এই পর্যন্ত যা কিছু হয়েছে সবকিছু মহান আল্লাহতালার মহা পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত, এই ফয়সালা মেনে নেওয়া উত্তম এবং এর উসিলায় যদি ইনশাআল্লাহ জান্নাত পেয়ে যায় তবে হারানো কিছুই রইল না ।
আমার পরিকল্পনা ছিল একটি গোলাপ কে পাওয়া কিন্তু আল্লাহতালার মহা পরিকল্পনার মধ্যে ছিল একটি গাছের একটি গোলাপ ফুল নয় বরং সেই গোলাপ গাছটিও নয় মহান পরিকল্পনা ছিল সেই গোলাপ বাগানটি পুরাই.
"জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে সমস্যা থাকবে, থাকবে দুশ্চিন্তা।"
এই পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই যার জীবনে কোনো সমস্যা নেই। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের নিজস্ব লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত ব্যস্ত। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য হলো—এই লড়াই আমাদের আরও শক্তিশালী করে।
মানুষের অন্তরে যত নেতিবাচক প্রবণতা রয়েছে, তা জয় করার জন্য প্রতিনিয়ত নিজেকে গড়ে তুলতে হয়। জীবনের পথে হাজারো বাধা আসবেই, কিন্তু সেগুলোর মোকাবিলা করতে হলে প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবিচল মনোভাব।
যারা হতাশার মাঝেও আশা খুঁজে পায়, যারা নিজেদের দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করতে জানে, তারাই জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। আর এই মানসিক শক্তি ও ইতিবাচকতার ফলেই আসে সত্যিকারের সফলতা।
তাই, যদি কখনো মনে হয় জীবন খুব কঠিন, যদি মনে হয় দুশ্চিন্তার পাহাড় জমে উঠছে—তখন নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিন, "আমি পারব। আমার ভেতরের শক্তি অদম্য।"
সফলতা কেবল তাদেরই ধরা দেয়, যারা সাহস নিয়ে সবকিছু মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আজ লড়াই করুন, কাল জয়ের গল্প লিখুন।
বাঁচুন বিশ্বাস নিয়ে, এগিয়ে চলুন সাহস নিয়ে।।
আমরা অতীত থেকে হতাশা এবং ভবিষ্যতে কি হবে এর দুশ্চিন্তা সমন্বয়ে বর্তমান অস্থিরতা পরিবেশ বানিয়ে ফেলি, ফলস্বরূপ বর্তমান সময়টাও নষ্ট করে ফেলি |
জীবনে সব ঝড় আপনাকে ক্ষতি করতে আসে না,
কিছু ঝড় আসে,আপনার পথটা পরিস্কার করে দেওয়ার জন্য,
একদিন হঠাৎ করেই আপনার দোআ কবুল হয়ে যাবে,সেদিন আপনি বলে উঠবেন,,হে আমার রব,,আমি তো কখনোই তোমাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি, (সূরা মারইয়াম:৪)
আসমানের অধিপতি যদি সন্তুষ্ট হয়ে যায়।
তাহলে জমিনের লোকগুলো অসন্তুষ্ট হলে কি আসে যায়অতীত ভেবে বর্তমান নষ্ট করা বোকামি! ভবিষ্যৎ গড়তে বর্তমানকে কাজে লাগাতে হয়, আর অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হয়।
আল্লাহ্ কষ্টের পর সুখ দিবেন!"
- সূরা ত্বলাক: ৭
⭕"নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি!"
- সূরা ইনশিরাহ: ৬
⭕"আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতাগুলো আল্লাহ্'র সমীপেই নিবেদন করছি!"
- সূরা ইউসুফ: ৮৬
⭕"জেনে রেখো, আল্লাহ্'র সাহায্য নিকটে!"
- সূরা বাক্বারা: ২১৪
⭕"একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহ্'র রহমত থেকে নিরাশ হয় না!"
- সূরা ইউসুফ: ৮৭
⭕"আল্লাহ্ কোনো ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের চাইতে বেশী, এমন বোঝা চাপিয়ে দেন না!"
- সূরা বাক্বারা: ২৮৬
⭕"এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের!"
- সূরা বাক্বারা: ১৫৫
⭕"হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর! নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন!"
- সূরা বাক্বারা: ১৫৩
⭕"হে আল্লাহ্! আমি তো কখনো আপনাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি!"
- সূরা মারইয়াম: ৪
ডিপ্রেশন কি?
-ডিপ্রেশন হচ্ছে এমন এক মানসিক অসুখ যেটা আপনাকে ধীরেধীরে গ্রাস করে নেয়।
*ডিপ্রেশন কেনো হয়?
-অতিরিক্ত সমস্যা যেমন-ফ্যামিলি প্রবলেম,ব্যক্তিগত প্রবলেম,অসুস্থতা,প্রেমঘটিত সমস্যা,লেখাপড়া নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা এরকম আরো অনেক সমস্যার জন্য আপনার মধ্যে ডিপ্রেশন জেকে বসতে পারে।
*কখন বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন?
