আমি বললাম আমার জীবনে খুশি নেই ! আল্লাহ বলেন, "শীঘ্রই তোমার রব তোমাকে এতো বেশি দিবে যে, তুমি খুশি হয়ে যাবে !
~ সূরা দোহাঃ- ৯৩:৪
‘‘অবশ্যই তুমি পাবে, যা তোমার থেকে চলে গেছে তাঁর চেয়ে উত্তম’’
(সূরাঃ আনফাল - ৭০)
আপনার ভবিষ্যৎ
আপনার অতীতের চেয়ে উত্তম হবে
(সূরা আদ-দোহা)
আয়াত-৪
বিপদের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহর সাহায্য আসে!
আলহামদুলিল্লাহ 🤲
❝সূরা ইউসুফ:-১১০❞
🔴ইউসুফ আলাইহি ওয়াসাল্লাম জেনা থেকে বাঁচতে দ্রুত দৌড় দেন কিন্তু সামনে দরজা ছিল বন্ধ কিন্তু উনার ভরসা ছিল আল্লাহর উপর দরজা আবশ্য খুলে যাবে এবং শেষে সেটি হল ।
🔴নবী ইবরাহিমের (আ) জীবনে 'অগ্নি পরীক্ষা'র ঘটনাটি সমধিক আলোচিত হয়েছে। পবিত্র কোরআনের সুরা আম্বিয়া ঘটনাটির উল্লেখ রয়েছে: "তারা বলল, একে পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের উপাস্যদের সাহায্য কর, যদি তোমরা কিছু করতে চাও। আমি বললাম, হে অগ্নি! তুমি ইব্রাহীমের উপর শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।
🔴মাছের পেটে যে অবস্থায় ছিলেন ইউনুস আ.
মাছের উদরে গিয়ে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকলেন। আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইলেন। ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। তিনি বললেন, ‘লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আপনি ছাড়া আমার কোনো ইলাহ নেই। আপনি চিরপবিত্র, নিশ্চয়ই আমি নিজের ওপর জুলুম করে ফেলেছি।’
🔴ফেরাউনের স্ত্রী যেভাবে জান্নাতি হয়েছেন
সে বিশেষ লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করে আসিয়াকে হত্যার আদেশ দেয়। ফেরাউনের সৈন্য-সামন্ত তার হাত-পা বেঁধে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে ফেলে রাখে। অন্যদের চেয়ে কঠিন শাস্তি দেয় তাকে। দেহ রক্তাক্ত হয়। ক্ষতবিক্ষত হয় শরীর। তিনি ধৈর্যহারা হননি। ঈমান ছাড়েননি। জীবনের বিনিময়ে ঈমানকে রক্ষা করেন। দুনিয়ার রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন জান্নাতে আল্লাহর পাশে একটি ঘর। আল্লাহর প্রতিবেশী হওয়ার আকুলতা ব্যক্ত করেন। তার প্রার্থনার কথা কোরআনে বাঙময় হয়েছে এভাবে—‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জন্য আপনার কাছে জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করুন। আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন। আমাকে মুক্তি দিন অত্যাচারী সম্প্রদায় থেকে।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত : ১১)
🔴পিতা করে পুত্র জবাই এমন ত্যাগের তুলনা নাই
ইব্রাহিম আলাই সালাম বুকের মধ্যে হাজারো কষ্ট চাপা দিয়ে দাঁতে দাঁত কিসরে একমাত্র আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে নিজের সন্তানকে জবাই করতে গিয়েছিলেন,ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এবং তার পুত্র জানতেন না যে তাকে সবাই এর পরিবর্তে একটি প্রাণীকে জবাই করা হবে,
