একটি চিতাবাঘ একটি কুকুরকে তাড়া করেছিল। কুকুরটি একটি ঘরের দরজা খোলা পেয়ে, বাথরুমে ঢুকে পড়ে। পিছু পিছু চিতাবাঘটিও সেখানে যায়। বাড়ীর মালিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে, সাথে সাথে বাথরুমের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়।
ফলে প্রাণী দুইটি বাথরুমের ভিতরে আটকা পড়ে যায়। কুকুরটি চিতাবাঘকে দেখে ভয় পেয়ে এক কোণে চুপচাপ বসে পড়ে। প্রবল আতঙ্কে সে একবার জন্য ঘেউ ঘেউ করার সাহস পর্যন্ত করেনি।
অন্যদিকে, যদিও চিতাবাঘটি ক্ষুধার্ত ছিল এবং কুকুরটিকেই তাড়া করছিল, তবুও সে কুকুরটির উপর আক্রমণ করেনি।
চাইলেই চিতাবাঘটি কুকুরটিকে মেরে ফেলতে পারত। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, তারা দুজন দুই কোণে চুপচাপ বসে থাকল। দীর্ঘ ২৮ ঘন্টা একসঙ্গে কাটানোর পরও চিতাবাঘটি কুকুরটিকে আক্রমণ করেনি। পুরোটা সময় সে ভীষণ শান্ত ছিল।
অবশেষে বন বিভাগ চিতাবাঘটিকে নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ট্র্যাঙ্কুলাইজার ডার্ট ব্যবহার করে তাকে বন্দি করে।
এখন প্রশ্ন হলো, যখন চিতাবাঘের জন্য কুকুরটিকে আক্রমণ করা এত সহজ ছিল, তখন সে তা করল না কেন?
বন্যপ্রাণী গবেষকদের মতে, বন্য প্রাণীরা স্বাধীনতার ব্যাপারে অত্যন্ত সংবেদনশীল। যখনই তারা বুঝতে পারে যে, তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তখন তারা এতটাই মানসিক যন্ত্রণা অনুভব করে যে, ক্ষুধা তৃষ্ণার কথাও ভুলে যায়। তাদের স্বাভাবিক খাদ্যগ্রহণের প্রবৃত্তি ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে।
শিক্ষা: স্বাধীনতা ও সুখ একে অপরের সাথে গভীরভাবে জড়িত। কারো চিন্তার স্বাধীনতা, কাজের স্বাধীনতা আর নিজের ইচ্ছামতো বাঁচার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে আপনি তাকে যা কিছুই দেন তা কেন, সবকিছু তার কাছে মূল্যহীন এবং অর্থহীন।