শুধু সন্তানের আশায় বিয়ে করো না, কারণ তুমি ইবনু খালদুন/আইন্সটাইন নাকি হিটলার/আবু জাহিলদের জন্ম দিবে; এর কোন নিশ্চয়তা নেই!
শুধু দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করার নাম করে বিয়ে করো না, কারণ সম্ভবত এখনো তুমি প্রথম অর্ধেকটাই ঠিকভাবে পূরণ করোনি।
শুধু প্রবৃত্তির চাহিদার জন্য বিয়ে করো না, কারণ একসময় তা হারিয়ে যাবে, একঘেয়ে লাগবে এবং শেষে বিরক্তিও আসতে পারে৷
বয়সের ট্রেন মিস হয়ে যাচ্ছে বলে তাড়াহুড়ো করে বিয়ে করো না, সবাইকেই একই বয়সে ট্রেন ধরতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই৷
পরিবারের চাপে বিয়ে করো না, কারণ সংসার তুমি করবে, এক বিছানায় তুমি থাকবে তোমার পরিবার নয়।
সমাজের কথা ভেবে বিয়ে করো না, কারণ সমাজ তোমার বিয়ের খরচ দেবে না, আর বিচ্ছেদের দায়ও নেবে না।
বিয়ে করো শুধুমাত্র তখনই, যখন তুমি এমন একজন সঙ্গী পাও; যার মধ্যে আছে দ্বীন, আছে শিষ্টাচার, আছে আখলাক এবং ইলম। যার সঙ্গে জীবন ভাগ করে নিতে ভালো লাগে। যে তোমার দূর্বলতা বুঝবে এবং সেটাকে নিজের দুর্বলতা মনে করবে। তোমাকে সম্মান করবে; তোমার সফলতাকে তার সফলতা মনে করবে৷ তোমার সমস্যাগুলোকে তার সমস্যা মনে করবে৷ তোমার এবং তার আদর্শ এক হবে, লক্ষ্য এক হবে। এতে করে তুমি হতাশ হবেনা; বরং জীবনযুদ্ধে অনুপ্রেরণা পাবে৷
যে তোমার বিপদে পালাবে না বরং বিপদকে ভাগাভাগি করে নিবে। দুঃখে তোমার কাঁধে হাত রেখে বলবে, আমি আছি চিন্তা করোনা; ঠিক হয়ে যাবে এবং এ কথা শুধুমাত্র মুখে নয়, কাজে প্রমাণ করবে। এককথায়, তুমি তার সে তোমার হয়ে যাবে।
শোন! তুমি দ্বীনদারীতা দেখে বিয়ে করো; নাহলে তা তোমাকে হতাশ করবে এবং কৃপণতা করো না; নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) এর নামে দরুদপাঠ করো।