রম করতে পেরেছে কতটুকু লাইফে রিক্স নিতে পেরেছেন আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণে কতটুকু পরিশ্রম করতে পেরেছে সেটা হচ্ছে মূল বিষয়।
বাস্তবতা হচ্ছে যারা স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে যাদের ফলাফল তেমন ভালো নয় চাকরির ক্ষেত্রে তারা কঠোর পরিশ্রম করে সফলতা পাচ্ছে। যারা ভাল প্রতিষ্ঠান পড়াশোনা করে তারাও পরিশ্রমের কারণে সফলতা পাচ্ছে পরিশ্রম ছাড়া সাফল্য অসম্ভব।তাই আপনি বা তুমি নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যাও। ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবেই।
একথা মনে করে নিজেকে ছোট করা যাবে না যে আমি প্রাইভেট ভার্সিটি, প্রাইভেট পলিটেকনিক,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি স্কুল কলেজে পড়াশোনা করেছি আমার রেজাল্ট ভালো না এজন্য আমি সফলতা পাবনা। আল্লাহ প্রতি বিশ্বাস, নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে কঠোর পরিশ্রম করলে সফলতা পাওয়ার আগ পর্যন্ত চেষ্টা করলে,লেগে থাকলে অবশ্যই আপনি সফল হবেন।
মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড়। এই কথা টি বলেছিলেন মরহুম আনিসুল হক, সাবেক মেয়র (ঢাকা উওর সিটি কর্পোরেশন )।
মানুষ যা স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্ন একদিন পূরণ হয় এটা আবারো প্রমানিত হল। যার মেধা আছে সে শুধু সফলতা পাবে আর যার মেধা কম সে সফলতা পাবেনা এই ধারণা ঠিক নয়। সফলতা জন্য লাগবে সঠিক গাইড লাইন,কঠোর পরিশ্রম, নিয়মিত অধ্যাবশয় , লক্ষ অটুট রেখে পড়াশোনা করলে অবশ্যই সফলতা পাওয়া যায়।এইজন্য সে আজ সফল।
কেউ এক দিনে,এক মাসে সফলতা পাইনি কেউ এক বছর, কেউ ৩ বছর কেউ পাঁচ বছর কেউ ৮ বছর পর সফলতা পায়।
"সব মেধাবী কে আমি জিততে দেখিনি, কিন্তু যে কঠোর পরিশ্রম করে সে কখনো বিফল হয়েছে তা আমার চোখে পড়েনি"(রাসেল ভূঁইয়া)
তাই লাইফের সঠিক সময়ে সঠিক ডিসিশন নিতে হবে এবং লেগে থাকতে হবে ততক্ষণ যতখন পর্যন্ত সফলতা না আসবে। সঠিক সময় সঠিক পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফলতা পাওয়া যাবে। সেজন্য নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আল্লাহ উপর ভরসা রেখে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে তাহলেই ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবে।
##চাকরি পেতে কি টাকা লাগে??
উওর হলো না লাগে না।
ছোট ভাই মোঃ: মেহেদী হাসানের এক টাকা লাগেনাই। যাদের নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকে।যারা পরীক্ষায় ভালো করবে ভাইভা ভালো করবে তারাই সফল হচ্ছে ও হবে।
সম্পুর্ন মেধার ভিত্তিতে চাকরি হয়েছে। দুইটা হয়েছে। পরিক্ষা দিলে আরো হবে।সে যেমন মেধাবী তেমনি কঠোর পরিশ্রমী এইজন্য সে আজ সফল।এইরকম আরো অসংখ্য উদাহরণ আছে আমার কাছে ।জানি অনেই বিশ্বাস করতে একটু সমস্যা হবে। কারন আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে যে টাকা ছাড়া চাকরি হয় না। কেউ যদি চাকরি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারে অবশ্যই তার চাকরি হবে। টাকা দিয়ে নয় মেধা ও কঠোর পরিশ্রম আল্লাহর রহমত দিয়েই চাকরি হয়।এটা আমি বিশ্বাস করি।
##তগদির বা ভাগ্য উপর বিশ্বাস:
আমাদের সবাইকে তগদির এর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আল্লাহ আমাদের ভাগ্যে কি হবে তা আগেই লিখে রেখেছেন।তবে কেউ চেষ্টা করলে সে তার ভাগ্যে বা রিজিক পরিবর্তন ও বৃদ্ধি করার চেষ্টা করতে পারে।
