যে নিজের নফসের লোভকে নিয়ন্ত্রণ করে, সে-ই সফল।"* (সূরা আশ-শামস ৯১:৯)
ইবলিশ ও নফস শয়তান সবসময় ব্যাক্তিকে উদ্দেশ্যহীন করার চেস্টা করবে, কারণ মানুষ উদ্দেশ্যহীন হলেই নামাজ, আমল ও কোরআন থেকে বিছিন্ন সহ তার ব্যাক্তিগত জীবনের উদ্দেশ্য হতে বিছিন্ন। সুতরাং ব্যাক্তি জীবন্ত লাশ হয়ে যাই, এতেই শয়তান পুরোপুরি সফল।অতীতের হতাশা এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার সবসময়ই ভয় দেখাতে থাকবে ।
শয়তান যেহেতু দিন শেষে নিশ্চিত জাহান্নামী সুতরাং শয়তান সবসময় আশাহত , ঠিক তেমনি শয়তান আশরাফুল মাখলুকাত আদম সন্তানকে সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সম্মুখভাগ থেকে আশাহত করার চেষ্টা করে, যেহেতু সে নিজেই আশাহত এবং এই কাজে সেই সফল হলেই মূলত আল্লাহর ইবাদত থেকে বান্দাকে সরিয়ে রাখা যাবে এবং তার মূল টার্গেট তাকে ইবাদত থেকে সরিয়ে শয়তানের রাস্তা নিয়ে আসা এবং পর্যায়ের ক্রমে ধীরে ধীরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া সুতরাং আমাদের সবাইকে এই বিষয়টি সর্বোচ্চ দৃষ্টি দিয়ে কখনোই, এবং কখনোই আশাহত হওয়া যাবে না, শয়তান এক অদৃশ্য শক্তি দ্বারা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে এই কাজটি করে থাকে ।
মানুষের জীবনের দুটি বড় শত্রু হলোঃ
১. নাফস
২. শয়তান।
নফস ও শয়তান দুটোই প্রতি মুহূর্তে আমাদেরকে নানান গুনাহের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। নফস ভিতর থেকে উদ্বুদ্ধ করে আর শয়তান সেটিকে আমাদের সামনে আকর্ষণীয় করে তুলে ।
মূলত মানুষের নফস একটাই ৷ পবিত্র কোরআনে যার তিনটি রূপ উল্লেখ করা হয়েছে–বিভিন্ন সময়ে তা বিভিন্ন রূপ ধারণ করে ৷ নফস তিন প্রকার। যথাক্রমে–
১) যে ‘নফস’ মানুষকে মন্দ কাজে প্ররোচিত করে। এটির নাম ‘নফসে আম্মারা’।
২) যে ‘নফস’ ভুল বা অন্যায় কাজ করলে অথবা ভুল বা অন্যায় বিষয়ে চিন্তা করলে কিংবা খারাপ নিয়ত রাখলে লজ্জিত হয় এটির নাম নফসে ‘লাউয়ামাহ'।
৩) যে ‘নফস’ সঠিক পথে চললে এবং ভুল ও অন্যায়ের পথ পরিত্যাগ করলে তৃপ্তি ও প্রশান্তি অনুভব করে তাকে বলে ‘নফসে মুতমাইন্নাহ'।
সেই সফলকাম হয়েছে যে নিজ আত্বাকে পরিশুদ্ধ করেছে।
এবং সেই ব্যর্থ হয়েছে যে নিজ আত্বাকে কলূশিত করেছে । [সুরা শামস ৯১:১০]
নফস আমাদের খুবই ভয়ঙ্কর এক শত্রু তবে তার কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য কিছু আমলও আছে। নফসের কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে থাকার জন্য পাঁচটি আমলের কথা বলা হয়েছে।
১। বেশি বেশি ইস্তিগফার করা ও গোনাহ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করা।
২। সব সময় আল্লাহকে ভয় করা ও সত্যবাদীদের সাহচর্য গ্রহণ করা।
৩। সর্বদা আল্লাহ আমাকে দেখছেন, এ মানসিকতা অন্তরে বদ্ধমূল রাখা, বিশেষ করে ইবাদতের ক্ষেত্রে।
৪। যে কোনও মুহুর্তে আমার মৃত্যু আসতে পারে, এ বিশ্বাস অন্তরে মজবুত রাখা। গুনাহের অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে কী ভয়াবহ পরিণতি হবে? এ ভয় সর্বদা অন্তরে জাগ্রত রাখা।
৫। আল্লাহর যিকির ও কুরআনুল কারীম তেলাওয়াত করা, এর মাধ্যমে অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হবে এবং ঈমান বৃদ্ধি পাবে।
