রিমোট জব খুবই ফালতু একটা জিনিস....
যদি আপনার বাসায় কাজ করার মত পরিবেশ না থাকে
যদি আপনার প্রপার কমিউনিকেশন স্কিল না থাকে
যদি আপনি ওয়ার্ক লাইফ ব্যালান্স না করতে পারেন
যদি আপনি হাইলি স্কিলড না হন
যদি আপনাকে ঠেলে ঠেলে কাজ করাতে হয়
যদি আপনি একজন আগোছালো মানুষ হন
যদি ফ্লেক্সিবিলিটির কারনে আপনি বাজে লাইফস্টাইলের খপ্পড়ে পড়েন
এবার উল্টোদিকে একটু চিন্তা করেন তো?
এই রিমোট জবই ব্লেসিং হয়ে যায়....
কারন আপনাকে জ্যাম ঠেলে ডেইলী অফিস করা লাগে না
নিজের বাচ্চা, মা, বাবা, ফ্যামিলিকে টাইম দেয়া যায়
নিজের খেয়াল খুশি মতো সময়ে কাজ করা যায়
অবসর সময়ে নিজের গ্রোথ নিয়ে কাজ করা যায়
নিজের হবি নিয়ে কাজ করার জন্য সময় আপনি পেয়ে যাবেন
এমন টীমের সাথে আপনি কাজ করতে পারবেন ফিজিক্যালি কখনো সম্ভবই না!
Built Domain OPC. এই চ্যালেঞ্জটাই আমরা সলভ করতেছি প্রায় ৭ বছর ধরে!
এইজন্য আমাদের হায়ারিং প্রসেস ও ৮-১০ টা কোম্পানী থেকে একটু আলাদা হয়!
বিভিন্নভাবে এখন আমাদের সাথে ১৬+ মানুষ কাজ করে!
শুনতে খুব সহজ মনে হলেও একটু ভাবেন তো?
১৬ জন মানুষ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে |
একটা কাল্কেটিভ গোল মাথায় নিয়ে কাজ করছে! !
খুবই অদ্ভুত সুন্দর না ব্যাপারটা?
বাংলাদেশে এই "রিমোট" শব্দটা নিয়ে অনেক ট্যাবু আছে!
কোম্পানীরা মনে করে, "রিমোটে কাজ করলে সবাই ফাকি মারবে"
আবার অনেকের অভ্যাসই এমন হয়ে গেছে যে,
না ঠেললে কাজ বের হয় না!
এবার বাংলাদেশের বাইরে একটু রিমোট কোম্পানীর দিকে তাকান,
আপনার মাথা খারাপ হয়ে যাবে!
Wordpress এর প্যারেন্ট কোম্পানী Automatic এর ২০২৪ এ রেভেনিউ ছিলো $1 বিলিয়ন!
GitLab এর ২০২৪ এ রেভেনিউ ছিলো $550 মিলিয়ন!
Zapier এর ২০২৪ এ রেভেনিউ হয়েছিলো $300 মিলিয়ন!
কি বুঝলেন?
সমস্যা আসলে আমাদের মাইন্ডসেটে,আর কিছুই না !
আমরাই শেষ জেনারেশন যারা মাসিক বেতনে চাকরি করছি.. ||
..শুধু তাই না, ১৬শ শতাব্দীতে স্টিম ইঞ্জিন আবিষ্কারের পর আর পরবর্তীতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ক্লার্ক তৈরির জন্য যে শিক্ষা ব্যবস্থার শুরু, তারও একটা সমাপ্তি আমরাই দেখে যাবো! আর সবকিছুর কারণ হবে AI আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স!
কিছু কিছু আবিষ্কার আমাদের জীবন ব্যাবস্থা কে আমূলে বদলে দেয়, AI এর ভবিষ্যৎ প্রভাব, পূর্ববর্তী বিদ্যুৎ বা ইন্টারেনট আবিষ্কার এর সাথে তুলনা করা যায়, সত্যি বলতে আসলে আমরা জানিও না এর প্রভাব কতটুকু বা কতটা হবে, তাই একে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স না বলে এলিয়েন ইন্টেলিজেন্স বলাই ভালো!
যাক মূল আলোচনায় আসা যাক, ইন্টারেনেটর ফলে যেটা হয়েছিলো সেটা হলো, সারা দুনিয়ার তথ্য আপনার হাতের মুঠোয়, আর AI এর মাধ্যমে যেটা হচ্ছে সারা দুনিয়ার ওয়ার্কফোর্স আপনার হাতের মুঠোয়। মানে আপনার হাতের মুঠোফোনেই আছে হাজার হাজার কর্মী যারা আপনার নির্দেশে মুহূর্তেই কাজ করে দিবে। তো আপনি শুধু শুধু লোক কেন নিবেন? খুব শীঘ্রই আমরা হয়তো দেখবো বিলিয়ন ডলার এর প্রথম কোম্পানি যেটা চালায় একজন মানুষ!
এইযে দুনিয়ার এত অস্থিরতা, এটাও একটা সংকেত দেয় যে আমাদের চেনা দুনিয়া বদলে যেতে যাচ্ছে, যাবে এটা নিশ্চিত কিন্তু কিভাবে? কবে? তা এখনো পরিষ্কার না! সে জন্যই হয়তো এই অস্থিরতা। সো এই অস্থির সময়ে স্বস্তির গল্প কোথা থেকে আসবে?
এক কথায় উত্তর দিলে CEO মাইন্ডসেট থেকে Entrepreneur মাইন্ডসেট এ আসতে হবে, কারণ আপনার হাতেই তো আপনার কোম্পানি! TaskMaster থেকে ThoughtMaster হতে হবে। বেসিক কিছু স্কিল সেট মাস্ট লাগবে সবার: যেমন আপনি নিজে একটা সমস্যা নিয়ে ভাবতে পারেন কিনা? সেটার ক্রিয়েটিভ সমাধান নিয়ে ভাবতে পারেন কিনা? আপনি মানুষের চাহিদা বোঝেন কিনা? সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসবে এতদিন ধরে শিখে আসা Risk নেওয়া যাবে না ভাবনা থেকে Risk নেওয়ার ক্ষমতার উপরই আপনার সফল্য, এই নতুন ধারনা! কারণ এখন ডুবতে থাকা জাহাজে বসে থাকাই আসল রিস্ক আর অজানা উত্তাল সমুদ্রের মাঝেই ভবিষ্যতের টিকে থাকার লড়াই হলো ভবিষ্যত..
মাসিক বেতনের বদলে যতটুকু কাজ ততটুকু কামাই! আপনি তৈরি?