১. দিনের পরিকল্পনা করুন:
দিন শুরুর আগে ঠিক করুন কী কী করতে হবে। পরিষ্কার পরিকল্পনা আপনাকে অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত রাখবে।
২. দৈনিক লক্ষ্য লিখুন:
দিনে যা অর্জন করতে চান, তা লিখে রাখুন। এটি আপনার পথনির্দেশনা স্পষ্ট করবে।
৩. লক্ষ্য লিখিত আকারে রাখুন:
লিখিত লক্ষ্য আপনাকে ফোকাস করতে এবং মনে রাখতে সাহায্য করে।
৪. ৮০/২০ নিয়ম অনুসরণ করুন:
সেসব কাজে মনোযোগ দিন যা বেশি ফলদায়ক। আপনার ২০% প্রচেষ্টা ৮০% ফল দেয়।
৫. মাল্টি-টাস্কিং এড়িয়ে চলুন:
একই সময়ে একাধিক কাজ করলে কর্মক্ষমতা কমে যায়।
৬. এক সময়ে এক কাজ করুন:
একটি কাজ শেষ না করে অন্য কাজে হাত দেবেন না।
৭. বাধাগুলো দূর করুন:
কাজের সময় সমস্ত বাধা (যেমন ফোন, শব্দ) সরিয়ে দিন।
৮. ক্লান্ত হলে বিশ্রাম নিন:
কাজের মধ্যে ক্লান্তি এলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। এটি শক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে।
৯. "না" বলা শিখুন:
প্রতিটি অনুরোধে সম্মতি দেওয়া সময়ের অপচয় হতে পারে। শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দিন।
১০. অপ্রয়োজনীয় কাজ অন্যদের দিন:
ছোট বা কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ অন্য কাউকে দিয়ে দিন, যাতে আপনি বড় কাজে মনোযোগ দিতে পারেন।
১১. পারফেক্ট সময়ের অপেক্ষা করবেন না:
কাজ শুরু করতে দেরি করবেন না; আদর্শ সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে উদ্যোগী হোন।
১২. ৫ মিনিটে করা যায় এমন কাজ দ্রুত করুন:
ছোট কাজগুলিকে স্থগিত করবেন না; দ্রুত শেষ করুন।
১৩. অপছন্দের কাজ আগে করুন:
সবচেয়ে কঠিন বা অপছন্দের কাজ দিনের শুরুতে করুন, যাতে তা মানসিক চাপ সৃষ্টি না করে।
১৪. সময়সীমা নির্ধারণ করুন:
প্রতিটি কাজের জন্য ডেডলাইন সেট করুন। তা না হলে কাজ সম্পন্ন হবে না।
১৫. অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে মনোযোগ দেবেন না:
শুধু সেই কাজগুলিতে মন দিন যা আপনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।
১৬. পারফেকশনিজম এড়িয়ে চলুন:
সবকিছু নিখুঁত করার চেষ্টা করবেন না, যতক্ষণ না তা জরুরি।
১৭. মোবাইল ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করুন:
ইমেইল বা মেসেজ চেক করার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন।
১৮. অপ্রয়োজনীয় মিটিং এড়িয়ে চলুন:
শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এ যোগ দিন।
১৯. নেতিবাচক মানুষদের এড়িয়ে চলুন:
যারা আপনার উদ্যম বা শক্তি কমিয়ে দেয়, তাদের থেকে দূরে থাকুন।
২০. পছন্দসই কাজ করুন:
আপনার শখ ও আগ্রহের সাথে মিল রেখে কাজ করুন। এটি কর্মক্ষমতা বাড়াবে।
সময় একটি অমূল্য সম্পদ যা একবার নষ্ট হলে ফিরে আসে না। এই নীতিগুলো অনুসরণ করে আমরা আমাদের জীবনকে সুশৃঙ্খল ও লক্ষ্যপূর্ণ করতে পারি। এ থেকে শিখি যে সাফল্যের চাবিকাঠি হল সঠিক পরিকল্পনা, মনোযোগ, এবং অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকা। আমাদের উচিত সময়কে এমন কাজে ব্যয় করা যা আমাদের লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করে।