"শয়তান একজন মানুষের ওপর তখনই সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে, যখন সে পেট একদম ভরাট করে খাবার খায়।"
ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)
সূত্র: বাদায়েউল ফাওয়াইদ: ২/২৭৩
ইবলিশ ও নফস শয়তান সবসময় ব্যাক্তিকে উদ্দেশ্যহীন করার চেস্টা করবে, কারণ মানুষ উদ্দেশ্যহীন হলেই নামাজ, আমল ও কোরআন থেকে বিছিন্ন সহ তার ব্যাক্তিগত জীবনের উদ্দেশ্য হতে বিছিন্ন। সুতরাং ব্যাক্তি জীবন্ত লাশ হয়ে যাই, এতেই শয়তান পুরোপুরি সফল।অতীতের হতাশা এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার সবসময়ই ভয় দেখাতে থাকবে ।
শয়তান যেহেতু দিন শেষে নিশ্চিত জাহান্নামী সুতরাং শয়তান সবসময় আশাহত , ঠিক তেমনি শয়তান আশরাফুল মাখলুকাত আদম সন্তানকে সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সম্মুখভাগ থেকে আশাহত করার চেষ্টা করে, যেহেতু সে নিজেই আশাহত এবং এই কাজে সেই সফল হলেই মূলত আল্লাহর ইবাদত থেকে বান্দাকে সরিয়ে রাখা যাবে এবং তার মূল টার্গেট তাকে ইবাদত থেকে সরিয়ে শয়তানের রাস্তা নিয়ে আসা এবং পর্যায়ের ক্রমে ধীরে ধীরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া সুতরাং আমাদের সবাইকে এই বিষয়টি সর্বোচ্চ দৃষ্টি দিয়ে কখনোই, এবং কখনোই আশাহত হওয়া যাবে না, শয়তান এক অদৃশ্য শক্তি দ্বারা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে এই কাজটি করে থাকে ।
ইবলিশ শয়তানের ৯টি সন্তান রয়েছে-
* জালিতুন : বাজারগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে, আর নিজের পতাকা গেড়ে থাকে।
* ওয়াসিন : মানুষদের আকস্মিক বিপদে ফেলার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে।
* লাকুস : অগ্নি পূজারিদের সঙ্গে থাকে।
* আওয়ান : শাসকদের সঙ্গে থাকে।
* হাফফাপ : মদ্যপায়ীদের সঙ্গে থাকে।
* মুররাহ : গান-বাজনাকারীদের সঙ্গে থাকে।
* মুসাব্বিত : বাজে কথাবার্তা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকে।
* দাসিম : ঘরের মানুষদের ভালো কাজ থেকে বিরত ও খারাপ কাজের আদেশ দেয়।
* ওয়ালহান : অজু, নামাজ ও অন্য ইবাদতে কুমন্ত্রণা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
(আল মুনাব্বিহাতি লিল আসকালানী, পৃষ্ঠা : ৯১)
মহান আল্লাহ আমাদের শয়তানের প্ররোচনা থেকে হেফাজত করুন।
🔴নিসন্দেহে মুমিন, মুসলিম, নামাজ, সর্ব ইবাদত সহ সবই হীরা।
ইবাদতের সময় অনেক ধরনের খেয়াল আসে এটা কেন !
একদিন এক ইহুদী, একজন অলির দরবারে এসে জিজ্ঞাসা করলো, যখন আমরা আমাদের উপাসনা করি,
তখন আমাদের খেয়াল অন্যদিকে যায় না, এমনকিমনে কোন প্রকার ওসওয়াসার সৃষ্টিও হয়না,
এমনকি শয়তানি চিন্তা ভুলেও ধারে কাছেও আসে না। কিন্তু আমি অনেকের কাছে শুনেছি, আপনারা যখন নামায আদায় করেন,
তখন আপনাদের ইবাদতের সময় অনেক ধরনের খেয়াল আসে।এইটা কেন???
তার উত্তরে ঐ আল্লাহর অলি তাকে জবাব দিলেন -মনে করুন দুইটি ঘর, একটা ঘর হল খালি, আর অপরটা "হীরা" দ্বারা পরিপূর্ণ। এখন বলুন দেখি, চোর কোন ঘরের ভিতরে চুরি করতে আসবে?