🔴ভবিষ্যৎ থেকে ধার করে নিয়ে আনছি দুশ্চিন্তা এবং অতীতে কে নিয়ে আসি দুঃখ, অথচ বর্তমানে আমি ভালোই আছি কিন্তু অতীতের দুঃখ এবং ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা আমাকে হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাওয়াচ্ছে।
অথচ ভবিষ্যৎ কি হবে বা আগামীকাল কি হতে যাচ্ছে একমাত্র মহান আল্লাহ জানে।
এরা প্রত্যেকে একমাত্র শতভাগ মহান আল্লাহতালার উপর ভরসা করেছিল এবং আল্লাহতালা তাদের সেই ভরসা ফিরিয়ে দেন নাই
🔴আমাদের ব্রেন জন্মগতভাবে অলস, আপনি যদি ব্রেনের যাত্রী হোন, তবে ব্রেন আপনাকে হতাশায় নিয়ে যাবে, কিন্তু আপনি যদি ব্রেনের পাইলট হন তবে ব্রেন কে কমান্ড করতে পারবেন , নিজেকে সফলতার চূড়ায় নিয়ে যেতে পারবেন। আপনি যদি আপনার ব্রেন কে রাজি বা মানাতে পারেন যে আপনি পারবেন তাহলে আপনি সফল হবেন।
🔴আমি ,আমরা সবসময় অতীতে ঘটে যাওয়া নেগেটিভ বিষয়ে শুধুমাত্র ফোকাস করি, কিন্তু পজিটিভ বিষয়ে ফোকাস করি নি, আজকের দিনকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনকে সুন্দর করে তোলা ,এই যে বিষয়টা সেটি উপর ফোকাস করিনা বিদায় আজ আমাদের এই সমস্যা । অতীতের সমস্ত ব্যর্থতা, হতাশা এবং কষ্ট রূপান্তরিত করা হোক শক্তিতে ইনশাআল্লাহ।
🔴সবর কারী বিনা হিসাবে জান্নাতী, তাই অতীতের কোন কাজ নিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না ,নতুন করে স্থাপন করে কাজ চলে যেতে হবে এটাই সবর।
🔴ডিপ্রেশন থাকলে অনিয়ন্ত্রিত জীবন হবে, আর অনিয়ন্ত্রিত জীবন প্রতিবন্ধী সন্তান জম্ম বা সন্তান ধারনের ক্ষমতা নস্ট করে , শৈশব কেড়ে নিবে,যৌবন কেড়ে নিবে, অস্থিরতা ও টেনশন। মূহুত্ব গুলো, নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিজেকে নিতে হবে ।
🔴কেউ তোমাকে বাঁচাতে আসবে না। তোমার এই জীবনের দায়িত্ব তোমার!
🔴আপনি যদি আপনার মন ,নফস শয়তান এবং ব্রেনের কথা শুনে কাজ কর্ম করেন, তবে এরা তিনজনেই যথেষ্ট আপনাকে জাহান্নাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে এবং দুনিয়া ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে এখন সিদ্ধান্ত আপনার?
🔴বিয়ে নিয়ে ফ্যান্টাসি নয়, কারণ আপনি জানেন না? আপনার সাথে কার আগে সাক্ষাৎকার হবে মালাকুত মউত নাকি আপনার বউ? আবার বিয়ের পরবর্তী জীবন কোন রকমের হবে সেটাও মহান আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না।
আমি চারটি ব্যপার অনুধাবন করেছি। সেগুলো হলঃ
১। আমি জানি, আমার রিজিক আর কাউকেই দেয়া হবে না। এজন্য আমার হৃদয় তৃপ্ত হয়ে গেছে।
২। আমি জানি, আমার করণীয় (ইবাদত) আর কেউ করে দিতে পারবে না। তাই আমি নিজেই সেগুলো করা শুরু করেছি।
৩। আমি জানি, আল্লাহ আমাকে দেখছেন। এজন্য আমি গুণাহ করতে লজ্জিত বোধ করি।
৪। আমি জানি, মৃত্যূ আমার জন্য অপেক্ষা করছে। এজন্য আমি আল্লাহর সাথে দেখা করার জন্য নিজেকে তৈরী করতে শুরু করেছি।
আল্লাহ্ আমাদের বোঝার এবং আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন!
নজরের হেফাজত করতে না পারলে দেখবেন কোনো আমলেই আর মজা পাচ্ছেন না ।
চোখের কিছু গোনাহ নামাজের মধ্যেও দেখবেন স্মরণ হচ্ছে । বিষয়টা কত ভয়াবহ তাই না !!
