"আল্লাহ বলেন যে নিজেকে সুধরে নিয়েছেন সে হচ্ছে প্রকৃত সফলকাম"
"ভেঙে পড়ো না, নিরাশ হইও না, আল্লাহর সাহায্য আসবেই - এটা আল্লাহর ওয়াদা! জেনে রেখো আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে"[ সূরা বাকারাঃ-২১৪]
শীঘ্রই তোমার রব এত বেশি দিবেন যে,
তুমি খুশি হয়ে যাবে।
সূরা দুহাঃ৫
আপনার ভবিষ্যৎ
আপনার অতীতের চেয়ে উত্তম হবে
(সূরা আদ-দোহা)
আয়াত-৪
“নিরাশ হয়ো না, দুঃখিত হয়ো না, তুমি জয়লাভ করবে যদি তুমি বিশ্বাসী হও।”
সূরা আল ইমরানঃ১৩৯
বিপদের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহর সাহায্য আসে!
আলহামদুলিল্লাহ 🤲
❝সূরা ইউসুফ:-১১০❞
ধৈর্য্য মানুষকে ঠকায় না,
বরং উত্তম সময়ে শ্রেষ্ঠ উপহার দেয়।
[সূরা যুমার - ১০]
জীবনে সব ঝড় আপনাকে ক্ষতি করতে আসে না,
কিছু ঝড় আসে,আপনার পথটা পরিস্কার করে দেওয়ার জন্য,
একদিন হঠাৎ করেই আপনার দোআ কবুল হয়ে যাবে,সেদিন আপনি বলে উঠবেন,,হে আমার রব,,আমি তো কখনোই তোমাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি, (সূরা মারইয়াম:৪)
আমি কোরআনের ৯০ জায়গায় পেয়েছি,আল্লাহ বান্দার রিজিক নির্ধারণ করে রেখেছেন এবং রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন। কেবল এক জায়গায় পেয়েছি, ❝শয়তান তোমাদের কে অভাব অনটনের ভয় দেখায়❞ [সূরা বাক্বারাহঃ২৬৮]
চিন্তিত হওয়ার কারন নেই!
‘‘অবশ্যই তুমি পাবে, যা তোমার থেকে চলে গেছে তাঁর চেয়ে উত্তম’’
(সূরাঃ আনফাল - ৭০)
"আমার বান্দাদেরকে সংবাদ দাও যে,
আমি বড়ই ক্ষমাশীল,বড়ই দয়ালু"
[সূরা আল হিজর:৪৯]
সত্যবাদিতায় আল্লাহ অতুলনীয়, তাও আমরা তার নব্বই (৯০)টি ওয়াদার প্রতি আস্থা রাখতে পারি না। অথচ চরম মিথ্যুক যে শয়তান তার এ কথার উপর গভীর বিশ্বাস রাখি!
~ হাসান বাসরি (রহ.)
আসমানের অধিপতি যদি সন্তুষ্ট হয়ে যায়।
তাহলে জমিনের লোকগুলো অসন্তুষ্ট হলে কি আসে যায়অতীত ভেবে বর্তমান নষ্ট করা বোকামি! ভবিষ্যৎ গড়তে বর্তমানকে কাজে লাগাতে হয়, আর অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হয়।
পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে আমরা পাঁচটি জিনিস সবসময় চায় যেমন: স্বাস্থ্য, অর্থ ,সৌন্দর্য টেনশন মুক্ত, এবং শান্তির ঘুম
ফজরের নামাজ আপনাকে দিচ্ছে চেহারার সৌন্দর্য এবং সে নামাজি ব্যক্তি কে আল্লাহতালা নিজেই তার জিম্মাদার করে নিয়েছেন
জোহরের নামাজ আপনাকে দিচ্ছে রিজিকের বারাকা ,রিজিকে বরকত
আসরের নামাজ আপনাকে দিচ্ছে আপনার সুস্বাস্থ্য
মাগরিবের নামাজ আপনাকে দিচ্ছে একটি টেনশনমুক্ত দিন
এবং এশারের নামাজ আপনাকে দিচ্ছে একটি শান্তির ঘুম
আপনি বলুন কি অপূর্ণতা আছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ? এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে আছে পরিপূর্ণ শান্তি, আপনি একদিকে যেমন নামাজ পড়ে দুনিয়াদারি অর্জন করছেন , অন্যদিকে নামাজ পড়ার কারনে আপনার আমল নামায় নেক আমলের পাল্লা ধীরে ধীরে বারী হচ্ছে এবং আপনার জন্য জান্নাত সহস এবং নিশ্চিত হচ্ছে ।
আল্লাহ্ কষ্টের পর সুখ দিবেন!"
- সূরা ত্বলাক: ৭
⭕"নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি!"
- সূরা ইনশিরাহ: ৬
⭕"আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতাগুলো আল্লাহ্'র সমীপেই নিবেদন করছি!"
