🔴অশ্লীল কোন কিছু দেখার ব্যাপারে উল্লেখ্য হাদিসে বর্ণনা রয়েছে যে হাশরের ময়দানে আল্লাহর কাছে সেই জায়গা অভিযোগ দেয়া হবে এমন করে যে অমুক জায়গায়, অমুক সময়ে এই ব্যক্তি অমুক অশ্লীল ভিডিও দেখেছিল, এই ব্যক্তির জন্য আমি শাস্তি দাবী করছি ।
🔴অশ্লীল কোন কিছু দেখা,পরকীয়া, জেনা,বেগানা নারী দেখা ইত্যাদি কাজগুলো, ঠিক সেইরকম। কোনো অতিথি আসলো, তাকে সর্বপ্রথম শাক সবজি খেতে দেয়া হলো, কিছুক্ষণ পর খাসি, গরু, মুরগী, রেজালা ইত্যাদি সুস্বাদু খাবার দেয়া হলো, কিন্তুু আপসোস সেই ব্যাক্তি শাক সবজি খেয়ে পেট ভর্তি করার কারণে আর মজার খাবার খেতে পারলো,না। ঠিক যেনা ,পরকীয়া হচ্ছে শাকসবজি, আর মজাদার খাবার হচ্ছে হালাল বউ, জান্নাতের হুর। সিধান্ত আপনার।
🔴আল্লাহতালার নিয়ামত ,নবীজির জান্নাতের জিম্মাদার এবং ভবিষ্যৎ স্ত্রীর হক,
নেককার স্ত্রী ,নেককার সন্তান, সুন্দর ভবিষ্যৎ , জান্নাত এবং জান্নাতের হুর।
আগুনের লাভা যা দুনিয়ার আগুন থেকে সত্তর গুণ বেশি গরম এবং শক্তিশালী ।
মহান আল্লাহতালা গজবে পুরুষত্ব বা পিতা হওয়ার নিয়ামত ধ্বংস করে দিতে পারেন ।
🔴আপনি যদি আপনার মন ,নফস শয়তান এবং ব্রেনের কথা শুনে কাজ কর্ম করেন, তবে এরা তিনজনেই যথেষ্ট আপনাকে জাহান্নাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে এবং দুনিয়া ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে এখন সিদ্ধান্ত আপনার?
🔴মানুষ সবচেয়ে বেশি জাহান্নামে যাবে যে দুটি কারণে এক তার মুখ, দুই তার লজ্জাস্থান , তারা সেই গীবত মত কঠিন পাপ কাজগুলো করে থাকে, যা তার অর্জিত নেক আমল কে নষ্ট করে দেয় এবং লজ্জাস্থান হারাম/ অবৈধ কাজে ব্যবহার করলে তার দোয়া সমূহ কবুল হয় না, এবং তার চৌদ্দগুষ্টিতে রোগ হয় নাই এ ধরনের রোগ তা দেখা দিতে পারে ,সে দরিদ্র হয়ে যায়, অল্প বয়সে সে মরে যেতে পারে ।
🔴ভালো কাজ করলে অন্তরের মধ্যে অন্যর মধ্যে নূর সৃষ্টি হয় এবং তা বাড়তেই তাকে ক্রমাগত, অপরদিকে পাপ করলে নূর নষ্ট হয়ে যায় এবং তা কালো থেকে কালো হতেই থাকে, এর মধ্যে দিয়ে আপনার মধ্যে সমস্ত প্রতিভা নষ্ট হয়ে যায় এবং অন্তরের মধ্যে আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায় এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ঘটে সুতরাং সাবধান।
🔴জান্নাতি হুর হবে দুনিয়ার ডিমের মধ্যে থাকা যে কুসুম তার চেয়েও সফট/ তার চেয়ে নরম । দুনিয়ার সব থেকে সুন্দর যে নারী , সে নারী সুন্দর জান্নাতি হুর এর একটি চুলের সৌন্দর্য ছেড়ে কম ।
🔴হাশরের ময়দানে সে ব্যক্তির হাতের আঙ্গুল গর্ভবতী হয়ে যাবে এবং অন্যান্য মানুষ বুঝতে পারবে , সেই ব্যক্তি সকলের সামনে লজ্জিত হবে এবং আল্লাহ তা'আলা তাকে সেই শিশু বা জীবন ফিরিয়ে দিতে বলবে , যেটি আমরা নষ্ট করেছি । আল্লাহ তাআলা বলবেন হয়তো জীবন ফিরিয়ে দাও নয়তো জাহান্নামে যাও ।
নিজেকে কিভাবে রিকভার করবেন
🟢একটি মানুষ যখন মদ ,গাঁজা ,ইয়াবা , ফেনসিডিল সহ অন্যান্য আরো অনেক বিষয়ে সেবন করে তাদের থেকেও বরং যারা পর্ন ভিডিও দেখে তাদের মস্তিষ্ক আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় | আপনি জেনে অবাক হবেন যে পর্ন ভিডিও শুধু দেখলেই মস্তিষ্কপ্রতি হয় না, আপনি যখন পর্ন নিয়ে যখন চিন্তা করেন বা নেকেট ছবি অথবা নেংটা ছবি নিয়ে যখন কল্পনা করেন বা চিন্তা করেন সেটিও আপনার মস্তিষ্কে মারাত্মকভাবে প্রভাব বিস্তার করে এবং মস্তিষ্কে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।আপনার স্মৃতিশক্তি হ্রাস সহ আরো অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়| পজেটিভ দিক হচ্ছে আপনি যদি সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চেয়ে ফিরে এসে এই কাজগুলো আর না করেন, ২১ দিনের পরে আপনি আপনার পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন এবং ধীরে ধীরে আপনার ব্রেন মস্তিষ্ক রিকভার হতে থাকবে এবং আপনি সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে
🟢আপনি যদি নামাজের যে বৈশিষ্ট্য যে গুণাবলী রয়েছে উল্লেখ অর্থাৎ নামাজ যেভাবে পড়তে বলেছেন আমার রাসূল, নামাজের সম্মানে নামাজ পড়লে এবং মাঝপথে এসে নামাজ ছেড়ে না দিয়ে ধরে রেখে যদি নামাজ পড়া চালিয়ে যেতে পারেন, তবে এসব নোংরা চিন্তাভাবনা আপনার কাছ থেকে কয়েক হাজার নয়, বরঞ্চ কয়েক লক্ষ কোটি দূরে অবস্থান করবে |
🟢একই সাথে পড়াশোনা বা চাকুরী বা ব্যবসা হালাল পথে এসব কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে ফেলা সহ, হাদিস কোরআন বাংলা গবেষণা করা সহ কোরআনের সাথে সবসময় সু-সম্পর্ক বজায় রাখা অর্থাৎ কোরআন পড়া ধরে রাখা সহ , অন্য ইসলামিক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করবেন | একই সাথে ছোট ছোট আমল , জিকির চালিয়ে যাবেন . ইনশাল্লাহ আপনি সম্পূর্ণভাবে রিকভার হতে পারবেন।।
🟢পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই আপনি যদি পৃথিবী পেয়ে যান কিন্তু আল্লাহকে পাননি মূলত আপনি কিছুই পাননি, কিন্তু আপনি পৃথিবী পান নাই, কিন্তু আল্লাহকে পেয়েছেন অবশ্যই এবং অবশ্যই আপনি সবকিছু পেয়েছেন এবং আপনি জিতে গিয়েছেন ।
হালালভাবে চলা, হালাল খাওয়া , সর্বোপরি হালাল জীবন যাপন করা আপনার মধ্যে আল্লাহর প্রদত্ত যে নূর সৃষ্টি হবে, আপনাকে পুরা পৃথিবী কে বিক্রয় করে দিলে ও বা পুরা পৃথিবীর মালিক আপনাকে বানিয়ে দিলেও সে আত্মার পরিতৃপ্ত নূর এর শান্তি আপনি পাবেন না |
সুতরাং তারা সামান্য হেসে নিক,শিঘ্রই তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য প্রচুর কাঁদবে।
(সূরা তাওবা (৮২)
"ঐ ব্যক্তি কীভাবে বুদ্ধিমান হতে পারে যে কিছু সময়ের স্বাদ উপভোগের জন্য জান্নাতকে বিক্রি করে ফেলে?" - ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)
“অতীতকে বিদায় জানাতে সাহস লাগে। সেই সাহস দেখাতে পারলে জীবন তোমাকে নতুন কিছু উপহার দেবে”
'যৌবন''
কালে যত পারো সিজদা করে নাও, কারণ আমি অনেক বৃদ্ধাকে দেখেছি সিজদা ছাড়া নামাজ আদায় করতে । (ইমাম গাজ্জালী (রঃ)
আমরা সুখ খুঁজতে গিয়ে সুখ দেওয়ার মালিক কে ভুলে যায় মনে রাখবেন আল্লাহ ছাড়া সুখ-স্বাচ্ছন্দ দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই ।
পাপ হচ্ছে এক ধরণের ভালোবাসা। আপনি এর প্রেমে পড়ে যান। এতে আসক্ত হয়ে যান। বার বার করতে থাকেন। সূরা ফুরকানের এই অংশটুকু (৬৩ নং আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত) আসলে ভালোবাসার প্রতিযোগিতা নিয়ে। কারণ আপনি অমুক গুনাহটি, অমুক আনন্দটি এতো বেশি ভালোবাসেন যে এটাকে ছেড়ে দিতে চান না। এই ভয়ে যে ছেড়ে দিলে হয়তো মনে অনেক কষ্ট পাবেন। এক রাশ দুঃখ এসে আপনাকে জড়িয়ে ধরবে।
পক্ষান্তরে, আল্লাহ বলছেন আমি তোমার মনের সেই শূন্যতাকে আমার নিজেকে দিয়ে পূরণ করে দিবো। আমি আমার সঙ্গ দিয়ে এটি ঠিক করে দিবো— আল্লাহ প্রস্তাব দিচ্ছেন।
এখন, এই সমীকরণের ক্ষেত্রে আপনার নিজেকেই নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ রকম পরিস্থিতিতে আপনাকে ফেলা হবে। আর কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাবে না, উপলব্ধি করতে পারবে না যে এমন একটি লড়াই আপনার মাথায় ঘটে চলছে। কেউ জানবে না। শুধু আল্লাহ জানবেন।
— নোমান আলী খান
অশ্লীল গল্প, ভিডিও এসব দেখার আগে দয়া করে এই পোস্টটি পড়ুন।
যদিও ছেলের কথাটি উল্লেখ করা আছে কিন্তু ছেলে মেয়ে দুজনের জন্যই এই পোস্টটি।
চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ছেলেটি মোবাইলে কি যেনো একটা দেখছে! অন্ধকার গাঢ় আবছা, কানে ইয়ারফোন।
দেখছে যিনার দৃশ্য। স্বাদ নিচ্ছে তার চোখ। বড় বড় করে তাকিয়ে আছে ছেলেটি দেখছে গোপনে নিকৃষ্ট দৃশ্যগুলি।
নিস্তব্ধ রাত ১১ টা বেজে ২০ মিনিট। নেকেড দেখছে, বা অবৈধ কোনো নারীর সাথে যিনার আলাপ করছে নিভৃতে। কত স্বাদ গুনাহ করতে!
হঠাৎ - আচমকা শরীরটা ঝাকুনি দিয়ে উঠলো! ছেলেটির মনে হলো কে যেনো ঢুকেছে রুমে কিন্তু, রুমের দরজা তো আটকানো। কি ব্যাপার, কে ঢুকলো রুমে অন্ধকারে?
হঠাৎ - শরীরটা শিউরে উঠলো। অজানা কেমন একটা শব্দ কানে বাজলো। অনুভব করতে পারলো, কেনো জানি শরীরটা অবস হয়ে যাচ্ছে!
- হঠাৎ বা দিকে দেখলো এটা কি?