আর আপনি যখন নজরের হেফাজত করতে থাকবেন তখন ঈমানের যে স্বাদ সেটা নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ ।
বুখারী শরীফের একটি হাদীসে এসেছে,
"চোখের জিনা হলো দেখা" ।
চোখের গোনাহ হতে থাকলে আপনার লজ্জা শরমও কমে যাবে । আর যখন চোখের লজ্জা কমে যাবে l তখন আমলের স্বাদও নষ্ট হয়ে যাবে। নেক আমলে ধ্যান বা আমল শেষে যে একটা তৃপ্তি দুইটার কোনোটাই পাওয়া যাবে না ।
যেদিন থেকে আমি জানতে পেরেছি, আমার রিজিক আমি ছাড়া অন্য কেউ ভোগ করতে পারবে না, সেদিন থেকে আমার হৃদয়ে একটা অদ্ভুত প্রশান্তি তৈরি হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!!!
সেদিন থেকে আমি কাউকে নিজের প্রতিদ্বন্দি ভাবিনা, কারও ভালো দেখে আমি কাতর হইনা। জীবনে যা যা পাইনি তার কোনটাই আমার রিজিকে ছিলোনা বিশ্বাস করেছি এবং সেজন্য আফসোস হয়নি আর কোনদিন।আমি একটা শান্তির দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সবকিছু আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিয়েছি।
নিজের রিজিক নিয়ে দুশ্চিন্তার কিচ্ছু নেই। আমার বা আপনার ভাগেরটুকু কেও নিতে পারবেনা, এই আওকাত আল্লাহ তায়ালা কাউকে দেননি।
"রিজিকের ফায়সালা আসমানে হয়, জমিনে না"
আর হ্যা! শুধু খাদ্যদ্রব্যই কিন্তু রিজিক নয়!পরিবারের সুখশান্তি, পেশাজীবনের সফলতা, নেক জীবনসঙ্গী, নেক সন্তান, উত্তম আখলাক,টাকা পয়সা, নেককার বন্ধুও রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।
ইসলাম মানেই শান্তি, শুধুমাএ মুসলিম পরিবারে বা কালেমা পড়লেই মুসলিম হওয়া যাই না। নামে মুহাম্মদ জাতে মুসলিম হয়ে লাভ কি যদি সে ব্যাক্তির মধ্যে ঈমান ঠিক না থাকে। তাই সম্মানিত ভাই বোনরা আসুন ইসলামের পথে,আসুন আলোর পথে, আসুন জান্নাতের পথে। বর্তমান সময়ে ঈমান ঠিক রাখা বড়ই কঠিন, শয়তান প্রত্যেক টি স্থানে আপনার আমার জন্য ফাঁদ পেতে রাখে আসুন সেই ফাঁদে আমরা পা না দেই । ঈমান নিয়ে জীবন গড়ি, ঈমান নিয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করি, এটাই হোক আমাদের দূঢ অঙ্গিকার।
আমি কবরের মত এত কঠিন আযাব আর কোথাও দেখি নাই, হয়রত মুহাম্মদ (সঃ). মৃত্যু আপনার চারপাশে ঘুরছে প্রতিনিয়ত। আপনি প্রস্তুুত কি???
"এটি এমন একটি গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ণ করেছি, খুব মঙ্গলময়, অতএব, এর অনুসরণ কর এবং ভয় কর-যাতে তোমরা করুণাপ্রাপ্ত হও"
সূরা- আল আনআম (الانعام)
আয়াত:-- ১৫৫
হাশরের ময়দানে যে ৫টি প্রশ্ন করা হবে।
১) জীবন কিভাবে কাটিয়েছো।
০২) যৌবন কোথায় ব্যয় করেছো।
৩) অর্থ উপার্জন কিভাবে করেছো।
৪) উপার্জিত সম্পদ কোথায় খরচ করেছো।
৫) জ্ঞান অনুযায়ী আমল করেছো।
রাসূল (সা:) বলেছেন
কেয়ামতের দিন কোন বান্দার পা সরবেনা যতক্ষণ না সে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেবে
"নি:সন্দেহে মুনাফিকরা আল্লাহকে ধোকা দেয়, কিন্তু (তাদের কৃতকর্মের কারণে) আল্লাহ তাদের ধোকা দেন"
-- সূরা আন-নুসা (4:142)