আমি কোরআনের ৯০ জায়গায় পেয়েছি,আল্লাহ বান্দার রিজিক নির্ধারণ করে রেখেছেন এবং রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন। কেবল এক জায়গায় পেয়েছি, ❝শয়তান তোমাদের কে অভাব অনটনের ভয় দেখায়❞ [সূরা বাক্বারাহঃ২৬৮]
ইবলিশ ও নফস শয়তান সবসময় ব্যাক্তিকে উদ্দেশ্যহীন করার চেস্টা করবে, কারণ মানুষ উদ্দেশ্যহীন হলেই নামাজ, আমল ও কোরআন থেকে বিছিন্ন সহ তার ব্যাক্তিগত জীবনের উদ্দেশ্য হতে বিছিন্ন। সুতরাং ব্যাক্তি জীবন্ত লাশ হয়ে যাই, এতেই শয়তান পুরোপুরি সফল।অতীতের হতাশা এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার সবসময়ই ভয় দেখাতে থাকবে ।
"শয়তান একজন মানুষের ওপর তখনই সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে, যখন সে পেট একদম ভরাট করে খাবার খায়।"
ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)
সূত্র: বাদায়েউল ফাওয়াইদ: ২/২৭৩
ইবলিশ ও নফস শয়তান সবসময় ব্যাক্তিকে উদ্দেশ্যহীন করার চেস্টা করবে, কারণ মানুষ উদ্দেশ্যহীন হলেই নামাজ, আমল ও কোরআন থেকে বিছিন্ন সহ তার ব্যাক্তিগত জীবনের উদ্দেশ্য হতে বিছিন্ন। সুতরাং ব্যাক্তি জীবন্ত লাশ হয়ে যাই, এতেই শয়তান পুরোপুরি সফল।অতীতের হতাশা এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার সবসময়ই ভয় দেখাতে থাকবে ।
শয়তান যেহেতু দিন শেষে নিশ্চিত জাহান্নামী সুতরাং শয়তান সবসময় আশাহত , ঠিক তেমনি শয়তান আশরাফুল মাখলুকাত আদম সন্তানকে সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সম্মুখভাগ থেকে আশাহত করার চেষ্টা করে, যেহেতু সে নিজেই আশাহত এবং এই কাজে সেই সফল হলেই মূলত আল্লাহর ইবাদত থেকে বান্দাকে সরিয়ে রাখা যাবে এবং তার মূল টার্গেট তাকে ইবাদত থেকে সরিয়ে শয়তানের রাস্তা নিয়ে আসা এবং পর্যায়ের ক্রমে ধীরে ধীরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া সুতরাং আমাদের সবাইকে এই বিষয়টি সর্বোচ্চ দৃষ্টি দিয়ে কখনোই, এবং কখনোই আশাহত হওয়া যাবে না, শয়তান এক অদৃশ্য শক্তি দ্বারা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে এই কাজটি করে থাকে ।
এ হতাশা সাগরে ডুবিয়ে যদি আপনাকে আত্মহত্যা করে দিতে পারে তাহলে শয়তান শতভাগ এখানে সফল আর ধ্বংস হলেন বিফলে গেলেন আপনি যদি আপনার নেক আমল থেকে থাকে সেটিও
আল্লাহ্ কষ্টের পর সুখ দিবেন!"
- সূরা ত্বলাক: ৭
⭕"নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি!"
- সূরা ইনশিরাহ: ৬
⭕"আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতাগুলো আল্লাহ্'র সমীপেই নিবেদন করছি!"
- সূরা ইউসুফ: ৮৬
⭕"জেনে রেখো, আল্লাহ্'র সাহায্য নিকটে!"
- সূরা বাক্বারা: ২১৪
⭕"একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহ্'র রহমত থেকে নিরাশ হয় না!"
- সূরা ইউসুফ: ৮৭
⭕"আল্লাহ্ কোনো ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের চাইতে বেশী, এমন বোঝা চাপিয়ে দেন না!"
- সূরা বাক্বারা: ২৮৬
⭕"এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের!"
- সূরা বাক্বারা: ১৫৫
⭕"হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর! নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন!"