- সূরা ইউসুফ: ৮৬
⭕"জেনে রেখো, আল্লাহ্'র সাহায্য নিকটে!"
- সূরা বাক্বারা: ২১৪
⭕"একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহ্'র রহমত থেকে নিরাশ হয় না!"
- সূরা ইউসুফ: ৮৭
⭕"আল্লাহ্ কোনো ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের চাইতে বেশী, এমন বোঝা চাপিয়ে দেন না!"
- সূরা বাক্বারা: ২৮৬
⭕"এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের!"
- সূরা বাক্বারা: ১৫৫
⭕"হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর! নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন!"
- সূরা বাক্বারা: ১৫৩
⭕"হে আল্লাহ্! আমি তো কখনো আপনাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি!"
- সূরা মারইয়াম: ৪
"শয়তান একজন মানুষের ওপর তখনই সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে, যখন সে পেট একদম ভরাট করে খাবার খায়।"
ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)
সূত্র: বাদায়েউল ফাওয়াইদ: ২/২৭৩
ইবলিশ ও নফস শয়তান সবসময় ব্যাক্তিকে উদ্দেশ্যহীন করার চেস্টা করবে, কারণ মানুষ উদ্দেশ্যহীন হলেই নামাজ, আমল ও কোরআন থেকে বিছিন্ন সহ তার ব্যাক্তিগত জীবনের উদ্দেশ্য হতে বিছিন্ন। সুতরাং ব্যাক্তি জীবন্ত লাশ হয়ে যাই, এতেই শয়তান পুরোপুরি সফল।অতীতের হতাশা এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার সবসময়ই ভয় দেখাতে থাকবে ।
ইবলিশ শয়তানের ৯টি সন্তান রয়েছে। যেমন,
• যালীতুন: বাজার গুলোতে নিয়ন্ত্রন করে,আর নিজের পতাকা গেড়ে থাকে।
• ওয়াসীন: মানুষদের আকস্মিক বিপদে ফেলার দায়িত্বে নিয়োযিত থাকে।
• লাকূস: অগ্নি পূজারীদের সাথে থাকে।
• আ ওয়ান: শাসকদের সাথে থাকে।
• হাফফাপ: মদ্যপায়ীদের সাথে থাকে।
• মুররাহ: গান-বাজনা কারীদের সাথে থাকে।
• মুসাব্বিত: বাজে কথা বার্তা সর্বত্র পৌছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকে।
• দাছিম: ঘরের মানুষদের ভাল কাজ থেকে বিরত ও খারাপ কাজের আদেশ দেয়।
• ওয়ালহান: অযূ নামাজ ও অন্যান্য এবাদতে কুমন্ত্রনা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বিতাড়িত শয়তান থেকে আমাদের সকলকে হেফাজত করুন, আমীন।
হতাশ হওয়ার কিছুই নাই,জীবনের প্রতিটা মুহুর্ত মৃত্যুর মতো সম্ভাবনাময়।
পাপ হচ্ছে এক ধরণের ভালোবাসা। আপনি এর প্রেমে পড়ে যান। এতে আসক্ত হয়ে যান। বার বার করতে থাকেন। সূরা ফুরকানের এই অংশটুকু (৬৩ নং আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত) আসলে ভালোবাসার প্রতিযোগিতা নিয়ে। কারণ আপনি অমুক গুনাহটি, অমুক আনন্দটি এতো বেশি ভালোবাসেন যে এটাকে ছেড়ে দিতে চান না। এই ভয়ে যে ছেড়ে দিলে হয়তো মনে অনেক কষ্ট পাবেন। এক রাশ দুঃখ এসে আপনাকে জড়িয়ে ধরবে।
পক্ষান্তরে, আল্লাহ বলছেন আমি তোমার মনের সেই শূন্যতাকে আমার নিজেকে দিয়ে পূরণ করে দিবো। আমি আমার সঙ্গ দিয়ে এটি ঠিক করে দিবো— আল্লাহ প্রস্তাব দিচ্ছেন।
এখন, এই সমীকরণের ক্ষেত্রে আপনার নিজেকেই নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ রকম পরিস্থিতিতে আপনাকে ফেলা হবে। আর কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাবে না, উপলব্ধি করতে পারবে না যে এমন একটি লড়াই আপনার মাথায় ঘটে চলছে। কেউ জানবে না। শুধু আল্লাহ জানবেন।
নিজের জীবনের লড়াই নিজেকেই লড়তে হবে"
জ্ঞান অনেকেই দিবে কিন্তু সঙ্গ কেউ দিবেনা!"