- ওমাহ কে এটা? বিশাল বড় কে? আমার পাশে দাড়িয়ে আছে। কিভাবে ঢুকলো রুমে, হায় মাবুদ এ কেমন ভয়ানক মূর্তি দাড়িয়ে আছে আমার সামনে। থর থর করে কাপছে শরীর, হাত থেকে বুকের উপর পড়লো মোবাইলটা।
নেকেড চলছে পুরোদমে। মোবাইলটা বুকের উপর থেকে পিছলে ছেলেটির গায়ের পাশে গিয়ে পড়লো, কিন্তু চলছে উলঙ্গ নারী - পুরুষের যিনার ভিডিও।
হয়তো মৃত্যুর ডাক পড়ে গেলো তার।
- সে দেখছে মালাকুল মউতকে দাড়িয়ে আছে মৃত্যু দূত।
একটু আগেও দেহটা ছিলো অনেক গরম, কিন্তু মুহূর্তেই ঝিম মেরে ঠান্ডা হয়ে গেছে। মৃত্যু আজ তার সামনে, মনে মনে ভাবছে হায় আপসোস! একটু যদি তওবা করতে পারতাম! কিন্তু সময় যে আর নেই।
ছেলেটি পাপ ছাড়তে পারেনি এর আগেই ডাক পড়ে গেছে মৃত্যুর। সময় ও পাইনি তওবা করতে। মোবাইলে ছিলো অগনিত উলঙ্গ ভিডিও ছিলো কত রঙ, বেরঙের সুরেলা গান। ডিলিট ও করতে পারেনি তার আগেই মৃত্যু হাজির।
- মৃত্যু ডাকছে তাকে, আসো হে নাপাক আত্মা!
- আসো হে নাপাক জালিম! নফসের উপর অত্যাচারী রুহু।
ভয়ে রুহু দৌড়াদৌড়ি শুরু করলো দেহের আনাচে কানাচে। পা দুটি হিম ঠান্ডা হতে শুরু করলো। কেউ নেই পাশে চোখ উল্টিয়ে ভয়ে, গলাটাও শুকিয়ে গেছে। পাশেই পড়ে আছে নেকেডের মোবাইলটা।
হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে বসে হুম! কেউতো নেই, মৃত্যু দূত চলে গেছে আমাকে সুযোগ দিয়ে।
- তাই সময় থাকতেই ভাই, মোবাইলটা হাতে নিয়ে যা অশ্লীল কিছু আছে সব ডিলিট করো। যতো অবৈধ কিছু আছে সব মুছে ফেলো, তওবা করো,, হে আল্লাহ তুমিতো মহান, ক্ষমতাশীল, দয়াবান, মেহেরবানি করে আমাকে ক্ষমা করে দাও।
সকল খারাপ কাজ থেকে আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেফাজত করুন আমিনলজ্জা নয় জানতে হবে।
হস্তমৈথুন থেকে ফিরে আসার জন্য জানুন!!!!!!
হস্তমৈথুনের কারনে আপনার কিকি ক্ষতি হচ্ছে :
১) আপনার সশরীর দূর্বল হয়ে যায়।
২) চুল পরে যায়।
৩) চুল পেকে যায়।
৪) মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
৫) স্মরণ শক্তি কমে যায়।
৬) মাসল বা পেশি নষ্ট হয়ে যায়।
৭) কাজের মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়।
৮) অসময়ে ঘুম পায়।
ঊমি উর্মিলা!
নিয়মিত টিকটকার।
লক্ষ লক্ষ পেরিয়ে তার ফলোয়ার, ভিওয়ার্স।
প্রতিদিন অগনিত কন্টেন্ড ভিডিও।
ভিডিও মেকআপ করার জন্য দু তিনদিন পর পর নতুন ড্রেস কিনতে হয় তার।
টিকটক আইডিতে শত শত নাচের ভিডিও ।
কিনে এনেছেন দামি দামি রিং লাইট।
গত সোমবার রাত ১২ টা।
ঊমি নিজ রুমে ভিডিও বানাচ্ছে।
সকাল হলে আপলোড করবে নিজ টিকটক আইডিতে। ভিডিওর কাজ শেষ করে ঊমি নিজ বেডে শুয়ে পড়ে।
এবং দেখা শুরু করে অন্যান্য টিকটকারদের ভিডিও... এক সময় ঘুমের অতল গহব্বরে ডুবে যায়।
সকাল ৮ টা বাজে।
ঊমির মা ঊমিকে ডাকতে যায় নাস্তা করার জন্য।
উমি অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে আছে।
পাশে পড়ে আছে মোবাইল।
হাতে নিতেই দেখা যায় রাতে টিকটক ডান্স দেখতে দেখতেই সে ঘুমিয়ে পড়েছে।
কেননা মোবাইলটি টিকটক এপ্সেই ঢুকা ছিল।
অনেকক্ষন ডাকাডাকি করার পরেও সাড়া মিলছেনা ঊমির।
চিল্লাচিল্লি শুরু করলে দেখা যায় ঊমি রাতে ঘুমের মধ্যেই মা রা গিয়েছে।
সারা শরির শক্ত কাঠ হয়ে আছে।
ঊমির হাতটি মোবাইল ধরা অবস্হায় ছিল।
তাই হাতটি যেমন ছিল তেমনই শক্ত হয়ে গিয়েছে হাতটি সোজা করা যাচ্ছিলনা।
সারা শরির শক্ত হয়ে পড়েছে।
ঘুমের মধ্যে বা টিকটক দেখা অবস্হাতেই তার মৃ ত্যু হয়
ঊমি নেই রয়ে গিয়েছে তার শত শত অর্ধন/গ্ন ভিডিও।
ঊমি আজ" কবরে" যারা ঊমির নাচ ডান্সের ভিডিওগুলি দেখছে তারা জানানেইনা যে যার ডান্সের ভিডিও দেখছি সে একজন মৃ/ত।
আফসোস- মানুষ তার মৃ/ত্যুর পরেও পাপ জারি রেখে যায়।
যদিও ভিডিওগুলি ডিলেট করে দেয়া হয় তবু কিয়ামত পর্যন্ত এই গোনাহ তার কবরে জারি থাকবে কেননা সে তো নিজে আর ভিডিওগুলি ডিলেট করে তাওবা করে যায়নি।
এভাবে অগনিত ঊমিরা " কবরে চলে যায়।
থেকে যায় তাদের জারিকৃত পাপ গুলি.......
ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ২০ বছর যাবত কাজ করে এই ধরনের একজন নির্মাতার সাথে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিল। তিনি সেখানে বলেছিলেন যে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এখানে ঘটেছে প্রতিনিয়ত । আমি তার দুই একটা শুধুমাত্র বলছি এমনও একদিন হয়েছে যে একটি মেয়ে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে না রুমের মধ্যে পায়খানা বা টয়লেট করে দিয়েছিল, আর একটি মেয়ে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বমি করে দিয়েছ।
আপনি কি এমন কোন ব্যবসাকে সমর্থন করবেন, যে ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত নারীরা যৌন নির্যাতনের শিকার (হয়তো সবাই না)? পর্ন অবমাননাকর সব যৌন নির্যাতনে পরিপূর্ণ। সেখানে কর্মরত নারীরা স্বেচ্ছায় এসব মেনে নেয় না। কিন্তু পর্নোগ্রাফাররা ব্যাপারগুলো লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে চায়।
একজন সাবেক পর্ন অভিনেত্রী বলেন[১],
“আমার উপর তারা শারীরিক নির্যাতন চালাত… অধিকাংশ মেয়েরাই কাঁদত, তাদেরও অস্বাভাবিক কষ্টের মধ্যে থাকতে হত… আমি নিশ্বাস নিতে পারতাম না। তারা আমাকে মারত, আমার গলা টিপে ধরত। আমি অনেক কষ্ট পেতাম। তারপরও তারা থামত না। অনবরত শুটিং করে যেত। আমি তাদেরকে অনুরোধ করতাম ক্যামেরা বন্ধ করতে, কিন্তু তারা শুটিং করেই যেতো…”
পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে যা করা হয়, তা আবু গারিবের সাথে তুলনায় কম কিছু নয়। অনেক দৃশ্য আছে যা দেখলে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যাবে। অথচ পশুর চেয়েও জঘন্য পর্নোগ্রাফারদের মতে, সব নারীরা স্বেচ্ছায়, খুশি-মনে পর্নে কাজ করে!
কিছু উদাহরণ দেই।
২০১১ সালে মায়ামিতে নারী পাচারের দায়ে ২ জন যুবককে ৫ বছরের জেল দেওয়া হয়। [৬] তারা মডেলিংয়ের বিজ্ঞাপন দিত। নারীরা বিজ্ঞাপন দেখে আসলে, তাদেরকে গোপনে নেশা-দ্রব্য খায়িয়ে কিডন্যাপ করত। তারপর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও করত। পর্ন হিসেবে বিভিন্ন দেশে-বিদেশে, ওয়েবসাইট ও স্টোরে ছড়িয়ে দিতো।
একই বছরে এক দম্পতি মানসিকভাবে অসুস্থ একটি মেয়েকে চাবুক মেরে, দম বদ্ধ করে, ইলেকট্রিক শক দিয়ে, পানিতে চুবিয়ে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না মেয়েটি পর্ন ভিডিওতে অংশগ্রহণ করতে রাজি হয়। সেই মেয়েটির নির্যাতিত অবস্থার একটি ছবি হাস্টলার ম্যাগাজিন গ্রুপের একটি পাবলিকেশনের ফ্রন্ট পেইজেও আসে।[৭]
আচ্ছা, বলুন তো, সেই মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটি কি “স্বেচ্ছায়” পর্ন ভিডিওতে অংশগ্রহণ করেছিল? আপনি হয়ত বলতে পারেন যে, মেয়েরা নিজের ইচ্ছায় এসকল বিজ্ঞাপনে সাড়া দেয়। কিন্তু আপনি কি নিশ্চিত পর্ন ইন্ডাস্ট্রির প্রত্যেকটি ভিক্টিম নিজের ইচ্ছায় এ সব করে? আমরা সবাই জানি, অনেকেরই সম্মতি থাকে না, তারা বাধ্য হয় এসব করতে।
এখানে মূল বিষয় হল, কেউ রেইপ পর্ন ছাড়া অন্য কোন পর্ন দেখে কখনই আসল ব্যাপারটা আঁচ করতে পারবে না। শুধুমাত্র কেউ নীল পর্দায় হাজির হল বলেই আপনি ধরে নিতে পারবেন না যে, এই ভিডিও করায় তার সম্মতি আছে… কাউকে বাধ্য করে বা গোপনেও যে এমন কাজ করা যেতে পারে ব্যাপারটা ভুলে যাবেন না।
টানা ৩৫ মিনিট চাবুক ও বেত্রাঘাতের নির্যাতনে সহ্য করা একজন নারী পর্ন অভিনেত্রীর স্বীকারোক্তি, “আমি কখনোই এত জঘন্য নির্যাতনের শিকার হইনি। আমার দেহের বিভিন্ন জায়গায় স্থায়ী ক্ষত তৈরি হয়েছে। আমি কখনোই জানতাম না যে, এই ধরনের নির্যাতনের স্বীকার হতে হবে আমাকে
নীল ছবি নিয়ে বিশুদ্ধবাদীরা যতই নাক উঁচু করেন না কেন এই পর্ন ইন্ডাস্ট্রি যে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সেটা তথ্যই প্রমাণ করে। মানুষ নীল ছবির হাতছানিতে মাঝেমাঝেই ধরা দেয়, কিন্তু পর্দার ওপারে ঠিক কী ঘটে? সেই পর্ন ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অজানা দশ তথ্য
১০) পর্ন রোজগার- সাধারণ পুরুষ পর্ন অভিনেতারা ছবি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা রোজগার করেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে রোজগারের অঙ্কটা দ্বিগুণ হয়। আর সমকামী পর্নের ক্ষেত্রে রোজগারটা সাধারণ ক্ষেত্রের তিন গুণ হয়। তবে পর্নস্টার বা পর্ন তারকরা ঘণ্টায় এক হাজার থেকে ৫ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা রোজগার করেন।
৯) পর্ন তৈরি- বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্ন সিনেমা তৈরি হয় আমেরিকায়। দু নম্বরে জার্মানি। আমেরিকায় সপ্তাহে গড়ে ৫০০টি ও জার্মানিতে ৪০০টি পর্ন সিনেমা তৈরি হয়।
৮) পর্ন আসক্তি- এক সমীক্ষায় প্রকাশ ১০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ অনলাইনে পর্ন দেখাটা তাদের যে কোনও নেশাকে হার মানিয়েছে।