- সূরা বাক্বারা: ১৫৩
⭕"হে আল্লাহ্! আমি তো কখনো আপনাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি!"
- সূরা মারইয়াম: ৪
কোটি কোটি শুক্রাণুর সাথে যুদ্ধ করে প্রথম হয়ে আমি পৃথিবীতে সু'ইসা'ইড করার জন্য জন্মাই নাই ।।
আমি জন্মেছি সেরাদের সেরা হওয়ার জন্য
কারন প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আয়নায় যখন নিজেকে দেখি, তখন বারবারই মনে হয় আমিই হলাম সৃষ্টির সেরা। আমাকে আমি ছাড়া হারায় এমন সাধ্য কার আছে
তোমাদের সু'ইসা'ইড করার এতো সাহস আসে কই থেকে?
যে ছেলেটা রোজ ক্রেচে ভর করে প্রতিদিন ছয় তলা সিঁড়ি বেয়ে তার ঘরে যায়, তুমি সু'ইসা'ইড করার আগে তার কষ্টের কথা একবার ভাবো।
যেই ছেলের দুই হাতের কব্জি না থাকার পরেও শুধুমাত্র পা দিয়ে লিখে পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে জাতীয় পত্রিকা গুলোর হেডলাইন হয় তুমি তার কথা ভাবো।।
শুনো, জীবন এতো সস্তা না। জীবন তোমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে, শুধু একবার ভাবো তুমি যদি সু'ইসা'ইড করো তাহলে তুমি জীবনকে কি দিয়ে গেলে?
যেই মায়ের গর্ভে তুমি মাসের পর মাস পরম যত্নে ছিলে সেই মাকে তুমি কি দিলে?
রেললাইনের স্লিপারের উপর অযত্নে অবহেলায় পরে থাকা ছেলেটার দিকে তাকাও, তার জীর্ণ শীর্ণ শরীর আর পোশাকের দিকে তাকাও এইবার তোমার নিজের দিকে একবার তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে ভাবো তুমি তার চেয়ে ভালো আছো কিনা?
জীবনের প্রতি যদি তোমার বিরক্তি জন্মে যায়, হতাশায় ডুবে যদি তোমার নিজেকে একদম শেষ করে দিতেই ইচ্ছে করে তবে, তুমি পাবলিক হাসপাতালে চলে যাও। ওখানে গেলেই দেখেবে, যেখানে তুমি নিজেকে শেষ করে দেয়া ইচ্ছা পোষণ করছো সেখানে হাজারো মানুষ নিজেকে একটা দিন বেশি বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রাণপণে লড়াই করে যাচ্ছে।।
এবার তুমি তোমার তুমিকে জিজ্ঞাসা করো, তুমি মরে যাবে নাকি বেঁচে থাকবে। এদের চেয়ে ভালো ভাবে বেঁচে থাকবে?
শুনো পবিত্র কোরানে তোমাকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে শুধু একারণে কারণ, তুমিই পারবে পৃথিবীর সেরা সেরা কাজ গুলো করতে।
সুতরাং বেঁচে থাকার চেষ্টা করো সেরাদের সেরা হয়ে।।
মনে রেখো মরে গেলেই ফুরিয়ে যাবে, তখন তোমায় নিয়ে আর কোনো নতুন গল্প হবেনা।
তুমি হয়ে যাবে তখন সিলেবাসের বাহিরের বিষয়বস্তু।
তুমি মরে যাওয়ার সাথে সাথেই তোমার গুরুত্ব আমাদের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পরবে।
সুতরাং নিজের জন্যে বাঁচো।
নিজেকে প্রতিদিন একটু একটু করে ভালোবাসতে শেখো দেখবে, বেঁচে থাকার গুরুত্ব প্রতিদিন একটু একটু করে উপলব্ধি করতে পারছো।।
জেনে রাখো তোমার পৃথিবীর একটি ভালো কাজের মাধ্যমে যদি জান্নাত নিশ্চিত হয় সেটাকেও তুমি সুইসাইডের মাধ্যমে ধ্বংস করে দিলা অর্থাৎ যে সুইসাইড করে তার ভালো মন্দ আর কোন বিচার নাই | সে নিশ্চিত জাহান্নামে এখন সিদ্ধান্ত তোমার?