আল্লাহ যখন রিজিক দিতে থাকবেন তখন এত পরিমান দিবেন শোকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারবে না। আল্লাহ পরিশ্রম ব্যাক্তিকে কখনো হতাশ করেন না। মেহেদী ক্ষেত্রে এরকমটাই হয়েছে। সে এখন চিন্তা করে কোন চাকরি ছেড়ে কোন চাকরি করবে।
আল্লাহ কাছে চাওয়া মতো চাইলে আল্লাহ তার প্রতিদান অবশ্যই দেন।তার বাস্তব প্রমাণ হল আমার এক রুমমেট ও ছোট ভাই এনামুল হকের। আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি কঠোর পরিশ্রম এর পাশাপাশি নফল এবাদত এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ নিরাশ করেন না সেটা নিজ চোখে দেখা।
মানুষ যতই তোমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করুক না কেন তাতে কান না দিয়ে জীবনে এগিয়ে যাওয়া এবং যে স্বপ্ন দেখচ্ছো তা পূরণ করার জন্য শত চেষ্টা করা যাওয়া সাহসের সাথে ।
সত্যবাদিতা,ন্যায়পরায়নতা, অপরের কল্যান এবং ভালবাসা নিয়ে ও দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
#কোন কজই অসম্ভব নয় !!!!
একটি একটি স্বপ্ন, একটি চাকরি, নিজের সম্মান যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি একটি পরিবারের কষ্ট লাঘব হয়।
আবারও তোমার প্রতি আমার দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। আমিও তোমার কাছে দোয়া প্রার্থী। আশা করি ভবিষ্যতে তোমার জীবন আরো সুন্দর সুখময় হবে এবং কমজীবনে আরো ভালো কিছু করবে ইনশাআল্লাহ।
লেখক রাসেল ভূঁইয়া
নিয়োগপ্রাপ্ত ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) নিকুঞ্জ-২,ঢাকা।
#PGCB
আল্লাহ উত্তম রিজিক দাতা।
আল্লাহ যেখানে যার রিজিক লিখে রাখছে সেখানেই হবে।
আমার পিজিসিবির রিটেন পরিক্ষা টা ভালো হয়েছিলো কিন্তু ভাইবা টা এতোটাই খারাপ হয়েছিলো যে আমি ভাইবা শেষ করে ওয়াশরুমে গিয়ে কান্না করে দিছিলাম।
কপার লস কি এটাও বলতে পারছিলাম না।
স্যার রা আমার উপর মোটেও খুশি ছিলো না।
তারপর আমার এসএসসি রেজাল্ট খুবই খারাপ, প্রাইভেট পলিটেকনিক থেকে পাশ করেছি।
সব মিলিয়ে আমার অবস্থা টা খুবই শোচনীয় ।
তবে ভাইবা খারাপ হলেও আমাকে ২২ মিনিট ভাইবা বোর্ডে রাখছিলো , ডিপার্টমেন্ট থেকে মোটামুটি সব টপিক থেকেই প্রশ্ন ধরেছিলো।
কম্পিউটারের থিউরি + প্র্যাক্টিক্যাল দুটোই ধরেছিলো।
বেশিরভাগই পারতেছিলাম না তারপরও তারা আমাকে প্রশ্ন ধরতেইছিলো।
বোর্ডে একজন বাদে বাকি সবাই আমার উপর খুব বিরক্ত ছিলো।
সেই কষ্টে গ্রুপে ভাইবা টা শেয়ার ও করেছিলাম না।
তারপরও আল্লাহ আমাকে দুহাত ভরে দিলো,আমার চাকরি টা খুবই প্রয়োজন ছিলো! আমাকে যারা কাছ থেকে চিনে তারা জানে আমার চাকরি টা কতোটা প্রয়োজন ছিলো।
আল্লাহ আমার উপর সহায় হয়েছেন, আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া।
এটা আমার ২য় ভাইবা ছিলো।
৩ টা ভাইবা দিয়ে যে অভিজ্ঞতা টা হলো তার আলোকে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরলাম।
১। চাকরি হওয়ার জন্য প্রাইভেট পলিটেকনিক কোন বাধা হতে পারেনা।
২। রেজাল্ট কম থাকলেও আশাহত হওয়ার দরকার নাই।
আমার রেজাল্ট (এসএসসি ৪.১৭) কোনরকম ছিলো।
৩। ভাইবা খারাপ হলেই চাকরি হবেনা এটা কখনোই ভাবা যাবেনা, চাকরি মুলত রিটেন পরিক্ষার উপর নির্ভর করে।
রিটেন ভালো হইলে ইনশাআল্লাহ চাকরি হইতে আর কোন বাধ্যবাধকতা থাকেনা।
আমি বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক থেকে ২০১৪ সালে ইলেকট্রিক্যাল থেকে ৩.৪৮ সিজিপিএ নিয়ে পাশ করেছি। তার পর থেকে আজ অবধি পরিসংখ্যান......