"শয়তান একজন মানুষের ওপর তখনই সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে, যখন সে পেট একদম ভরাট করে খাবার খায়।"
ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)
সূত্র: বাদায়েউল ফাওয়াইদ: ২/২৭৩
ইবলিশ ও নফস শয়তান সবসময় ব্যাক্তিকে উদ্দেশ্যহীন করার চেস্টা করবে, কারণ মানুষ উদ্দেশ্যহীন হলেই নামাজ, আমল ও কোরআন থেকে বিছিন্ন সহ তার ব্যাক্তিগত জীবনের উদ্দেশ্য হতে বিছিন্ন। সুতরাং ব্যাক্তি জীবন্ত লাশ হয়ে যাই, এতেই শয়তান পুরোপুরি সফল।অতীতের হতাশা এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার সবসময়ই ভয় দেখাতে থাকবে ।
শয়তান যেহেতু দিন শেষে নিশ্চিত জাহান্নামী সুতরাং শয়তান সবসময় আশাহত , ঠিক তেমনি শয়তান আশরাফুল মাখলুকাত আদম সন্তানকে সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সম্মুখভাগ থেকে আশাহত করার চেষ্টা করে, যেহেতু সে নিজেই আশাহত এবং এই কাজে সেই সফল হলেই মূলত আল্লাহর ইবাদত থেকে বান্দাকে সরিয়ে রাখা যাবে এবং তার মূল টার্গেট তাকে ইবাদত থেকে সরিয়ে শয়তানের রাস্তা নিয়ে আসা এবং পর্যায়ের ক্রমে ধীরে ধীরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া সুতরাং আমাদের সবাইকে এই বিষয়টি সর্বোচ্চ দৃষ্টি দিয়ে কখনোই, এবং কখনোই আশাহত হওয়া যাবে না, শয়তান এক অদৃশ্য শক্তি দ্বারা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে এই কাজটি করে থাকে ।
ইবলিশ শয়তানের ৯টি সন্তান রয়েছে-
* জালিতুন : বাজারগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে, আর নিজের পতাকা গেড়ে থাকে।
* ওয়াসিন : মানুষদের আকস্মিক বিপদে ফেলার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে।
* লাকুস : অগ্নি পূজারিদের সঙ্গে থাকে।
* আওয়ান : শাসকদের সঙ্গে থাকে।
* হাফফাপ : মদ্যপায়ীদের সঙ্গে থাকে।
* মুররাহ : গান-বাজনাকারীদের সঙ্গে থাকে।
* মুসাব্বিত : বাজে কথাবার্তা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকে।
* দাসিম : ঘরের মানুষদের ভালো কাজ থেকে বিরত ও খারাপ কাজের আদেশ দেয়।
* ওয়ালহান : অজু, নামাজ ও অন্য ইবাদতে কুমন্ত্রণা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
(আল মুনাব্বিহাতি লিল আসকালানী, পৃষ্ঠা : ৯১)
মহান আল্লাহ আমাদের শয়তানের প্ররোচনা থেকে হেফাজত করুন।
🔴নিসন্দেহে মুমিন, মুসলিম, নামাজ, সর্ব ইবাদত সহ সবই হীরা।
ইবাদতের সময় অনেক ধরনের খেয়াল আসে এটা কেন !
একদিন এক ইহুদী, একজন অলির দরবারে এসে জিজ্ঞাসা করলো, যখন আমরা আমাদের উপাসনা করি,
তখন আমাদের খেয়াল অন্যদিকে যায় না, এমনকিমনে কোন প্রকার ওসওয়াসার সৃষ্টিও হয়না,
এমনকি শয়তানি চিন্তা ভুলেও ধারে কাছেও আসে না। কিন্তু আমি অনেকের কাছে শুনেছি, আপনারা যখন নামায আদায় করেন,
তখন আপনাদের ইবাদতের সময় অনেক ধরনের খেয়াল আসে।এইটা কেন???
তার উত্তরে ঐ আল্লাহর অলি তাকে জবাব দিলেন -মনে করুন দুইটি ঘর, একটা ঘর হল খালি, আর অপরটা "হীরা" দ্বারা পরিপূর্ণ। এখন বলুন দেখি, চোর কোন ঘরের ভিতরে চুরি করতে আসবে?
উত্তরে ইহুদী বলল- অবশ্যই যে ঘরে হীরা,
অবশ্যই যে ঘরে হীরা আছে সে মতো এবার সেই অলি তাকে বললেন কাফির এবং মুসলমানের অন্তরের অবস্থা হলো এরকমই। যার কাছে শুরু থেকেই ঈমান নাই,
সেখানে শয়তান কি চুরি করতে আসবে? আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন।