ফকির থেকে কোটিপতি হওয়া সম্ভব শুধু ইস্তিগফার দিয়ে।
ঢাকায় এক গরীব তরুণ, নাম ছিল রফিক। পরিবারে অভাব, সংসারে টানাটানি, কাজ করে কোনোমতে দিন চলে। অনেক চেষ্টা করেও তার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। একদিন সে তার এলাকার এক বুড়ো আলেমের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করে বললো,
“হুজুর, আমার কপালে কি কোনোদিন টাকা আসবে না?”
বৃদ্ধ আলেম তাকে বললেন,
“বেটা, তুই বেশি কিছু করিস না। আল্লাহর কাছে মাফ চা, বেশি বেশি ইস্তিগফার কর। দিন-রাত আস্তাগফিরুল্লাহ বল। দেখবি আল্লাহ রাস্তা খুলে দিবেন।”
রফিক সেইদিন থেকে নিয়ত করলো— প্রতিদিন অন্তত ১০,০০০ বার “**আস্তাগফিরুল্লাহ**” পড়বে। শুরু করলো কঠোরভাবে আমল। ৩ মাস পর একদিন তার এক আত্মীয় তাকে একটি ছোট ব্যবসার কথা বললো— পুরনো মোবাইল ফোন কেনাবেচা। সে ধারদেনা করে খুব সামান্য পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করলো। কিন্তু আল্লাহর রহমতে ব্যবসা চলতে শুরু করলো, মুনাফা বাড়তে লাগলো।
কিছুদিন পর সে বড় পরিমাণে মোবাইল আমদানি শুরু করলো, পরে শোরুম খুলে ফেললো। শুধু তাই না, ইস্তিগফারের আমল ছাড়েনি একদিনের জন্যও। ৫ বছরের মধ্যে সে হয়ে উঠলো একটি মোবাইল শোরুম চেইন ব্র্যান্ডের মালিক। এখন সে কোটিপতি, গাড়ি-বাড়ির মালিক।
রফিক সবসময় বলে,
“আমি ব্যবসার কলাকৌশল জানতাম না। শুধু ইস্তিগফারের বরকতেই আমার কপাল খুলেছে। *ইস্তিগফার মানে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া আর তাঁর কাছে রিজিক খোলা চাওয়া।*”
মূল শিক্ষা:
ইস্তিগফার আল্লাহর কাছে রিজিক চাওয়ার এক মহাঅস্ত্র।
অভাব-অনটনে বেশি বেশি ইস্তিগফার করলে আল্লাহ এমনভাবে রাস্তা খুলে দেন, যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না।
ইস্তিগফারের সাথে চেষ্টা-পরিশ্রম ও ধৈর্য রাখতে হয়।