1) DPDC (2016)- Written Fail
2) PGCB (2016) -Written Fail
3) BPDB(2016)- Written pass (Viva Fail)
২০১৫ থেকে ২০১৮ এই সময়ের মধ্যে প্রাইভেট জব করেছি আবুল খায়ের গ্রুপে + বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি ছিলাম পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এই সময়ের ভিতর না হয় আর ও অনেক পরিক্ষা দিয়েছি, কিন্তু Written পাশ করতে পারি নাই। ২০১৫ থেকে ২০১৮ এই সময় টাই আমার এবং আমার পরিবারের জীবনে অনেক উত্থান পতন হয়েছে। এর পর চিন্তা করলাম এই ভাবে হবে না। আমাকে কিছু এক টা করতে হবে। ২০১৮ তে PGCB এর সার্কুলার দেখে আফিস থেকে ৩ মাস এর ছুটি নিলাম+ BSC এর সেমিস্টার বন্ধ করে আমি এবং আমার এক ছোট ভাই Hasanat Jisan গাজীপুর এ চলে গেরাম।
♠
♠ PGCB- (2018) - Written pass (Viva Fail) ( আমার জব টা হলো না, কিন্তু #Hasnat_Jisan এর জব টা হয়ে গেলো) বতর্মানে সে #DPDC তে আছে।
♠
♠PGCB - ( 2019) - Written Fail
♠
এর পর আবার ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত আবার সেই প্রাইভেট জব +অনেক চাকরীর পরিক্ষা দিলাম, কিন্তু টিকতেছিলাম না। BSC শেষ করে। Finally জব টা চেড়ে দিয়ে গাজীপুর চলে যাই ২০২০ এর October মাস এ।
গাজীপুর যাওয়ার পর অনেক পরিক্ষা দিতেছিলাম কিন্তু টিকতেছিলাম না, এক সময় গিয়ে মনে হচ্ছে আমাকে দিয়ে হবে না। অনেক ছোট গ্রেড এর পরিক্ষা ও দিতে শুরু করলাম। ১৬,১৭,২০ তম গ্রেড এ ও পরিক্ষা দিয়েও পাশ করতে পারছিলাম না।
♠ PGCB (2020) - Written Fail
♠ 20 + Exam -( 2020+2021) - Written Fail
বার বার ব্যার্থ হয়েছি, কষ্ট পেয়েছি, হৃদয় ভেংগে গেছে কিন্তু আশা ছাড়িনি! প্রত্যেকবার ব্যার্থ হয়ে নিজেকে নিজেই সান্তনা দিয়েছি এই ভেবে, আমি তো আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেই যাচ্ছি। রেজাল্ট হয়, ফেইল করি। একবুক কষ্ট পাই বার বার, আবার একবুক আশাও বাধি বার বার! আবার স্বপ্ন দেখি! এভাবেই চলতে থাকে এই ব্যার্থতার যাত্রা।
এরই মধ্যে অনেক কাছের মানুষ তাচ্ছিল্য করা শুরু করে দেয়। বলে তোর দ্বারা আর চাকুরী হবে না। অনেকেই আবার বলে সরকারি চাকুরী হইতে মামা খালু লাগে। বাদ দে এবার। এভাবেই চলতে থাকে আমার মিশন। বার বার হেরে গেছি আর আবেগ গান শুনেছি "আমার স্বপ্ন গুলো কেন এমন স্বপ্ন হয়........"
ক্লান্ত হয়েছি কিন্তু থেমে যাইনি! বার বার বিশ্বাস করেছি আমি সফল হবই! আমাকে সফল হতেই হবে!!!
আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে সফলকাম করেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা!
♠ PGCB -( 2021) - Written pass+ Viva Pass
NB- কিছু মানুষের কথা না বললেই নয়, সব থেকে আমাকে বেশি সাপোর্টা দিয়েছে আমার বাবা এর পর মা। উনাদের দোয়া না থাকলে আজ আমি এই জায়গায় আসতে পারতাম না।
♠আর আমার কিছু বড় ভাই এবং বন্ধুরা আমাকে সব সময় সাপোর্ট দিয়েছে। Mohammad Belal #Hasnat_jisan Ilius Jabed Md Nazmul Hossain Mamun Hossain Asadus Sobhan Genesis Jony #Md_Rubel Abdullah AL Muzahid Abdul Kader Zahid Hassan Shimul Noor Saifur Rahman Rafiq Tahsin Md Abdul Ali আর ও অনেক এই, সবাই কে আমার অন্তর থেকে অনেক ধন্যবাদ।
এই পোষ্টটি করলাম যারা হতাশায় ভুগছেন, মনে করছেন আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না তাদেরকে ইন্সপায়ার করার জন্য।
লেগে থাকুন সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ!!! সফলতা আসতে বাধ্য।
আলহামদুলিল্লাহ,
সপ্ন যখন PGCB তখন পরিশ্রম এবং চেষ্টা একটু বেশি করতেই হবে।
> 2019 written=failed.
> 2020 1st shift written, final written, viva= failed.
> 2021 written, viva= success.
*এইবার আসি বেসরকারি পলিটেকনিক এর ছাত্র।*
আমার যেসব ভাইয়েরা বলেন বা মনে করেন যে, আমি বেসরকারি পলিটেকনিক থেকে পড়াশুনা করেছি, আমার CGPA ভালোনা, আমি কি জব পাবো কিনা।
আমি সেই সব ভাইদের বলতে চাই, আমি নিজেই একজন বেসরকারি পলিটেকনিক থেকে পড়াশুনা করা ছেলে। সোজা বাংলা কথা ছাগলের তিন নং বাচ্চা। আমার মাঝেও এই চিন্তা ভাবনা ছিলো যে, বেসরকারি পলিটেকনিক থেকে পড়াশুনা করেছি তাই বুঝি জব পাচ্ছিনা। অনেক যায়গায় পরিক্ষা দিয়েছি, বার বার নিজেকে সাজিয়েছি। বর্তমানে আমি PBS এ কর্মরত আছি এবং PGCB তে সুপারিশকৃত। BPDB তে ভাইভা দিয়েছি কিন্তু মন থেকে চাচ্ছি যেনো ওখানে আমার নাম না আসে, তাহলে হইত কোনো এক ভাইয়ের মুখে হাসি ফুটবে।
আমি আমার দিক থেকে একটাই কথা বলবো, জব সেই পাবে, যে যত বেশি পড়াশুনা করবে।
সকলের জন্য শুভকামনা।
পরিশেষে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
আমার রুমমেট ছোট ভাই Anamul Haque #PGCB
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিঃ-এ উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল পদে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়ায় EAB Facebook group অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ❤️❤️❤️ ❤️
মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড়।এটা আবারো প্রমানিত হল। দুই বছর আগে দেখা স্বপ্ন দুই বছর পর পূরণ হল। কঠুর পরিশ্রম ও আল্লাহ কাছে চাওয়া মতো চাইলে আল্লাহ তার প্রতিদান দেন।তার বাস্তব প্রমাণ হল আমার রোমমেন্ট এনামুল হক। আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি কঠুর পরিশ্রম করে কিভাবে সফল হওয়া যায়।
কোন কজই অসম্ভব নয় !!!!
একটি চাকরি, একটি স্বপ্ন পরিবারের কষ্ট লাঘব হয়।
Anamul haque তোমার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। আশা করি তুমি ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করবে।
অনার্সে থ্রার্ড ক্লাস রেজাল্ট তারপরও হাল ছাড়েননি-
.