৭) পর্ন ও যৌন অপরাধ- সমীক্ষায় প্রকাশ যে দেশে পর্নোগ্রাফিক সিনেমা দেখার বিষয়ে কোনও বাধা নিষেধ নেই সেখানে যৌন হিংসা বা অপরাধের সংখ্যা কম হয়। যদিও অন্য এক সমীক্ষায় প্রকাশ পর্ন সিনেমা বেশি দেখা দেশে, যৌন অপরাধের সংখ্যা তুলনায় বেশি।
৬) পর্ন হিসেব- আমেরিকায় প্রতি ৩৯ মিনিটে একটি পর্ন ছবি তৈরি হয়। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র দুটি রাজ্যে পর্ন ছবি তৈরিতে অনুমতি আছে।
৫) পর্ন ডট কম- গোটা বিশ্বে সাড়ে চার কোটি পর্ন ওয়েবসাইট আছে। দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের প্রতি মাসে পেজ ভিউজ সিএনএন, ইএসপিএনের তিন গুণ।
৪) পর্ন ব্যয়- প্রতি সেকেন্ড পর্নগ্রাফির পিছনে খরচ হয় প্রায় ৩ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
৩) চাইল্ড পর্নোগ্রাফি- দুনিয়ার সেরা ২০টি উন্নত দেশ বলেছে তাদের দেশের সেরা দশটা বড় সমস্যার মধ্যে প্রথমের দিকে আছে শিশু বা চাইল্ড পর্নোগ্রাফি। ভারত শিশু পর্নোগ্রাফি রুখতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে।
২) পর্ন দেখা- যে কোনও মুহূর্তে বিশ্বের ৩০ হাজার মানুষ পর্নোগ্রাফিক সিনেমা দেখছেন। ৩৭২ জন মানুষ গুগল সার্চে লিখছেন অ্যাডাল্ট বা পর্ন জাতীয় সিনেমা বা ছবি।
১) শরীরী ব্যবসা- পর্ন ইন্ডাস্ট্রি হলিউড, গুগল, এনএফএল, ইয়াহু, ইবে, আমাজনের থেকেও অনেক বেশি বড় ও লাভবান। সেক্স ইন্ডাস্ট্রি (পর্ন সিনেমা, দেহব্যবসা, স্ট্রিপ ক্লাব, নারী পাচার) হল বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা।
জনপ্রিয়তাই কোনো অংশেই কম যান না তাঁরা। তবু ‘নিষিদ্ধ’-এর তকমা সেঁটে রয়েছে তাঁদের গায়ে। অবমাননার শিকার হওয়াও নিত্যদিনের ঘটনা তাঁদের কাছে। হ্যাঁ, তাঁরা সকলেই পর্ন তারকা। তবে শুধু নীল ছবিই নয়, তার বাইরে ব্যক্তিগত জীবনেও স্বতন্ত্র তারকা। সে-খবর আমরা আদৌ কি রাখি? তাঁদের মধ্যে এখনও কেউ হয়তো টিকে রয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে, কেউ আবার বিদায় নিয়েছেন। জেনে নেওয়া যাক এমনই কিছু পর্ন তারকাদের অজানা গল্প…
সানি লিওন— একটা সময়ে নীল ছবির পর্দায় ঝড় তুলেছিলেন তিনি। ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশনও। তারপর পর্ন দুনিয়াকে বিদায় জানিয়েই সানি ঢুকে পড়েছিলেন বলিউডে। রয়েছে সুগন্ধী এবং প্রসাধনীর ব্যবসাও। কিন্তু এর বাইরে অনালোচিত থেকে গেছে তাঁর চরিত্রের একটি মানবিক দিক। বছর দুয়েক আগে দরিদ্র শিশুদের জন্য মুম্বাইয়ে একটি আর্ট স্কুল স্থাপন করেন সানি। শুধু তাই নয়, তাঁর প্রথম সন্তানটিও কিন্তু দত্তক নেওয়া একটি অনাথ আশ্রম থেকে।
ড্যানি ড্যানিয়েল— ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নতুন করে পরিচিত করানোর দরকার নেই এই নামটির সঙ্গে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে পর্নের জগতে তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। যদিও তাঁর আসল নাম কিরা লি। মেধাবী শিক্ষার্থী হয়েও স্রেফ দারিদ্র্যের জন্যই পর্ন দুনিয়াকে বেছে নিতে হয়েছিল তাঁকে। তবে তাঁর বাস্তব জীবন অবাক করার মতোই। পর্দার জগতের বাইরে খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী ড্যানি। তাঁর আঁকা ছবি প্রদর্শিত হয় বিভিন্ন প্রথম সারির গ্যালারিতে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছেন ড্যানি। কোভিডের সময়েও কয়েক লক্ষ ডলারের অনুদান নিয়ে তিনি পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দরিদ্রদের।
মিয়া খালিফা— পর্নের দুনিয়ায় খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছালেও, বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তাঁর। নীল ছবিতে হিজাব পরার জন্য রীতিমতো প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত এসেছিল তাঁর কাছে। কিছুদিন আগেই নীল ছবিকে বিদায় জানিয়েছেন মিয়া। তবে শেষ হয়ে যায়নি কেরিয়ার। আমেরিকার পেশাদার বাস্কেটবল খেলোয়াড় গিলবার্ট অ্যারিনেসের সঙ্গে জুটি বেঁধে মিয়া এখন স্পোর্টস টক শো-এর সঞ্চালক। খেলার প্রতি তাঁর শৈশবের আগ্রহকেই যেন নতুন করে আবিষ্কার করতে চলেছেন তিনি। সেইসঙ্গে জড়িয়েছেন চ্যারিটিতেও। চলতি বছরেই দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত দুই শিশুর চিকিৎসার জন্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের অনুদানের বন্দোবস্ত করেন মিয়া।
জনি কিইস— পর্নের জগৎ থেকে তিনি বিদায় নিয়েছেন বহুদিন। বলতে গেলে তিনিই ছিলেন বিশ্বের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পর্ন তারকা। স্কুলজীবনে চ্যাম্পিয়ন বক্সার হওয়া সত্ত্বেও দারিদ্র তাঁকে টেনে এনেছিল অ্যাডাল্ট ফিল্মের জগতে। পরে সেনাবাহিনীতেও যোগ দেন তিনি। অবসরের পর নাট্যাভিনয় এবং সঙ্গীতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন জনি। বর্তমানে তিনি কান শহরের কালচারাল আইকন। হ্যাঁ, হামেশাই জ্যাজ সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে তাঁকে দেখা যায় স্টেজে। সিয়াটেলে রয়েছে তাঁর একটি আস্ত বাস্কেটবল অ্যাকাডেমিও।
লিসা অ্যান— নৃত্যশিল্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল কিশোর বয়স থেকেই। নাচের জগতে পেনসিলভেনিয়ার কিশোরীর জনপ্রিয়তাও কম ছিল না। ১৫ বছর বয়সে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সারা পালিনের প্রচার-প্যারোডিতেও নাচতে দেখা গিয়েছিল লিসাকে। কিন্তু সেই একই দারিদ্র্যের গল্প। অর্থের জন্য প্রথাগত নাচ ছেড়ে স্ট্রিপারের ভূমিকায় নামতে হয় তাঁকে। সেখান থেকে পর্ন। বর্তমানে স্পোর্টস রেডিও শো ‘সিরিয়াস এক্সএম’-এ কণ্ঠ দেন লিসা।
ট্যাবিথা স্টিভেন— প্রথম জীবনে লিসার মতো ট্যাবিথাও ছিলেন নৃত্যশিল্পী। তিনিও পর্ন দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ করেন স্ট্রিপিং-এর সূত্র ধরেই। তবে পর্ন ছাড়ার পর সম্পূর্ণ এক ভিন্ন জীবনযাপনের অভ্যস্ত ট্যাবিথা। আমেরিকার ইউটা প্রদেশে স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে আস্ত একটি ফাইন-আর্ট গ্যালারি চালান তিনি। সেইসঙ্গে নিজেও চুটিয়ে ফটোগ্রাফি করেন ট্যাবিথা।
ব্রিটনি অ্যানড্রুস— ব্রিটনির গল্পটা একটু অন্য। লিসা কিংবা ড্যানিদের মতো অর্থাভাবে পর্নে আসেননি ব্রিটনি। বরং, পর্ন তারকা হওয়াই ছিল তাঁর স্বপ্ন। পরবর্তীতে নিজের পৃথক পর্ন প্রোডাকশন হাউসও তৈরি করেন তিনি। সেইসঙ্গেই চলত দেশ-বিদেশের পত্রিকায় মডেলিং। তবে সেখানেই আটকে থাকেননি তিনি। শিখেছেন ডিস্কো জকির কাজও। বর্তমানে ‘স্কাম আর্টিস্ট’ নামে একটি ডিজে এজেন্সির মালিক ব্রিটনি। গোটা বিশ্বজুড়েই নানান জায়গায় ডিজে-র শো করেও বেড়ান তিনি।
ড্যারেন জেমস— অল্প বয়সেই হারিয়েছিলেন বাবা-মাকে। ছিল না মাথ গোঁজার ঠাঁইটুকুও। বলতে গেলে তাঁকে ডেট্রয়েটের রাস্তা থেকেই তুলে এনেছিলেন এক পর্নফিল্মের প্রোডিউসার। নীল ছবিতে তাঁর অভিষেক হয়েছিল কৈশোরকালেই। পর্নজগৎ তাঁকে দু’হাত ভরে অর্থ দিলেও, এই পর্নের জন্যই এইচআইভি-তে আক্রন্ত হন ড্যারেন। তবে হতাশায় ডুবে যাননি তিনি। বরং, এই রোগের বিরুদ্ধেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দরিদ্র এইডস আক্রান্তদের চিকিৎসার খরচ বহন করে চলেছেন ড্যারেন। সেইসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছেন মোটিভেশনাল স্পিকারের ভূমিকাতেও।
ক্যাসি লেইন— কয়েক বছর আগের কথা। নীল ছবিতে সর্বোচ্চ বেতনের তারকা হয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন ক্যাসি। তারপরেই হঠাৎ হারিয়ে যান তিনি ইন্ডাস্ট্রি থেকে। কিন্তু কারণ কী? এখানেও ঘুরে ফিরে আসবে দারিদ্র্যের গল্পি। মেধাবী শিক্ষার্থী এবং নৃত্যশিল্পী ছিলেন ক্যাসি। কিন্তু উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হওয়ার মতো সামর্থ্যটুকুও ছিল না তাঁর। পর্নকে বেছে নেওয়া সেই থেকেই। উপার্জনের পর ফের পুরনো জীবনেই ফিরে যান ক্যাসি। ভর্তি হন আমেরিকার একটি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে।
জেট সেটিং জ্যাসমিন— পর্নের দুনিয়া বাইরে থেকে সৌখিন লাগলেও, সুন্দর নয় কাছ থেকে। বিগত উদাহরণগুলি থেকে ভালোমতোই বোঝা গেছে সেটা। শুধু অর্থের জন্য ক্যামেরার সামনে শরীর ‘বিক্রি’ করা খুব একটা সহজ কাজ নয় মোটেই। সেইসঙ্গে মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় হামেশাই। তেমনটাই হতে হয়েছিল জেট জ্যাসমিনকেও। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত তরুণ পর্ন তারকাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জ্যাসমিন। বর্তমানে পর্ন তারকার পাশাপাশি তিনি একজন থেরাপিস্ট। সেইসঙ্গে সেক্স এডুকেটরও। সেক্স সম্পর্কে সমাজের প্রচলিত ট্যাবু ভেঙে ফেলাই এখন প্রধান লক্ষ্য তাঁর
সাশা গ্রে— টিনেজ পর্ন তারকা হিসাবেই নীলছবির দুনিয়ায় অভিষেক হয়েছিল তাঁর। বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন সাশা। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই পর্ন কেরিয়ারে ইতি টানেন তিনি। সেটা ২০১১ সালের কথা। ফেসবুকে প্রকাশ্যে অবসরের কথা ঘোষণা করেন তিনি। জানান, এবার থেকে তাঁর পরিচয় একজন ‘আর্টিস্ট’। হ্যাঁ, সাশার ব্যক্তিগত জীবন রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতোই। পর্নের বাইরে অভিনয়, সঙ্গীত এবং সাহিত্য— তিনটি ক্ষেত্রেই সাফল্য অর্জন করেছেন সাশা। শুনলে চমকে উঠবেন, টম ক্রুসের মিশন ইম্পোসিবল ৪-এর ‘ফল আউট’ গানটির কণ্ঠশিল্পী তিনিই। তাঁর গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স দেখা গিয়েছিল গার্ডিয়ান অফ দ্য গ্যালাক্সি ছবিতেও। বর্তমানে দাম্পত্য সম্পর্ক, প্রেম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মোটিভেশনাল স্ট্রিমিং-ও করেন তিনি। সেইসঙ্গেই চলছে দ্বিতীয় উপন্যাস লেখার কাজ।