দুশ্চিন্তা কিছুই পরিবর্তন করে না। কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা করলে— সবকিছু বদলে যায়।'
যখন আপনি একা থাকেন তখন আপনার প্রকৃত চরিত্রটি ফুটে উঠে হয়তো, আল্লাহর নিষেধ এর বিরুদ্ধে গিয়ে যেনাকারীর কাজে লিপ্ত থাকেন অথবা তার বিপরীতে আল্লাহর হুকুম পালন করে আপনি যখন একা থাকেন সাথে থাকে শয়তান আল্লাহ এবং আপনি ।।
আপনার মধ্যে দুটি শয়তান কাজ করে, একটি হচ্ছে ইবলিশ শয়তান, আরেকটি হচ্ছে আপনার নফস শয়তান , এই নফস শয়তানের নিয়ন্ত্রণ যদি ইবলিশ শয়তানের হাতে থাকে, তবে আপনার জীবন ভয়াবহ ।।
অতীত ভেবে বর্তমান নষ্ট করা বোকামি!
ভবিষ্যৎ গড়তে বর্তমানকে কাজে লাগাতে হয়, আর অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হয়।
"ঐ ব্যক্তি কীভাবে বুদ্ধিমান হতে পারে যে কিছু সময়ের স্বাদ উপভোগের জন্য জান্নাতকে বিক্রি করে ফেলে?" - ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)
“অতীতকে বিদায় জানাতে সাহস লাগে। সেই সাহস দেখাতে পারলে জীবন তোমাকে নতুন কিছু উপহার দেবে”
'যৌবন''
কালে যত পারো সিজদা করে নাও, কারণ আমি অনেক বৃদ্ধাকে দেখেছি সিজদা ছাড়া নামাজ আদায় করতে । (ইমাম গাজ্জালী (রঃ)
আমরা সুখ খুঁজতে গিয়ে সুখ দেওয়ার মালিক কে ভুলে যায় মনে রাখবেন আল্লাহ ছাড়া সুখ-স্বাচ্ছন্দ দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই ।
অভিভাবক হিসাবে মহান আল্লাহকে,
আর আর্দশ হিসাবে বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ),
বন্ধু হিসাবে নামাজ, কুরআন, নেক আমল ই যতেস্ট।
যা ইহকালে ও পরকাল দুটো জীবনেই সফলতা এনে দিবে ইনশাআল্লাহ।
"দু-দিনের দুনিয়াতে সবাইতো অবস্থানকে ভালবাসে, ব্যাক্তিকে নই"
”যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ কাছ থেকে নিতে শিখে গিয়েছেন, সে ব্যক্তির দুনিয়াতে অপ্রাপ্তি বলতে আর কিছু রইল না”
আল্লাহ তাআলার ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে আল্লাহ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
দুনিয়ার জীবনটা হচ্ছে ধরুন আপনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য রওনা হলেন , আপনি ট্রেন স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকলেন আপনার নির্ধারিত ট্রেন এর জন্য, আপনি যে আপনার নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন মূলত সেটি হচ্ছে দুনিয়ার জীবন। দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে আখেরাতের বাজার করার জন্য, এমন যেন না হয়, দুনিয়ায় এসে এর রং তামাশায় সেই আখেরাতের ব্যাগটি হারিয়ে ফেলেছেন ।
আল্লাহ বলেন সফলতা হচ্ছে সেটি, যে বান্দা জাহান্নামে যেতে পারত কিন্তু জাহান্নামের না গিয়ে বরং জান্নাতে গিয়েছে সেই বান্দায় হচ্ছে প্রকৃত সফল।একটি উত্তম মৃত্যু এবং আল্লাহর দয়াতে জান্নাতে যাওয়া ।
শয়তান যেহেতু দিনশেষে নিশ্চিত জাহান্নামী সুতরাং শয়তান সবসময় আশাহত , ঠিক তেমনি শয়তান আশরাফুল মাখলুকাত আদম সন্তানকে সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সম্মুখভাগ থেকে আশাহত করার চেষ্টা করে, যেহেতু সে নিজেই আশাহত এবং এই কাজে সেই সফল হলেই মূলত আল্লাহর ইবাদত থেকে বান্দাকে সরিয়ে রাখা যাবে এবং তার মূল টার্গেট তাকে ইবাদত থেকে সরিয়ে শয়তানের রাস্তা নিয়ে আসা এবং পর্যায়ের ক্রমে ধীরে ধীরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া সুতরাং আমাদের সবাইকে এই বিষয়টি সর্বোচ্চ দৃষ্টি দিয়ে কখনোই, এবং কখনোই আশাহত হওয়া যাবে না, শয়তান এক অদৃশ্য শক্তি দ্বারা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে এই কাজটি করে থাকে ।
প্রবন্ধটির ক্রেডিট এবং রিসার্চঃ প্রকৌশলী মোঃ মসরাক হোসাইন (সানি) । লেখক এর অনুমতি ছাড়া প্রবন্ধটির অনুলিপি অন্য কোথাও শেয়ার বা কপি করা যাবে না।