শক্তির জোরে রিজিক পাওয়া গেলে বাঘ কোনদিন না খেয়ে থাকতো না! আর চড়ুই পাখি রিজিকই পেতো না!
রিজিকের ফয়সালা আসমানে হয়, জমিনে না।
ধৈর্য্য ধরুন, আল্লাহ তালা উত্তম কিছু রেখেছেন হইতো আপনার জন্য।
সাহরি খাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার বাসার বিড়ালটা আমার গা ঘেঁষে বসলো। আমি গ্রাস তোলার আগেই সে ম্যাঁও ম্যাঁও শুরু করে দিলো।
আমি প্রথম গ্রাসটা ওর ছোট থালায় দিলাম। সুন্দর করে চেটেপুটে খেলো। দ্বিতীয়বার আরেকটু দিলাম। এবার সে সম্পূর্ণ খেয়ে শেষ করতে পারেনি। কয়েকটি দানা প্লেটের কোল ঘেঁষে পরে রইল।
আমার খাওয়া শেষ। হাত ধুঁয়ে খাটের সাথে হেলান দিয়ে মেঝেতেই বসে রইলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি কয়েকটা পিঁপড়া বিড়ালের ছাড়া বিশাল ভাতের দানা কামড়ে ধরেছে। দুটি পিঁপড়ে মিলে একটি ভাতের দানা টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
ক্ষণিকের জন্য হারিয়ে গেলাম। এই ভাতের দানাটা ওদের জন্যই বরাদ্দ ছিল। বিড়ালের জন্য যতটুকু বরাদ্দ ছিল ততটুকুুই সে খেয়েছে। আমিও আমার ভাগেরটা পেয়ে গেছি। অথচ এই ভাত কত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমার থালায় এসেছে!
আমি যে তরকারি দিয়ে খেলাম, সেখানে ৫ প্রকারের সবজি ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেগুলো এসেছে বাজারে। বাজার থেকে আমার থালায়। যে মাছটি আমি খেলাম, সেটা কত নদী-সরোবর হয়ে, কত জেলের জালকে ফাঁকি দিয়ে আমার প্লেটে এসেছে তা আমি জানিনা।
কি সূক্ষ্ম বণ্টন! ভাবতেই অবাক লাগে। মহান আল্লাহ আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা কোথায় থেকে করবেন সেটা আমরা জানিনা। যেটাই পাচ্ছি হালাল উপায়ে সেটাই আমার রিজিক। জীবদ্দশায় যা খাবো সবই মহান আল্লাহর পূর্ব নির্ধারিত রিজিকের অংশ। অথচ, কতই না দুশ্চিন্তা করি দুবেলা খাবারের জন্য!