অনেকেই মনে করেন, পর্ন তারকাদের জীবন বিলাসবহুল। আবার কেউ ভাবেন, যৌনতার নেশায় মত্ত হয়ে তাঁরা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। আর সেই টানেই অনেকে বাধ্য হয়ে নীল ছবির নির্মাতাদের ক্যামেরার সামনে নিজের সবটুকু উজাড় করে দেন।
পর্ন ছবির দুনিয়া কেমন? নীল ছবির জগতের নানা দিক তুলে ধরে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন সমান্থা বেন্টলি নামে এক পর্ন তারকা। ক্যামেরার সামনে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার কাজ যে কতটা কঠিন, সেই কথা তুলে ধরেছেন নীল ছবির দুনিয়ার ওই শিল্পী। এমনকি ঋতুস্রাবের মধ্যেও শুটিং করতে হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। যা অত্যন্ত কষ্টকর বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, শত কষ্ট হলেও পেটের টানে, নিজের পেশার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এই কাজ করতে হয় পর্নশিল্পীদের।
অনেকেরই ধারণা, পর্ন ছবিতে কাজ করে লাখ লাখ টাকা কামানো যায়। কিন্তু সত্যিই কি তাই? সমান্থা জানিয়েছেন, অন্য পেশায় যেমন পরিশ্রম করলে তার সুফল মেলে, নীল ছবির দুনিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। সেখানেও পরিশ্রমের উপর ভিত্তি করেই পারিশ্রমিক জোটে।
সামান্থার কথায়, ইন্ডাস্ট্রি অনেক বড়। প্রচুর নতুন মুখের ভিড় বাড়ছে। ফলে প্রতিযোগিতাও আছে। দর্শকরা রোজ রোজ নতুন জিনিস দেখতে চান। যদি আপনি কঠোর পরিশ্রম করেন এবং সঠিক ভাবে এই পেশায় কাজ করেন, তা হলে অনেক টাকা রোজগার করতে পারেন।
মোদ্দা কথা হল, আর চার-পাঁচটা পেশার মতোই এখানে প্রতিযোগিতা রয়েছে এবং নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে, ভাল উপার্জন করতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। নীল ছবির কাজ বলে সহজে কিছু হয় না। প্রতিযোগিতা আছে বলেই নীল ছবির দুনিয়াতেও সহকর্মীদের মধ্যে রেষারেষি, ঈর্ষাও রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে একটা পার্থক্য রয়েছে।
ধরুন, যে ব্যক্তির সঙ্গে আপনার বনিবনা হয় না, বা যাঁকে আপনি পছন্দ করেন না, তাঁর সঙ্গেই হয়তো আপনাকে যৌনতায় লিপ্ত হতে হবে। কিন্তু নীল ছবির দুনিয়ায় যদি আপনি নিজের একটা জায়গা করতে পারেন, তা হলে আপনি অপছন্দের ব্যক্তির সঙ্গে যৌনতার দৃশ্য করতে আপত্তি জানাতে পারবেন। সেই জায়গাটা যত দিন না তৈরি করতে পারেন কোনও পর্নশিল্পী, তত দিন তাঁর পছন্দ-অপছন্দকে পাত্তা দেন না নির্মাতারা। যাঁকে পছন্দ করেন না, তাঁর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়া সত্যিই কঠিন কাজ।
নীল ছবি দেখা যতটা সুখকর, ছবির সঙ্গে যুক্ত কুশীলবদের জীবন বোধহয় ততটা সুখকর নয়। এই ছবির শুটিং করতে গিয়ে অনেক ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয় শিল্পীদের। রোজ বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে নিজের শরীরকে মেলে ধরা শিল্পীদের জন্য একে বারেই উত্তেজনাপূর্ণ নয়।
সমান্থার কথায়, যৌনরোগে আক্রান্ত হওয়ায় ভয় থাকেই। আর সে কারণে অনেক সাবধানতা মেনে চলতে হয় শিল্পীদের। অনেকেই ভাবেন, পর্ন ছবির শুটিং উত্তেজনায় ভরপুর থাকে। কিন্তু আদতে তেমনটা হয় না। শুটিংয়ের সেটও অত চিত্তাকর্ষক হয় না। পর্নশিল্পীরা কেউই অপ্সরা নন। অনেক সময়ই রূপটান না করেই ঘুরে বেড়ান সেটে। তাঁরাও মশলা দেওয়া খাবার খান। তাঁদের চোখেমুখেও ক্লান্তির ছাপ থাকে। শুটিঙের মাঝে প্রিয় জনের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন। অধিকাংশ যৌনদৃশ্যেরই কোরিওগ্রাফ করা হয়। এক কথায়, নীল ছবির শুটিং আর চার-পাঁচটা ছবির শুটিঙের মতোই হয়। আলাদা করে কোনও উত্তেজনা থাকে না।
নীল ছবির দুনিয়াতেও বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়। সেখানেও রেড কার্পেটের ব্যবস্থা থাকে। এই প্রসঙ্গে লাস ভেগাতে ‘এভিএন অ্যাওয়ার্ডসে’র কথা বলেছেন সমান্থা। এই পুরস্কারমঞ্চে মনোনীত হতে পারা স্বপ্নের মতো। এই পুরস্কারকে ‘অস্কারস অফ পর্ন’ বলা হয়।
সমান্থার কথায়, নীল ছবির শুটিং নিয়ে সাধারণ মানুষ যেমন কল্পনা করেন, বাস্তবে কিন্তু তেমনটা হয় না। নীল ছবি দেখতে ভাল, কিন্তু তৈরি করতে অনেক শ্রম লাগে। আর তারই নেপথ্যকাহিনি তুলে ধরেছেন ওই পর্নতারকা।
শরীরে বিশেষ উত্তেজনা পেতে সারা বিশ্বের বহু মানুষ নীলছবি দেখে থাকেন। কিন্তু এই সিনেমাগুলোর শুটিংয়ের নেপথ্যে কী চলে, তা কেউই দেখতে পান না। সে কাহিনি অনেক সময়ই মজা বা সুখের হয় না। চরম বেদনার পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েও যেতে হয় কুশীলবদের।
এসব সিনেমা দেখে মানুষ কামোন্মাদনা লাভ করেন। কিন্তু নেপথ্যকাহিনি জানলে শিউরে উঠতে হয়।