পল্লব হোম দাস সিলেটের এমসি কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা নাকি তাঁকে খুব একটা পাত্তা দিতেন না। তাই মনে জেদ চেপে গিয়েছিল—ভালো একটি চাকরি পেতেই হবে। সে লক্ষ্যেই চলছিল পল্লবের কঠোর অধ্যবসায়। আলহামদুলিল্লাহ, ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি এখন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
পল্লব হোম দাস বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থীর সমস্যা হলো, হেরে যাওয়ার আগেই হারার মানসিকতা। কেবল মানসিকতার কারণেই পড়াশোনা থেকে শুরু করে জীবনের নানা ক্ষেত্রে অনেকে পিছিয়ে পড়েন। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই কাউকে বিনা লড়াইয়ে ওয়াকওভার দেওয়া যাবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বড় কথা নয়, যাঁরা লড়াই করতে জানেন, প্রতিনিয়ত তাঁরাই সফল হচ্ছেন। সবাইকে স্বপ্ন দেখতে হবে এবং স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। পল্লব দাস বলেন আমার অনার্স এর রেজাল্ট নিয়ে কিছুটা চিন্তিত ছিলাম কারণ অনার্সে আমার থ্রার্ড ক্লাস রেজাল্ট ছিল! থ্রার্ড ক্লাস রেজাল্টের কারণে ভালো কিছু চাকরিতে আবেদন করারও যোগ্যতা ছিল না! একমাত্র অধ্যবসায়ের কারণে আমি এত দূর এসেছি! একসময় ২০১০ সালে পুলিশের উপ-পরিদর্শক পদে চাকরি পাই। সে চাকরিটাও ছেড়ে দিই, কারণ তখন একমাস পরেই ছিল ৩০তম বিসিএস পরীক্ষা।’ এই বছর আমি নন-ক্যাডার পদে চাকরি পেয়েছিলাম। ৩১ ও ৩৩তম বিসিএসে অংশ নিয়ে ফলাফল ছিল একই রকম! এর মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণির আরও কয়েকটা চাকরি পেয়েছি। কিন্তু ক্যাডার হওয়ার আগে পর্যন্ত কোথাও আমার মন বসছিল না। আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে ৩৫তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডার পেয়ে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে! আমি বিশ্বাস করি 'যে হাল ছাড়ে না, যে হার মানে না, তাকে হারানোর সাধ্য পৃথিবীর কারো নাই!
আমি ২০১৭ সালে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করি তবে চাকরির প্রস্তুতি শুরু করি ২০১৯ থেকে। এখন পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ বছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তর/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪৮ টি পরীক্ষা দিয়ে ১৪ বার ভাইবা দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। আমার ডিপ্লোমা সম্পন্ন হওয়ার পর মাত্র ৩ মাস বেকার ছিলাম সেটাও নিজের ইচ্ছায়(সেই ৩ মাস গাজীপুর ছিলাম)।পারিবারিক সমস্যা থাকার কারনে প্রচন্ড ইচ্ছে থাকা সত্বেও ডুয়েট অ্যাডমিশনে যাওয়া সম্ভব হয়নি।তখন থেকেই প্রাইভেট জবে সুইচ করি এবং পাশাপাশি চাকরির প্রস্তুতি নেই।
এখন পর্যন্ত নিম্নোক্ত প্রতিষ্ঠানে ভাইবা দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে,
1. MES(casula job)Recommended
2. LGED
3. different ministry
4. HED
5. SAE(Rajuk)
6. Building inspector (Rajuk)
7. Office support staff(Director of technical education)Recommended
8. (SAE) primary and mass education (pending)
9. (ESTIMATOR) primary and mass education (pending)
10. (DRAFTSMAN) primary and mass education (pending)
11. PGCB
12. JUNIOR INSTRUCTOR (Tec/Civil)Recommended
13. JUNIOR INSTRUCTOR (construction and safety)
14. JUNIOR INSTRUCTOR (Plumbing and pipe fitting)
আমার পরামর্শ হচ্ছে যদি আর্থিক সমস্যা থাকে তবে পরিবারের বোঝা না হয়ে চাকরির পাশাপাশি প্রস্তুতি নেওয়া।নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা করলে একটু সময় লাগলেও আপনি সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ,
অবশেষে আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পোছাতে পেরেছি
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক/সিভিল)
--Collection--