-যখন আপনার চারপাশের সব কিছুর মধ্যে বিরক্তি অনুভব করবেন।যে কোনো কাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে ইচ্ছে করবে এবং যখন সব সময় একা থাকতে চাইবেন তখন বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন।
*ডিপ্রেশন কখন হতে পারে?
-ডিপ্রেশনের একটা ভয়ানক সময় হচ্ছে ১৮-২৫ বছর পর্যন্ত।এ বয়সে আপনি অনায়াসে ভুলভাল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন এবং যার ফলে আপনার মধ্যে ডিপ্রেশন দেখা দেয়।
*ডিপ্রেশন হলে কি করবেন?
-ডিপ্রেশন দূর করার প্রথম ধাপ হচ্ছে নিয়মিত নামাজ পড়া,কোরআন তিলাওয়াত করা।নিজেকে সবার মধ্যে রাখা।নিজের পছন্দের জিনিস গুলোকে প্রায়োরিটি দেয়া। পরিবারের সবার সাথে সময় কাটানো বিশেষ করে বাচ্চাদের সাথে।নিজের প্রিয় খাবার রান্না করা।সবচেয়ে সুন্দর আরেকটা ধাপ হচ্ছে বাগান করা।দিনের কিছুটা সময় আপনি আপনার ছোট্ট বাগানে কাটাতে পারেন।গাছের সজীবতা আপনার মন এবং মস্তিষ্কে কিছুটা হলেও রিফ্রেশ আনবে।
*কখন বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন?
-যখন নিজেকে একা অনুভব হবে না।নিজের সব সমস্যা যখন অনায়াসে সবার সাথে শেয়ার করতে পারবেন।যখন আপনি যেকোনো কাজ উপভোগ করবেন এবং নিজের সমস্যা গুলো কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন তখন বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশন মুক্ত হয়েছেন।
ডিপ্রেশন থেকে বের হবেন কিভাবে?
রাতের পর রাত ঘুম আসে না? ভোরের আলোও কেমন যেন বিষন্ন মনে হয়?
মনে হয়, কেউ বুঝতে পারছে না আপনাকে? সব কিছুতে একরকম উদাসীনতা? জীবনটা কি কেমন যেন পাথরের মতো ভারী লাগছে?
ডিপ্রেশন এমন এক অদৃশ্য শত্রু, যা ধীরে ধীরে আপনার ভেতরটা ফাঁপা করে দিচ্ছে। আপনি হয়তো নিজেও বুঝতে পারছেন না, কবে থেকে এই অন্ধকারের মধ্যে আটকে গেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এখান থেকে বের হবেন কীভাবে?
ডিপ্রেশন: একটা নিঃশব্দ ধ্বংসযজ্ঞ
ডিপ্রেশনে ঠিক কেমন লাগে জানেন?
একটা কালো মেঘের নিচে বসবাস করার মতো। আপনার চারপাশে সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও আপনি কিছুই অনুভব করতে পারেন না। সকাল-বিকেল পার হয়ে যায়, কিন্তু সময়ের সঙ্গে আপনিও যেন কোথাও আটকে আছেন। একসময় ভালো লাগত যে গান, এখন সেটাও বিরক্তিকর। কোনো কাজেই উৎসাহ আসে না।
মনে হয়, এই যন্ত্রণার শেষ নেই।
আর আশেপাশের মানুষজন? কেউ বলবে, “এতো ভাবেন কেন?” কেউ বলবে, “সবারই সমস্যা আছে, এ নিয়ে এত চিন্তা করার কী আছে?” কেউ হয়তো বলবে, “বই পড়েন, ঘুরতে যান, ভালো হয়ে যাবেন!”
কিন্তু আপনি জানেন, ব্যাপারটা এতো সহজ না।
তাহলে বের হওয়ার পথ কী?