উত্তরে ইহুদী বলল- অবশ্যই যে ঘরে হীরা,
অবশ্যই যে ঘরে হীরা আছে সে মতো এবার সেই অলি তাকে বললেন কাফির এবং মুসলমানের অন্তরের অবস্থা হলো এরকমই। যার কাছে শুরু থেকেই ঈমান নাই,
সেখানে শয়তান কি চুরি করতে আসবে? আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন।
হতাশ হওয়ার কিছুই নাই,জীবনের প্রতিটা মুহুর্ত মৃত্যুর মতো সম্ভাবনাময়।
পাপ হচ্ছে এক ধরণের ভালোবাসা। আপনি এর প্রেমে পড়ে যান। এতে আসক্ত হয়ে যান। বার বার করতে থাকেন। সূরা ফুরকানের এই অংশটুকু (৬৩ নং আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত) আসলে ভালোবাসার প্রতিযোগিতা নিয়ে। কারণ আপনি অমুক গুনাহটি, অমুক আনন্দটি এতো বেশি ভালোবাসেন যে এটাকে ছেড়ে দিতে চান না। এই ভয়ে যে ছেড়ে দিলে হয়তো মনে অনেক কষ্ট পাবেন। এক রাশ দুঃখ এসে আপনাকে জড়িয়ে ধরবে।
পক্ষান্তরে, আল্লাহ বলছেন আমি তোমার মনের সেই শূন্যতাকে আমার নিজেকে দিয়ে পূরণ করে দিবো। আমি আমার সঙ্গ দিয়ে এটি ঠিক করে দিবো— আল্লাহ প্রস্তাব দিচ্ছেন।
এখন, এই সমীকরণের ক্ষেত্রে আপনার নিজেকেই নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ রকম পরিস্থিতিতে আপনাকে ফেলা হবে। আর কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাবে না, উপলব্ধি করতে পারবে না যে এমন একটি লড়াই আপনার মাথায় ঘটে চলছে। কেউ জানবে না। শুধু আল্লাহ জানবেন।
নিজের জীবনের লড়াই নিজেকেই লড়তে হবে"
জ্ঞান অনেকেই দিবে কিন্তু সঙ্গ কেউ দিবেনা!"
দুশ্চিন্তা কিছুই পরিবর্তন করে না। কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা করলে— সবকিছু বদলে যায়।'
যখন আপনি একা থাকেন তখন আপনার প্রকৃত চরিত্রটি ফুটে উঠে হয়তো, আল্লাহর নিষেধ এর বিরুদ্ধে গিয়ে যেনাকারীর কাজে লিপ্ত থাকেন অথবা তার বিপরীতে আল্লাহর হুকুম পালন করে আপনি যখন একা থাকেন সাথে থাকে শয়তান আল্লাহ এবং আপনি ।।
আপনার মধ্যে দুটি শয়তান কাজ করে, একটি হচ্ছে ইবলিশ শয়তান, আরেকটি হচ্ছে আপনার নফস শয়তান , এই নফস শয়তানের নিয়ন্ত্রণ যদি ইবলিশ শয়তানের হাতে থাকে, তবে আপনার জীবন ভয়াবহ ।।
অতীত ভেবে বর্তমান নষ্ট করা বোকামি!
ভবিষ্যৎ গড়তে বর্তমানকে কাজে লাগাতে হয়, আর অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হয়।
"ঐ ব্যক্তি কীভাবে বুদ্ধিমান হতে পারে যে কিছু সময়ের স্বাদ উপভোগের জন্য জান্নাতকে বিক্রি করে ফেলে?" - ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)
“অতীতকে বিদায় জানাতে সাহস লাগে। সেই সাহস দেখাতে পারলে জীবন তোমাকে নতুন কিছু উপহার দেবে”
'যৌবন''
কালে যত পারো সিজদা করে নাও, কারণ আমি অনেক বৃদ্ধাকে দেখেছি সিজদা ছাড়া নামাজ আদায় করতে । (ইমাম গাজ্জালী (রঃ)
আমরা সুখ খুঁজতে গিয়ে সুখ দেওয়ার মালিক কে ভুলে যায় মনে রাখবেন আল্লাহ ছাড়া সুখ-স্বাচ্ছন্দ দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই ।
প্রবন্ধটির ক্রেডিট এবং রিসার্চঃ মোঃ মসরাক হোসাইন সানি । লেখক এর অনুমতি ছাড়া প্রবন্ধটির অনুলিপি অন্য কোথাও শেয়ার বা কপি করা যাবে না।