সেই যন্ত্রণাই প্রকাশ্যে আনলেন এক পরিচালক। বোঝালেন, শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য কি না করতে হয় তাদের। ওই পরিচালকের নাম ইভান সাইডারম্যান। নীলছবি নির্মাণকারী সংস্থা ‘অল্ট ইরোটিক’-এর সিইও তিনি।
২০ বছরের বেশি সময় ধরে নীলছবি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ইভান। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন একটি ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমে। যে অভিজ্ঞতা শুনলে শিউরে উঠতে হয়। বলতে ইচ্ছা করে ‘এ এক বীভৎস মজা।’
প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্রের এই নির্মাতা স্বীকার করেন, নীলছবি বানানোর সময় অনেক রকম অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এমনকি, শুটিং চলাকালীন এক বিশেষ পরিস্থিতিতে অভিনেতা মলত্যাগ করে ফেলেছেন, এমন ঘটনারও সাক্ষী তিনি।
ইভানের কাছে এক সংবাদ মাধ্যম জানতে চায়, নীলছবি সিনেমা পরিচালনার সময় তাকে কী কী মুহূর্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে? এর পরই নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন তিনি। ইভান যখন প্রথম নীলছবি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হন, তখন নীলছবি দেখার জন্য কোনো অর্থ দিতে হতো না।
ইভান জানান, একদিন সিনেমার সেটে এক নীলছবি তারকা তার প্রেমিককে নিয়ে আসেন। তখনও তিনি পরিচালনার কাজে হাত দেননি। একজন সাধারণ সদস্য হিসাবে কাজ করছিলেন। কীভাবে অভিনয় করতে হবে, তা তাদের বোঝাচ্ছিলেন পরিচালক। বোঝানোর সময় নিজের পরনের প্যান্টও খুলে ফেলেন পরিচালক।
কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। সবাই গিয়ে দেখেন, ওই পরিচালককে মারতে উদ্যত হয়েছেন নীলছবি তারকার প্রেমিক! বিশালাকায় ওই প্রেমিককে দেখে যথেষ্ট ভয়ও পান ওই পরিচালক।
প্রেমিকের দাবি ছিল, অভিনয় বোঝানোর নামে যৌ..নসুখ পেতে চেয়েছিলেন ওই পরিচালক। তাই আসল অভিনেতাদের না পাঠিয়ে তিনি নিজেই ওই কাজ করছিলেন!
সাধারণত নীলছবি তারকাদের সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে শুটিং সেটে নিয়ে যাওয়ার এখতিয়ার থাকে না। তবে এ ক্ষেত্রে পরিচালক এই অনুমতি দিয়ে নিজেই বিপদে পড়ে যান। পরিচালক প্রেমিকটিকে অনেক বোঝান যে, তিনি সত্যি সত্যিই তার প্রেমিকার সঙ্গে সঙ্গম করেননি। শুধু অভিনয় করছিলেন। কিন্তু অনেক বোঝানোর পরও ওই প্রেমিককে শান্ত করা যায়নি।
পরে অবশ্য ওই নীলছবি তারকাকে তার প্রেমিকের ব্যবহারের ফল ভুগতে হয়েছিল। এই ঘটনার পরপরই ওই নীলছবি তারকার চাকরি যায়। তাকে সিনেমার শুটিং থেকেও বাদ দেওয়া হয়।
ইভান আরও জানান, এরপর ২০০৬ সালে তাকে আরও এক উদ্ভট ঘটনার সাক্ষী হতে হয়। সেই সময় নীলছবি সিনেমা বানায় এমন অন্য একটি প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে তিনি কাজ করছিলেন। সেই সংস্থার এক অনুষ্ঠান চলাকালীন তিনি দেখেন, এক নীলছবি তারকা নিজের অণ্ডকোষে পেরেক গেঁথে রেখেছেন!
ইভান আরও এক অভিজ্ঞতার কথা জানান, যা দেখে তার গা ঘিনঘিন করে উঠেছিল। তিনি জানান, বেশ কিছু সিনেমার শুটিং শৌচালয়ে হয়। সেই শৌচালয়গুলোকে শুটিংয়ের আগে পরিষ্কার করা হয়। সেগুলো এতই পরিষ্কার করা হয় যে, একজন মানুষ সেখানে বসে খেতেও পারবেন।
ওই পরিচালক বলেন, তিনি এ রকমই একটি সিনেমা তৈরি করছিলেন, যার শুটিং চলছিল একটি শৌচাগারে। একটি যৌন দৃশ্য করার সময় মহিলা নীলছবি তারকা টয়লেট সিট ধরে বসেছিলেন। এই শুটিং চলাকালীন প্রায় সমস্ত সদস্যই শৌচাগারে উপস্থিত ছিলেন।
তবে শুটিংয়ের ওই দৃশ্যের একদম শেষে হঠাৎই ওই নীলছবি তারকা সঙ্গ.ম দৃশ্যকে বেশি উদ্দীপক দেখাতে টয়লেট সিটটি জিভ দিয়ে চেটে দেন। এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তবে এই দৃশ্য দেখে ইভানের গা ঘিনঘিন করে ওঠে।
ইভান জানান, একটি নীলছবি একটি দৃশ্য চলাকালীন তিনি এক নীলছবি তারকাকে মলত্যাগ পর্যন্ত করতে দেখেছেন। আবার অন্য একটি নীলছবি বানানোর সময় ইভান এক নীলছবি তারকাকে ইচ্ছে করে বমি করতে দেখেন। সে সময় তার কষ্টে চোখে পানি চলে এসেছিল বলেও উল্লেখ করেন।
এই পরিচালকের মন্তব্য, তিনি মানুষ হিসেবে একটু পুরনো ধাঁচের। তাই যখন তিনি এই দৃশ্যগুলো দেখেন, তখন তিনি অবাক হয়ে যান। কখনও কখনও বিরক্তও হন। কিন্তু একজন পরিচালক হিসেবে তার কাজ ভালো নীলছবি তৈরি করা। তাই তিনি কোনো দিকে নজর না দিয়ে চুপচাপ নিজের কাজ করে যান। এখনো পর্যন্ত তিনি ৪৮৫টি নীলছবি সিনেমা পরিচালনা করেছেন।
ইভানের একটি ওয়েবসাইটও আছে। তার জীবন এবং কাজ বিভিন্ন নীলছবি অ্যাওয়ার্ড শোতে দেখানো হয়েছে। প্লেবয় টিভির ‘কিকি’স আমেরিকান অ্যাডভেঞ্চার’ রিয়েলিটি শোতে তিনি অংশগ্রহণ করেন৷ নীলছবি তারকা বাগদত্তা মিশা মন্টানার সঙ্গে মিলে ইভান একটি ইউটিউব চ্যানেলও চালান।