ডিপ্রেশন থেকে বের হওয়ার কোনো ম্যাজিক নেই। কিন্তু কিছু উপায় আছে, যা আপনাকে ধাপে ধাপে এই অবস্থা থেকে বের করে আনতে পারে।
১. ডিপ্রেশনকে স্বীকার করুন
নিজেকে বোঝান—“হ্যাঁ, আমি ডিপ্রেশনে ভুগছি। এটা আমার দোষ না, এটা একটা মানসিক অবস্থা। আমি এই অবস্থার ভিতর দিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু আমি এখানে চিরদিন আটকে থাকবো না।”
ডিপ্রেশন লুকিয়ে রাখলে সেটা আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। এটাকে মেনে নেওয়া মানে আপনি প্রথম ধাপে এগিয়ে গেলেন।
২. একটা রুটিন তৈরি করুন
ডিপ্রেশন আপনার জীবন এলোমেলো করে দেয়। তাই সচেতনভাবে নিজের জন্য একটা রুটিন ঠিক করুন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো, খাওয়া, হালকা ব্যায়াম করা—এসব নিয়ম মেনে চললে মন ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে। চাইলে আমার ৬ মাসের লাইফ চেঞ্জিং রুটিনটাও কিনতে পারেন।
৩. ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন
বড় কিছু করতে হবে না। আজ শুধু বিছানা গুছিয়ে রাখবেন। কাল হয়তো একটু হাঁটবেন। এভাবেই ধাপে ধাপে জীবনকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করুন।
৪. শরীরকে সুস্থ রাখুন
ডিপ্রেশন শরীরকেও দুর্বল করে তোলে। প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট রোদে বসুন, হালকা ব্যায়াম করুন, পুষ্টিকর খাবার খান। শরীর ভালো থাকলে মনও ধীরে ধীরে ভালো হবে।
৫. ঘুমাতে হবে, যেভাবেই হোক
ডিপ্রেশন থাকলে ঘুম আসে না, আর ঘুম না হলে ডিপ্রেশন আরও বেড়ে যায়। একে বন্ধ করতে হবে। মোবাইল, টিভি—সব দূরে রাখুন, প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
৬. আনন্দ খুঁজুন (যদি সম্ভব হয়)
এই মুহূর্তে কিছুই ভালো লাগবে না। তবুও চেষ্টা করুন এমন কিছু করার, যা একসময় আপনার আনন্দের কারণ ছিল। হয়তো পুরনো গান শোনা, একটা বই পড়া, বা স্রেফ জানালার বাইরে তাকিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকা।
৭. কারও সঙ্গে কথা বলুন
ডিপ্রেশন আপনাকে একা করে দেয়। কিন্তু আপনি একা না। কাছের বন্ধু বা পরিবারের কাউকে বলুন—“আমি ভালো নেই। একটু শুনবে? একটু বুঝবে আমার সিচুয়েশন?”
কথা বললেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না, কিন্তু অন্তত বোঝা কিছুটা হালকা লাগবে।
৮. পেশাদার সাহায্য নিন (যদি দরকার হয়)
অনেক সময় ডিপ্রেশন এমন পর্যায়ে যায়, যেখানে একা সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে কাউন্সেলিং বা থেরাপির সাহায্য নিন। এটা কোনো দুর্বলতা নয়, বরং নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার অংশ।
এই অন্ধকার চিরদিন থাকবে না।
আজ হয়তো মনে হচ্ছে, এই যন্ত্রণা কোনোদিন কমবে না—কিন্তু বিশ্বাস করুন, ধীরে ধীরে সব বদলে যাবে।
একদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখবেন, বাতাসটা আগের চেয়ে একটু হালকা লাগছে। সূর্যের আলো গায়ে পড়লে মনে হবে, এই উষ্ণতাটুকু যেন বহুদিন পর সত্যি করে অনুভব করতে পারছেন।
ধীরে ধীরে বুকের চাপা ভারটাও কমবে, আবার প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে পারবেন।
এই অন্ধকার রাতও কাটবে, ঠিক যেমন প্রতিটি রাতের শেষে সূর্য ওঠে।
হয়তো একদিনেই সব বদলে যাবে না, কিন্তু প্রতিটি নতুন সকাল আপনাকে একটু একটু করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তাই, আজ শুধু নিজেকে বলুন—“আরেকটা দিন পার করলেই হলো।”
একসময় দেখবেন, সেই “আরেকটা দিন” একে একে জুড়তে জুড়তে এক নতুন জীবনের দিকেই নিয়ে গেছে আপনাকে।
"জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে সমস্যা থাকবে, থাকবে দুশ্চিন্তা।"
এই পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই যার জীবনে কোনো সমস্যা নেই। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের নিজস্ব লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত ব্যস্ত। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য হলো—এই লড়াই আমাদের আরও শক্তিশালী করে।
মানুষের অন্তরে যত নেতিবাচক প্রবণতা রয়েছে, তা জয় করার জন্য প্রতিনিয়ত নিজেকে গড়ে তুলতে হয়। জীবনের পথে হাজারো বাধা আসবেই, কিন্তু সেগুলোর মোকাবিলা করতে হলে প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবিচল মনোভাব।
যারা হতাশার মাঝেও আশা খুঁজে পায়, যারা নিজেদের দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করতে জানে, তারাই জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। আর এই মানসিক শক্তি ও ইতিবাচকতার ফলেই আসে সত্যিকারের সফলতা।
তাই, যদি কখনো মনে হয় জীবন খুব কঠিন, যদি মনে হয় দুশ্চিন্তার পাহাড় জমে উঠছে—তখন নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিন, "আমি পারব, আমার ভেতরের শক্তি অদম্য।"
সফলতা কেবল তাদেরই ধরা দেয়, যারা সাহস নিয়ে সবকিছু মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আজ লড়াই করুন, কাল জয়ের গল্প লিখুন।
বাঁচুন বিশ্বাস নিয়ে, এগিয়ে চলুন সাহস নিয়ে।।